চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদার মাথাভাঙ্গা নদী থেকে একটি কঙ্কাল উদ্ধার করেছে পুলিশ। সঙ্গে থাকা জিনিসপত্র দেখে, কুষ্টিয়ার মিরপুরের এক দম্পতি ধারণা করছেন, এটি আড়াই মাস আগে নিখোঁজ হওয়া তাদের মেয়ের।
শনিবার বিকেলে দামুড়হুদার উজিরপুর গ্রামের কওমি মাদ্রাসার পেছনে মাথাভাঙ্গা নদীর তীরে কঙ্কালের ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা খুলি ও হাড় উদ্ধার করে পুলিশ।
সঙ্গে পাওয়া যায় ভ্যানিটি ব্যাগ, পরনের কাপড়, জেএসসি পরীক্ষার সার্টিফিকেট ও মার্কসিট।
রোববার দুপুরে দামুড়হুদা মডেল থানায় এসে এসব দেখে দেহাবশেষটি নিজেদের সন্তান মিম খানমের বলে শনাক্ত করেন কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার পিপুলবাড়িয়ার মধু খান-সারেজান নেছা দম্পতি।
তবে পরিচয় নিশ্চিত হতে খুলি, হাড়সহ বিভিন্ন অংশ পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
নদীর তীরে পড়ে থাকা খুলি।
সারেজান নেছা জানান, গত দুই মাস ২২ দিন আগে নানি বাড়ি কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার সুলতানপুরে বেড়াতে গিয়ে নিখোঁজ হয় তার ১৮ বছর বয়সী মেয়ে মিম। অনেক খোঁজাখুজি করেও সন্ধান মেলেনি।
স্বজনরা জানান, মাস তিনেক আগে প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে একই এলাকার একটি ছেলের সঙ্গে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান একাদশ শ্রেণির এই শিক্ষার্থী।
পুলিশের ধারণা, মিমকে হত্যা করে তার মরদেহ ও ব্যবহৃত জিনিসপত্র মাথাভাঙ্গা নদীর তীরে আবর্জনার মধ্যে পুঁতে রাখা হয়েছিল।
দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল খালেক জানান, শনিবার রাতেই ওই ঘটনায় হত্যা মামলা করেছেন উপ-পরিদর্শক কেরামত আলী। জড়িতদের গ্রেফতার করতে অভিযান চালানো হচ্ছে।