মানিকগঞ্জে কলেজ ছাত্র তানভির আহম্মেদ জিসান (১৯) হত্যা মামলায় পাঁচ আসামির মধ্যে তিন জনকে দুইদিনের রিমান্ড দিয়েছে আদালত।
এর আগে বৃহস্পতিবার আরও দুই আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
শুক্রবার দুপুরে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক জান্নাতুল রাফিম সুলতানা রিমান্ড আদেশ দেন।
রিমান্ড পাওয়া আসামিরা হলেন, রাব্বি, নাজমুল ও শাহীন। আসামি হাসিবুল হাসান ও আজিজুল মোল্লা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এরা সবাই মানিগঞ্জের শিবালয় উপজেলার বাসিন্দা।
নিহত তানভির আহম্মেদ জিসান রাজধানীর মোহাম্মদপুর কাদেরাবাদ এলাকার শাহিন আলমের ছেলে ও মোহাম্মদপুর হাজী মুকবুল হোসেন ডিগ্রি কলেজের মানবিক শাখার একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ১৫ নভেম্বর দুপুরে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাসার পাশেই নানা বাড়িতে যাওয়ার কথা বলে বের হন জিসান। পরে তার কোনো খোঁজ পাওয়া না গেলে নানা বাড়িতে যোগাযোগ করে পরিবার। সেখান থেকে জানানো হয়, জিসান যাননি। পরে ২৩ নভেম্বর মোহাম্মদপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন বাবা শাহিন আলম।
গত ১৮ নভেম্বর দুপুরে মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার পাটুরিয়া ফেরি ঘাট এলাকায় ভাসমান অজ্ঞাতপরিচয়ের মরদেহ উদ্ধার করে নৌপুলিশ। মরদেহটির ময়নাতদন্ত শেষে দাফন করা হয়।
পরে জিসানের বাবা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে ছবি দেখে মরহেদটি জিসানের বলে শনাক্ত করেন।
২৫ নভেম্বর জিসানের বাবা শিবালয় থানায় অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করে মামলা করেন।
শিবালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ কবির জানান, বৃহস্পতিবার শিবালয় উপজেলায় অভিযান চালিয়ে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়। সেদিন দুজন জিসানকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। অন্য তিন জনকে শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে ৫ দিনের রিমান্ড চাইলে বিচারক দুইদিনের রিমান্ড দেন।