ইজিবাইক ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যেই পরিকল্পিতভাবে নড়াইলের রোহান মোল্লাকে হত্যা করা হয়েছে বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছে গ্রেফতার আসামিরা।
যশোর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআই মামলার দায়িত্ব নেয়ার চার দিনের মধ্যেই রোহান হত্যার রহস্য উদঘাটন করতে পেরেছে বলে দাবি করেছে।
পিবিআই জানিয়েছে, নড়াইলে ইজিবাইক চালক রোহান মোল্লা (১৯) হত্যা মামলার তিন আসামিকে গ্রেফতারসহ ইজিবাইক ও রোহানের মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।
অভিযুক্ত তিনজন শুক্রবার বিকেলে নড়াইলের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মোরশেদুল আলমের আদালতে ১৬৪ ধারায় হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই যশোরের পুলিশ পরিদর্শক গাজী মাহবুবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গত ২৬ নভেম্বর সদরের হবখালী ইউনিয়নের কোমখালী গ্রামের আল মামুন (১৯), শাহিন শেখ (১৯) ও শহরের ভওয়াখালী এলাকার মাসুদ রানাকে শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে অভিযুক্ত মামুন ও শাহীনের বাড়ির পাশের পুকুর থেকে নিহত রোহানের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও মাসুদের দেয়া তথ্যে যশোর শহর থেকে ইজিবাইক উদ্ধার করা হয়। ss
অভিযুক্তরা জানিয়েছে, ইজিবাইকটি ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা অনুযায়ী ২৪ নভেম্বর সন্ধ্যার দিকে সদরের বামনহাটে যাওয়ার কথা বলে রোহানের ইজিবাইক ভাড়া নেয়। বামনহাট পাকা রাস্তার উপর পৌঁছালে মামুন ও শাহীনসহ তাদের সহযোগীরা রোহানকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। মরদেহ ঘটনাস্থলে ফেলে ভিকটিমের মোবাইল ও ইজিবাইক নিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনার রাতেই মাসুদের কাছে ৮০ হাজার টাকায় ইজিবাইক বিক্রি করে মামুন ও শাহীন টাকা ভাগাভাগি করে নেয়।
পিবিআই জানায়, ২৫ নভেম্বর রোহানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহতের বাবা চাঁন মোল্লা বাদী হয়ে ঘটনার রাতেই অজ্ঞাতপরিচয়দের আসামি করে নড়াইল সদর থানার মামলা করেন।