বাবাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার বাঁশবাড়িয়া গ্রামের এক যুবককে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার ভোরে রাজধানীর শাজাহানপুর এলাকা থেকে ইমরান হোসেনকে গ্রেফতার করে রাতেই পটুয়াখালীর দশমিনায় নিয়ে আসা হয়।
বৃহস্পতিবার সকালে নিজ বাড়ির গোয়াল ঘর থেকে নাসরুল আলম হাওলাদার ওরফে নজরুলের (৪৫) বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই দিন থেকেই পলাতক ছিলেন তার বড় ছেলে ইমরান।
এ ঘটনায় শুক্রবার ছোট ছেলে ইসমাইল হোসেন তার মা রীনা বেগম ও বড় ভাই ইমরানকে আসামি করে দশমিনা থানায় হত্যা মামলা করেন।
দশমিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসিম উদ্দিন জানান, নজরুলের ঘাড়ের দুই-তৃতীয়াংশ কাটা অবস্থায় পাওয়া যায়। প্রাথমিকভাবে নজরুলের দ্বিতীয় স্ত্রী রীনা বেগমের কথাবার্তায় অসংলগ্নতা প্রকাশ পেলে তাকে তাৎক্ষণিক থানায় নিয়ে আসা হয়।
রীনাকে আদালতের মাধ্যমে জেলে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে তিনি পটুয়াখালী কারাগারে আছেন।
পটুয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ বিল্লাল হোসেন জানান, গ্রেফতারের পর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন ইমরান। প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ এবং মা রীনা বেগমকে নির্যাতন করার কারণে রেগে গিয়ে বাবাকে হত্যা করেন তিনি।
ইমরানের দেয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী হত্যায় ব্যবহৃত রক্তমাখা দা উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার তাকে আদালতে তোলার কথা রয়েছে।
নিহত কৃষক নজরুলের দ্বিতীয় স্ত্রীর দুই ছেলে ও এক মেয়ে সন্তান থাকলেও প্রথম স্ত্রীর ঘরে কোনো সন্তান নেই।