বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দুবলার চরে হচ্ছে না রাস মেলা

  •    
  • ২৮ নভেম্বর, ২০২০ ১২:৪২

রাস পূর্ণিমায় পূজা ও পুণ্যস্নানে শুধু হিন্দুধর্মাবলম্বীদের অংশগ্রহণের অনুমতি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। পূজা ও স্নানে অংশ নিতে সেখানে আসতে শুরু করেছেন সারা দেশের পুণ্যার্থীরা।

করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে সুন্দরবন ঘেঁষা দুবলার চরে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শত বছরের ঐতিহ্যবাহী রাস উৎসব বা মেলা এবার হচ্ছে না।

রাস পূর্ণিমায় পূজা ও পুণ্যস্নানে শুধু হিন্দুধর্মাবলম্বীদের অংশগ্রহণের অনুমতি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। পূজা ও স্নানে অংশ নিতে সেখানে আসতে শুরু করেছেন সারা দেশের পুণ্যার্থীরা।

রোববার সন্ধ্যায় রাস পূজা ও সোমবার সকালে পুণ্যস্নানের মাধ্যমে শেষ হবে এবারের রাস। গত বছর ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে পূজা ও স্নান বন্ধ ছিল।

প্রতি বছর কার্তিক-অগ্রহায়ণ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে নীল কমল দেবতা ও গঙ্গা দেবীর উদ্দেশে সুন্দরবনের দুবলার চর সংলগ্ন আলোরকোলে রাস উৎসবের আয়োজন করা হয়। পূজা-অর্চনার পাশাপাশি সেখানে পাঁচ দিন ধরে চলে রাস মেলা। মেলা উপলক্ষে নানা ধর্মের হাজার হাজার মানুষ ও দেশি-বিদেশি পর্যটকের সমাগম হয়।

বাগেরহাট পূর্ব সুন্দরবন বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. বেলায়েত হোসেন জানান, করোনার সংক্রমণ এড়াতে সুন্দরবনে প্রবেশের সময় থেকে সবসময় মাস্ক পরে থাকতে হবে। রাস পূজাগামী সব জলযানে ও পূজাস্থলে পর্যাপ্ত পরিমাণ হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও হ্যান্ডওয়াশ রাখতে হবে। কোনো ট্রলার বা লঞ্চে ৫০ জনের বেশি যাত্রী বহন করা যাবে না।

তিনি আরও জানান, পূজায় অংশ নিতে যাওয়া সবাইকে জাতীয় পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখতে হবে। হিন্দু ছাড়া কাউকে পূজা স্থলে ঢুকতে দেয়া হবে না। এবারের রাস পূজায় প্রবেশের জন্য পাঁচটি রুট নির্ধারণ করা হয়েছে।

-বুড়িগোয়ালিনি, কোবাদক থেকে বাটুলা নদী-বল নদী-পাটকোষ্টা খাল হয়ে হংসরাজ নদী, তারপর দুবলার চর।

-কয়রা, কাশিয়াবাদ, খাসিটানা, বজবজা হয়ে আড়য়া, শিবসা-মরজাত নদী হয়ে দুবলার চর।

-নলিয়ান স্টেশন হয়ে শিবসা-মরজাত নদী হয়ে দুবলার চর।

-ঢাংমারী-চাঁদপাই স্টেশন, তিনকোনা দ্বীপ হয়ে দুবলার চর।

-বগী-বলেশ্বর-সুপতি কচিখালী-শেলার চর হয়ে দুবলার চর।

প্রচলিত লোককথা অনুযায়ী, ঠাকুর হরিচাঁদের অনুসারী হরিভজন নামের হিন্দু সাধু এ মেলার প্রচলন করেন। তিনি প্রায় দুই যুগ ধরে সুন্দরবনের বিভিন্ন গাছের ফলমূল খেয়ে অলৌকিক জীবনযাপন করতেন।

অনেকের বিশ্বাস, শ্রীকৃষ্ণ শত বছর আগের কোনো এক পূর্ণিমা রাতে পাপমোচন ও পুণ্যলাভের উদ্দেশে স্বপ্নে গঙ্গাস্নান করেন। সেই থেকে শুরু হয় রাস মেলা। কারও কারও মতে, শারদীয় দুর্গোৎসবের পর পূর্ণিমার রাতে বৃন্দাবনবাসী গোপীদের সঙ্গে রাসনৃত্যে মেতেছিলেন শ্রীকৃষ্ণ। এ কারণেই হয় রাস মেলা।

স্থানীয়দের কাছে এই মেলা নীল কমল নামে পরিচিত। মেলাকে কেন্দ্র করে বসে অস্থায়ী দোকানপাট। পাশাপাশি বাউল, কবিগান, কীর্ত্তন, জারি ও গাজিরগানসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

পাপমোচন ও মনস্কামনা পূর্ণের আশায় ভোরে সাগরের প্রথম জোয়ারের পানিতে মন্ত্র উচ্চারণ করে ফুল, মিষ্টি, ফলমূল ও জীবজন্তু উৎসর্গ করা হয়।

এ বিভাগের আরো খবর