বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বান্দরবানে কঠিন চীবর দান উৎসব

  •    
  • ২৮ নভেম্বর, ২০২০ ২০:৩৪

বান্দরবান উজানি পাড়া বিহারের অধ্যক্ষ ধর্মগুরু ড. উ সুওয়াইন্না মহাথের সবার উদ্দেশে ধর্ম দেশনা দেন। করোনা থেকে মুক্তি এবং দেশের শান্তির জন্য মঙ্গল কামনায় বিশেষ প্রার্থনার মধ্য দিয়ে সন্ধ্যায় শেষ হয় দুদিনের উৎসব।

বান্দরবানের উজানি পাড়া রাজগুরু বৌদ্ধ বিহারে দুই দিনব্যাপী বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কঠিন চীবর দান উৎসব উদযাপন হয়েছে।শনিবার সকালে রাজবাড়ি প্রাঙ্গণ থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের কয়েকটি সড়ক প্রদক্ষিণ করে উজানি পাড়া বৌদ্ধ বিহারে শেষ হয়। পরে বিহারে সমবেত হয়ে পঞ্চশীল, অষ্টশীল গ্রহণ এবং পূণ্যলাভের জন্য ভান্তের নিকট চীবর দান করেন পূজনীয়রা।

বান্দরবান উজানি পাড়া বিহারের অধ্যক্ষ ধর্মগুরু ড. উ সুওয়াইন্না মহাথের সবার উদ্দেশে ধর্ম দেশনা দেন। করোনা থেকে মুক্তি এবং দেশের শান্তির জন্য মঙ্গল কামনায় বিশেষ প্রার্থনার মধ্য দিয়ে সন্ধ্যায় শেষ হয় দুদিনের উৎসব।

ড. মহাথের জানান, ‘কঠিন চীবর দানোৎসব বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন। পূণ্য লাভের আশায় এই দিন শ্রমণদের উদ্দেশে তাদের পরিধানের (কাপড়) চীবর দান করা হয়।শুক্রবার ভোর থেকে শুরু হয় উৎসব। বৌদ্ধ ধর্মালম্বীরা নিজেদের ঐতিহ্য ধরে রাখতে আয়োজন করা হয় টাটকা চীবর বুনন। পূণ্য লাভের আশায় বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিশেষ করে নারীরা বৌদ্ধ বিহারে সমবেত হয়ে কোমর চীবর বুননে অংশ নেন। চব্বিশ ঘন্টা কোমর তাঁত বুনন করে পরের দিন ভগবান বুদ্ধের উদ্দেশে দান করেন পূণ্যার্থীরা।’

কঠিন চীবর দান করতে আসা অংমেচিং মার্মা বলেন, ‘তুলা থেকে সুতা তৈরি করে চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে টাটকা চীবর বুনন করে গৌতম বুদ্ধের উদ্দেশে মহাপুণ্যবতী নারী বিশাখা দেবী এই কঠিন ব্রতী চীবর বুদ্ধকে দান করেছিলেন। সেই থেকে প্রতিবছর কঠিন চীবর দানোৎসব ধর্মীয়ভাবে পালন করে আসছে বৌদ্ধ ধর্মালম্বীরা।’

বিহারের অধ্যক্ষ ড. মহাথের বলেন, ‘দীর্ঘ আড়াই হাজার বছর আগে গৌতম বুদ্ধের শিষ্য বিশাখা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে চীবর তৈরির প্রচলন করেছিলেন। প্রতি বছর আষাঢ়ী পূর্ণিমা থেকে কার্তিকী পূর্ণিমা পর্যন্ত তিন মাস বৌদ্ধ ভিক্ষুদের বর্ষাবাস শেষে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের চীবর দান করতে হয়।’

এ বিভাগের আরো খবর