রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডের বাসিন্দা আজিজুলের মরদেহ ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলার আদর্শপাড়া এলাকার একটি বাড়ির সামনে থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় শনিবার সন্ধ্যায় নিহতের ছোট ভাই জাহিদুল ইসলাম রাজাপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন।
মামলার অভিযুক্তরা হলেন, ওই বাড়ির তৃতীয় তলার ভাড়াটিয়া রাজাপুর মনোহরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা কামরুন্নাহার সুমী (৩১) ও তার বাবা শহিদুল বিশ্বাস (৫৮)।
তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বরিশাল বান্দ রোড বঙ্গবন্ধু কলোনী থেকে পুলিশ তাদের আটক করে থানায় নিয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যায় রাজাপুর থানায় মামলা পরপরই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি স্কুল শিক্ষিকা ও তার বাবাকে গ্রেফতার দেখিয়ে রাতেই আদালতের মাধ্যমে তাদের জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, আজিজুল বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ‘এটিএন নিউজ’ এর নির্বাহী প্রযোজক ছিলেন। করোনার কারণে তিনি নিয়মিত অফিসে না যাওয়ায় সম্প্রতি তিনি চাকরি হারান। রাজাপুরের স্কুল শিক্ষিকার পায়ে সমস্যা থাকায় চিকিৎসার জন্য তিনি প্রায়ই ঢাকায় আসা যাওয়া করতেন। সেখান থেকেই উভয়ের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা গড়ে ওঠে।
কয়েকদিন আগে বাবা শহিদুল তার মেয়ে সুমীর জন্য অন্য জায়গায় বিয়ে ঠিক করেন। এই খবর শুনেই আজিজুল ঢাকা থেকে শিক্ষিকার রাজাপুরের ভাড়া বাসায় চলে যান। শিক্ষিকা সুমীর বাসায় সেদিন তার বাবাও উপস্থিত ছিলেন। মধ্যরাতে তাদের সঙ্গে আজিজুলে কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে বাবা মেয়ে দুজনে মিলে আজিজুলকে মেরে ছাদ থেকে ফেলে দেয়। ভোর হওয়ার আগেই তারা রাজাপুর থেকে পালিয়ে বরিশালে গা ঢাকা দেয়।
পরবর্তীতে মরদেহটি পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন।
রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘মরদেহ উদ্ধারের পর আজিজুলের পরিবারকে খবর দেয়া হয়েছিল। তার ভাই মামলা করেছেন। আসামিদের গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। ঘটনাটির তদন্ত চলছে।’