হত্যা মামলার পাঁচ বছর পর রায় এসেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এক বিচারিক আদালত থেকে।
রায়ে পাঁচ আসামিকে যাবজ্জীবন ও তিন জনকে এক বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
বুধবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ সফিউল আজম এ রায় দেন।
যাবজ্জীবন পেয়েছেন সরাইল উপজেলার সৈয়দটুলা ফকিরপাড়া গ্রামের শফিকুর রহমান, মোর্শেদ খন্দকার, সাহেদ আলম, আব্দুল হাই, মোবারক। তাদের মধ্যে মোর্শেদ খন্দকার ও মোবারক পলাতক।
এক বছর করে কারাদণ্ড পেয়েছেন সেলিম মিয়া, আবুল বাদশা, মামুন মিয়া। তাদের মধ্যে বাদশা পলাতক।
মামলায় বলা হয়, ২০১৪ সালের ১৩ আগস্ট রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সৈয়দটুলা জাহাঙ্গীরপাড়া গ্রামে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে নিজ বাড়ির পাশেই খুন হন শওকত আলী।
এ ঘটনায় নয় জনকে আসামি করে সরাইল থানায় মামলা করেন নিহতের বাবা আব্দুল বাতেন।
ছয় জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে মঙ্গলবার এই রায় দেন বিচারক। তবে রায়ে সন্তুষ্ট নয় মামলার বাদী। শওকতের বাবা বলেন, ‘পাঁচ বছর অপেক্ষার পর আমার ছেলের হত্যার বিচার পেলাম। আশা করেছিলাম আসামিদের মৃত্যুদণ্ড হবে।’
বাদীর আইনজীবী বশির আহমেদ নিউজবাংলাকে জানান, ‘এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করব।’
মামলার নয় আসামির মধ্যে আবুল কাশেম ২০১৭ সালে মারা গেছেন।