দিনাজপুর নার্সিং কলেজের আবাসিক ভবনে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে তিথি আকতার নামে এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
দিনাজপুর নার্সিং কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী তিথি ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার কুমারপাড়া গ্রামের আলমগীর ইসলামের মেয়ে।
সোমবার দুপুরে কলেজের আবাসিক ভবনের তৃতীয় তলার ৩০৭ নম্বর কক্ষ থেকে তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, তিথি আত্মহত্যার আগে তার বান্ধবীদের উদ্দেশে একটি চিরকুট লিখে গেছেন। চিরকুটে আত্মহত্যার জন্য কাউকে দায়ী করেননি তিনি।
কলেজের অধ্যক্ষ মাগদেলেনা সরেন জানান, তিথি সকালে ডাইনিংয়ে দেরি করে আসেন। বান্ধবীরা তাকে তাড়াতাড়ি নাস্তা করে পরীক্ষা কক্ষে আসতে বলে। তবে তিথি নাস্তা শেষ করে কক্ষে চলে যায়। সকাল ৯টায় পরীক্ষা শুরু হয়। সহপাঠীরা তাকে না দেখে তার কক্ষে খোঁজ নেন। তখন সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচানো অবস্থায় পাওয়া যায় তিথিকে।
পরে তাকে দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিথি কিছুদিন ধরে শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন।
তিথি চিরকুটে লিখেছেন, ‘আমাকে ক্ষমা করে দিও সবাই। কারও মনে যদি কষ্ট দিয়ে থাকি। বিদায় বান্ধবীরা। ইতি তোমাদের তিথি।’
চিরকুটে তারিখ ২৩/১১/২০২০ ও সময় সকাল ৯টা ২৫ মিনিট লেখা রয়েছে।
কোতোয়ালি থানার ওসি আসাদুজ্জামান জানান, তিথি কী কারণে আত্মহত্যা করেছেন তা জানা যায়নি। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে। স্বজনদের কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।