মাগুরা সদর উপজেলায় স্বামীকে গাছে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে (৪৫) সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পার হলেও গ্রেফতার হয়নি কোনো আসামি।
ধর্ষণের ঘটনার ১২ ঘণ্টা পর রোববার দুপুরে মামলা করেন ওই নারী। মামলায় অজ্ঞাতনামা পাঁচ জনকে আসামি করা হয়।
সোমবার বিকেল পর্যন্ত কোনো আসামিকে চিহ্নিত করতে পারেনি মাগুরা পুলিশ।
মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন নিউজবাংলাকে বলেন, আসামিদের চিহ্নিত করতে দেরি হলেও তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে ওই নারীর স্বামী নিউজবাংলাকে জানান, তারা এখনও র্যাবের সঙ্গে জাগলা গ্রামেই আছেন। রাতের অন্ধকারে যতটুকু দেখেছেন ততটুকু মনে করে অপরাধীদের চেনার চেষ্টা করছেন তারা।
তিনি বলেন ‘পাষণ্ডরা গরিব মানুষরেও ছাড়ে না। আমার স্ত্রী মানসিকভাবে ভেঙে পড়ছে। শারীরিকভাবেও সে অসুস্থ।’
ওসি জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ ও র্যাবের যৌথ অভিযান চলছে। ভুক্তভোগীদের সঙ্গে নিয়েই এই অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। তারা ওই এলাকার বাসিন্দা না হওয়ায় সন্দেহভাজনদের দেখিয়ে চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।
প্রতিবেশী জেলা ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলা থেকে ধান কিনতে মাগুরা আসে ওই দম্পতি।
ওই নারীর স্বামী জানান, চলতি আমন মৌসুমে বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে ঘোড়ার গাড়িতে করে মাঠ থেকে ধান সংগ্রহ করে কৃষকের বাড়িতে পৌঁছে দেয়ার কাজ করছিলেন তারা। ২০ দিন আগে কাজের জন্য নিজ জেলা ঝিনাইদহ থেকে মাগুরা সদর উপজেলার জাগলা গ্রামে আসেন স্বামী-স্ত্রী দুজন। কাজের পাশাপাশি মাঠের এক জায়গায় তাঁবু খাটিয়ে রাতে থাকতেন তারা।
তিনি অভিযোগ করেন, শনিবার রাতে অপরিচিত পাঁচ জনের একটি দল অস্ত্র নিয়ে তাদের তাঁবুতে ঢুকে পড়ে। তাকে জিম্মি করে একটি গাছে বেঁধে তার স্ত্রীকে ধর্ষণ করে। এ সময় ধর্ষণকারীরা তাদের কাছে থাকা ৫ হাজার টাকাও ছিনিয়ে নেয়। ঘটনা কাউকে না জানানোর জন্য হুমকি দিয়ে চলে যায়।
পরবর্তী সময়ে তাদের চিৎকারে এলাকার লোকজন আসে। তারা তাদের উদ্ধার করে পুলিশে খবর দেয়।