বরিশালের গৌরনদীতে যাত্রী বোঝাই বাসে ড্রামে নারীর লাশের রহস্য উন্মোচন হয়নি এক দিনেও। নিহতের পরিচয় পাওয়া গেছে। এটা জানা গেছে, ড্রামের সঙ্গে দুই জন ছিলেন। তবে তারা কারা, প্রশ্নের জবাব মিলছে না।
পুলিশ অবশ্য বলছে, কিছু তথ্য তারা পেয়েছে, তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই প্রকাশ করতে চাইছে না তারা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বরিশাল কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের কয়েকজন বাস মালিক ও শ্রমিক জানান, ২৩০ টাকা ভাড়ায় লাশ ড্রামে ভরে বরিশাল থেকে গৌরনদীর ভুরঘাটা বাসস্ট্যান্ডে নেয়া হয়। সেখানে পৌঁছানোর পর ভ্যান আনার কথা বলে সটকে পড়েন ড্রামের সঙ্গে থাকা দুই ব্যক্তি।
তারা জানান, শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় আরসি পরিবহনের একটি বাস কেন্দ্রীয় টার্মিনাল নথুল্লাবাদ থেকে ভুরঘাটার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। পথে নগরীর গড়িয়ারপার কাউন্টার থেকে দুই ব্যক্তি কাচের জিনিস বলে একটি ড্রাম গাড়িতে ওঠান। ২৫০ টাকা ভাড়া হলেও ওই দুই ব্যক্তি পরে ২৩০ টাকা ভাড়া দেন। পাঞ্জাবী পরা মধ্যবয়সী ব্যক্তি বাসের ইঞ্জিন কভারের উপর বসে ছিলেন।
ভুরঘাটা পৌঁছানোর পর তারা ভ্যান আনার কথা বলে সেখান থেকে চলে যান। অনেক সময় পার হলেও ওই দুই ব্যক্তি না ফেরায় বাসের স্টাফরা স্থানীয়দের সহায়তায় বাসস্ট্যান্ডে ড্রামটি খোলেন। সেখানে এক নারীর লাশ দেখতে পাওয়া যায়।
গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসেন জানান, ঘটনা তদন্তে এবং জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশের একাধিক দল কাজ করছে।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহত নারীর নাম সাবিনা বেগম। তিনি বরিশালের গৌরনদীর এক কুয়েত প্রবাসীর স্ত্রী। দুই শিশু সন্তান নিয়ে ঢাকায় বসবাস করতেন। সাবিনা শুক্রবার সকালে ঢাকা থেকে শ্বশুর বাড়িতে আসেন। সেখানে শাশুড়ির কাছে বাচ্চাদের রেখে বরিশালে গিয়েছিলেন।