ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার চতুল গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক কামরুল ইসলাম হত্যার সাত বছর পেরিয়ে গেলেও বিচার কাজ শেষ হয়নি।
সাত বছর পর এসে কামরুলের পরিবার হতাশায় পড়েছেন। পরিবারটির চাওয়া দ্রুততম সময়ে বিচারকাজ শেষ করে প্রকৃত দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা।
মামলার বাদী নিহতের ভাই এস এম খায়রুল ইসলাম জানান, ২০১৩ সালের ২৫ নভেম্বর বেলা তিনটার দিকে শিক্ষক কামরুল ইসলাম সাইকেলে বোয়ালমারী বাজারে যাওয়ার সময় চতুল চিতাঘাটা এলাকায় দুর্বৃত্তের হামলায় জখম হন। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র, তারপর ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
পরেরদিন ২৬ নভেম্বর বোয়ালমারী থানায় ১২ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতপরিচয়ের চার-পাঁচ জনকে আসামি করে মামলা করেন খায়রুল ইসলাম।
তিনি জানান, পুলিশ ২০১৪ সালের ২০ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দিলে বিচার কাজ শুরু হলেও সাত বছর পার হলেও বিচারকাজ শেষ হয়নি। আসামিরা জামিন নিয়ে এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তিনি দ্রুত বিচার কাজ শেষ করার দাবি জানান।
নিহত কামরুলের বৃদ্ধা মা লাইলি বেগম জানান, পুত্র শোক সইতে না পেরে এক বছরের মধ্যে মারা গেছেন বাবা আবুল হাসেম মাস্টার। মৃত্যুর আগে সন্তান হত্যাকারীদের বিচার দেখে যেতে চান শোকে কাতর এই মা।
নিহতের স্ত্রী তানজিলা খানম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘স্বামীর হত্যাকারীদের চোখের সামনে দিয়ে বীরদর্পে ঘুরে বেড়ানো ও কটু কথা সইতে না পেরে স্বামীর বাড়ি ছেড়েছি। আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করি, ন্যায় বিচার যেন প্রতিষ্ঠিত হয়।’
নিহতের বোন তাসলিমা আক্তার দাবি করেন, আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের পক্ষে উকিল নিয়োগ দেয়াও সম্ভব হয়নি। মামলাটি পরিচালনা করছেন অতিরিক্ত সরকারি কৌসুলী এম এ সালাম।
কৌসুলী এম এ সালাম আশ্বস্ত করে জানান, মামলাটি সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে প্রত্যাশিত সময়ের মধ্যে রায় ঘোষণা হতে পারে।