হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলায় ভাবীকে ধর্ষণের পর বিষ খাইয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে সৌদী প্রবাসী জানে আলমের বিরুদ্ধে।
সোমবার দুপুরে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তানিয়া আক্তার।
মৃত্যুর ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে চেষ্টা করে পরিবার। কিন্তু মঙ্গলবার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
তানিয়ার মামা আব্দুর রহিমের জানান, প্রায় তিন বছর আগে তানিয়া আক্তারের সঙ্গে বিয়ে হয় সৌদি প্রবাসী শাহ্ আলমের। বিয়ের কিছুদিন পরই শাহ্ আলম সৌদি আরব চলে যান। তাদের ২২ মাস বয়সী একটি সন্তান রয়েছে।
আব্দুর রহিমের অভিযোগ, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কিছু আগে শাহ্ আলমের ছোট ভাই জানে আলম দেশে ফেরেন। এরপর থেকেই নানাভাবে তানিয়াকে উত্ত্যক্ত করতেন। সে তানিয়াকে ধর্ষণও করেছে। গত রোববার বিষয়টি পরিবারের মধ্যে জানাজানি হলে তানিয়ার ঘরে ঢুকে জোর করে মুখে বিষ ঢেলে দেয় জানে আলম।
স্থানীয়রা তানিয়াকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে নেয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় পরদিন সকালে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তানিয়া বলেও জানান তিনি।
মঙ্গলবার বিকেলে হবিগঞ্জের সিনিয়র এএসপি পারভেজ আলম আলম চৌধুরী ও বাহুবল মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ কামরুজ্জামানসহ পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
সিনিয়র এএসপি পারভেজ আলম আলম চৌধুরী বলেন, ‘প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণের পর মুখে বিষ ঢেলে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পেয়েছি। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তদন্তের পর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।’
অভিযুক্ত জানে আলম পলাতক। এ ব্যাপারে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান তিনি।