রাজশাহীর বেসরকারি শাহমখদুম মেডিক্যাল কলেজে শিক্ষার্থীদের মারপিটের ঘটনায় করা মামলায় গ্রেফতার দুই জনকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
শনিবার দুপরে আসামিদের মহানগর আমলি আদালতে নেয়া হয়। শুনানি শেষে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক মাহবুবুর রহমান।
শুক্রবার রাতে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মনিরুজ্জামান স্বাধীনের স্ত্রী বিউটি খাতুন ও ভাই মেহেদী হাসানকে গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে মনিরুজ্জামান স্বাধীনসহ ২২ জনের বিরুদ্ধে রাজশাহীর চন্দ্রিমা থানায় মামলা করেন আহত ছাত্র আশিকুর রহমান। মামলায় নয় জনের নাম উল্লেখ করেন বাদী।
এদিকে পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুসারে শনিবার সকালে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি দল কলেজ পরিদর্শন করেছে। এ সময় তারা শিক্ষার্থী ও কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন।
শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ও দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে কলেজ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে। পরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় অন্য প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজে তাদের মাইগ্রেশন প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করার দাবি জানান তারা।
এর আগে শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে জেলার বেসরকারি শাহমখদুম মেডিকেল কলেজ চত্বরে সাত শিক্ষার্থীর ওপর হামলার অভিযোগ ওঠে।
ওসি সিরাজুম মুনীর জানিয়েছিলেন, শিক্ষার্থীরা থানায় এসে অভিযোগ করেন কলেজ কর্মচারীরা তাদের ওপর হামলা করেছে। যদিও মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ বলেছিল, শিক্ষার্থীরা পরিকল্পিতভাবে এ বিশৃঙ্খলা ঘটিয়েছে।
শাহমখদুম মেডিক্যাল কলেজে ২২৫ শিক্ষার্থী রয়েছে। গত ২ নভেম্বর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রাণলয় কলেজটি বন্ধের নির্দেশ দেয়। এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানান কলেজের শিক্ষার্থীরা। তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের অন্য যেকোনো মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। এরই মধ্যে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। মন্ত্রণালয় এই আবেদন গ্রহণ করেছে।
ওসি সিরাজুম মুনীর জানিয়েছিলেন, করোনার কারণে প্রতিষ্ঠান বন্ধ। দুপক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে সংঘর্ষ হয়।
প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনিরুজ্জামান স্বাধীন বলেন, ‘দুপক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। তবে এটি শিক্ষার্থীদের পরিকল্পিত ঘটনা। শনিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি দল আসছে বলেই ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে। মূলত পরিস্থিতি ঘোলাটে করার উদ্দেশ্য নিয়ে শিক্ষার্থীরা বন্ধ ক্যাম্পাসে যান।’
ঘটনার পর শুক্রবার রাতে প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক চন্দ্রিমা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।