সাতক্ষীরা সদর উপজেলার হাওয়ালখালি গ্রামে ‘ঘুমন্ত মায়ের পাশ থেকে চুরি হওয়া’ শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার মধ্যরাতে শিশুটির বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে মরদেহ উদ্ধার করে সদর থানা পুলিশ।
এ ঘটনায় শিশুটির মা ফতেমা খাতুন ও বাবা সোহাগ হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে পুলিশ লাইনে এ নিয়ে ব্রিফিং করেন সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান।
শিশুটির মা-বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদের তথ্য জানিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, শিশুটি খুবই অসুস্থ ছিল। সে জন্ডিস, নিউমোনিয়া ও হৃদরোগসহ নানা সমস্যায় ভুগছিল। ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে স্বামী-স্ত্রী মিলে শিশুটিকে হত্যা করে। এর পর মরদেহটি বাড়ির সামনের সেফটিক ট্যাংকিতে ফেলে দেয়।
গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ১৫ দিন বয়সী শিশুটি ঘুমন্ত মায়ের পাশ থেকে চুরি হয় বলে অভিযোগ করেছিলেন তার অভিভাবকরা। শুক্রবার দুপুরে শিশুটির বাবা সোহাগ সাতক্ষীরা সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
জিডির পর সদর থানা পুলিশ ও জেলা পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) শিশুটির খোঁজে মাঠে নামে। অভিযানের অংশ হিসেবে পুলিশ শিশুটির মা-বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। একপর্যায়ে তাদের আটকও করে পুলিশ সদস্যরা। পরে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতেই বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার করা হয় শিশু সোহানের মরদেহ।
এ ঘটনায় সাতক্ষীরা সদর থানার উপপরিদর্শক হানিফ শনিবার ওই দম্পতির বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান জানান, শিশুটির বাবা সোহাগকে থানায় নেয়া হয়েছে। মা ফতেমা অসুস্থ থাকায় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়ার জন্য তাদের আদালতে পাঠানো হবে।