বরিশালের হিজলা উপজেলার এক কলেজ ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে।
সোমবার বরিশালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ওই ছাত্রী বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
এতে উপজেলার ডিক্রির চর এলাকার ইসমাইল খন্দকার নামের এক ছাত্রকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। তা ছাড়া সহযোগিতা দেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে ছাত্রের বাবা ও মামাসহ তিন জনের বিরুদ্ধে।
ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী আজিবর রহমান নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, হিজলা থানা-পুলিশকে তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দিয়েছে আদালত।
মামলার অন্য তিন আসামি হলেন ইসমাইলের বাবা মতি খন্দকার, মামা শহীদ ভূইয়া ও একই এলাকার জাহাঙ্গীর।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ইসমাইল রাজধানীতে থেকে পড়াশোনা করেন। করোনা পরিস্থিতিতে তিনি বাড়ি আসেন। তিনি ওই ছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দেন। এতে রাজি না হলে পরে তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন।
৫ নভেম্বর ছাত্রী তার মামার বাড়ি যাচ্ছিলেন। কৌশলে ছাত্রীকে ইসমাইল তার মামা শহীদ ভূঁইয়ার বাড়িতে নিয়ে যান। পরে ওই রাতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন।
৬ নভেম্বর সকালে ছাত্রীকে ঢাকা নিয়ে যান ইসমাইল। পরে একটি আবাসিক হোটেলে আটকে রেখে তাকে ধর্ষণ করেন। এরপর ৮ নভেম্বর মিরপুর এলাকার একটি বাসায় নিয়ে আবার তাকে ধর্ষণ করা হয়।
এ সময় ছাত্রী বিয়ের দাবি জানালে তাকে বিদেশ পাচার করার হুমকি দেন। পরে খবর পেয়ে ছাত্রীর বাবা ও খালু গিয়ে তাকে উদ্ধার করেন। তাদের কাছ থেকে সাদা কাগজে জোর করে সই রাখার অভিযোগও রয়েছে।