বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মেয়ে নিখোঁজ, বাবাকে ‘মারধর’ পুলিশের

  •    
  • ২৮ নভেম্বর, ২০২০ ২৩:১১

‘রুবেলের স্ত্রী কারিমা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে হাবিবের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেন। আমি বিষয়টি জানার জন্য ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। কিন্তু হাবিব গালাগাল করেন। এ কারণে আমি তাকে ধাক্কা দিয়েছি। তবে মারধর করিনি।’

বরগুনা সদর উপজেলার হাবিব নামের এক জেলেকে পুলিশ মারধর করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

হাবিব নিউজবাংলাকে জানান, পাঁচ মাস আগে তার মেয়ের বিয়ে দেন। মাছ শিকারের জন্য সম্প্রতি তার জামাতা সাগরে গেলে মেয়ে তার বাড়িতে বেড়াতে আসেন। বুধবার রাতে তার মেয়ে উধাও হন। খোঁজখবর নিয়ে তিনি জানতে পারেন একই এলাকার রুবেল নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে তার মেয়ে পালিয়ে গেছেন।

শনিবার সকালে বিষয়টি তিনি স্থানীয় বাবুগঞ্জ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে জানান। পুলিশ তাকে সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার পরামর্শ দেন। দুপুরে তিনি সদর থানায় যান।

পুলিশ তার মেয়ের ছবি ও কাগজপত্র নিয়ে আসতে বলেন। তিনি বাড়ি ফিরে আসেন। বিকেল পাঁচটার দিকে রুবেলের স্ত্রী বাবুগঞ্জ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই মো. মুছাকে নিয়ে তার বাড়ি আসেন। পুলিশ কর্মকর্তা তার মেয়ের পালিয়ে যাওয়া নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে থাকেন।

হাবিব বলেন, তার মেয়ে তিন দিন ধরে নিখোঁজ, অথচ উল্টো তাকেই কেন জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে প্রশ্ন করলে এএসআই তাকে গালিগালাজ করেন। চড় থাপ্পড়, কিলঘুষি ও লাথি মারেন। পরে হাত-পা ধরে রেহাই পান হাবিব। পরে অসুস্থ হয়ে পড়লে স্বজনরা তাকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।

জানতে চাইলে বাবুগঞ্জ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই মুছা বলেন, ‘রুবেলের স্ত্রী কারিমা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে হাবিবের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেন। আমি বিষয়টি জানার জন্য ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। কিন্তু হাবিব গালাগাল করেন। এ কারণে আমি তাকে ধাক্কা দিয়েছি। তবে মারধর করিনি।’

বাবুগঞ্জ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার মজুমদার বলেন, ‘হাবিবকে মারধর করা হয়েছে কিনা আমি খোঁজ নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেব।’

এ বিভাগের আরো খবর