বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আদালতে বিয়ে: স্ত্রী বাড়িতে, বর কারাগারে

  •    
  • ২৪ নভেম্বর, ২০২০ ১৯:৪০

মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী সরকার গিয়াস উদ্দিন মাহমুদ বলেন, বাদীর দাবি অনুযায়ী আসামি তাকে ফাঁদে ফেলে ছবি তুলেছে। সেই ছবি প্রবাসী স্বামীর নিকট পাঠানোর কারণে তাকে ডির্ভোস দিয়েছে। বাদী ও আসামি পক্ষ বিয়ের শর্তে আপোষ করে এসেছে।

ধর্ষণ ও পণোর্গ্রাফির মামলা থেকে বাঁচতে বাদী প্রবাসীর সাবেক স্ত্রীকে আদালতে বিয়ে করলেন। এতে জামিন পেলেও আপাতত মুক্তি মিলছে না কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের তরুণ সজিব হোসেন লিটনের (২৯)।

বিয়ের পর স্ত্রী বাড়িতে গেলেও তার ঠাঁই এখনও কারাগার।

জেলা আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটরের (পিপি) কক্ষে মঙ্গলবার এই বিয়ে হয়। ১০ লাখ টাকা দেন মোহরে বিয়ে পড়ান কাজী মাওলানা মো. অলি উল্লাহ ভুইয়া।

আইনি কার্যক্রম শেষে বুধবার মুক্তি পেতে পারেন লিটন।

এর আগে কুমিল্লার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. আতাব উল্লাহ আপোষের শর্তে তরুণকে জামিন দেন এবং আদালত আঙিনায় বিয়ের নির্দেশনা দেন।

মামলার বিবরণ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ভাঙ্গাপুস্করনী গ্রামের এক তরুণীর (২৪) বিয়ে হয়েছিল ওই উপজেলার এক সৌদি প্রবাসীর সঙ্গে। তাদের চার বছরের একটি ছেলে রয়েছে।

২০১৫ সালে প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে পরিচয় হয় একই উপজেলার পারুয়ারা গ্রামের সজিব হোসেন লিটনের (২৯)। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে গড়ে ওঠে দৈহিক সম্পর্ক।

সে সুযোগে নিজেদের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি তুলে তা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন সময় প্রবাসীর স্ত্রীর কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় লিটন। সেই ভিডিও পাঠানো হয় প্রবাসী স্বামীর পরিবারেও। এতে ওই নারীকে ডির্ভোস দেয় তার প্রবাসী স্বামী।

আবার পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেন লিটন। এবার অপারগতা প্রকাশ করে তার বিরুদ্ধে গত অক্টোবর মাসে চৌদ্দগ্রাম থানায় ধর্ষণ ও পণোর্গ্রাফি আইনে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী নারী।

পরে এই মামলায় লিটনকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।

মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী সরকার গিয়াস উদ্দিন মাহমুদ বলেন, বাদীর দাবি অনুযায়ী আসামি তাকে ফাঁদে ফেলে ছবি তুলেছে। সেই ছবি প্রবাসী স্বামীর নিকট পাঠানোর কারণে তাকে ডির্ভোস দিয়েছে। বাদী ও আসামিপক্ষ বিয়ের শর্তে আপোষ করে এসেছে।

‘মাননীয় আদালত আপোষের শর্তে আসামিকে জামিন দিয়েছেন। এ ছাড়া আদালত আঙিনায় বিয়ের নির্দেশনা দিয়েছেন। ১০ লাখ টাকা দেন মোহরে পিপির কক্ষে বিয়ে হয়েছে।’

আসামি পক্ষের আইনজীবী তারেকুল আলম রাসেল বলেন, মূলত বাদী ও আসামির মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। আসামিও জানতেন না বাদী বিবাহিত। এটা মূলত ভুল বোঝাবুঝি। এখন আপোষের কারণে আদালত জামিন দিয়েছেন এবং বিয়ের ব্যবস্থা করেছেন।

বিষয়টি নিয়ে বাদী ও আসামিপক্ষের বক্তব্য জানতে চাইলে তারা গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কোনো কথা বলতে রাজি হননি।

এ বিভাগের আরো খবর