নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিউবো) স্থানীয় বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের আটটি জেনারেটরের মধ্যে ছয়টি বিকল হয়ে গেছে। এ কারণে চাহিদার এক-তৃতীয়াংশ বিদ্যুৎও পাচ্ছেন না গ্রাহকরা।
সর্বশেষ ৩১ অক্টোবর বিকেলে এক মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন একটি জেনারেটর বিকল হলে ভোগান্তির সীমা ছাড়িয়ে যায়।
বিউবো হাতিয়া আবাসিক প্রকৌশলীর কার্যালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ উপজেলায় বিদ্যুতের গ্রাহক রয়েছেন প্রায় ২ হাজার ৯৩১ জন। বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে প্রায় দুই মেগাওয়াট। বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য হাতিয়া বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে আটটি জেনারেটর আছে।
এর মধ্যে পাঁচটি অনেক আগেই বিকল হয়। বাকি তিনটি জেনারেটরের মধ্যে এক মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন একটি জেনারেটর বিকল হয়ে যাওয়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদন ৭ শ কিলোওয়াটে নেমে এসেছে।
উপজেলার ওছখালী বাজারের ব্যবসায়ী আবদুস ছোবাহান নিউজবাংলাকে বলেন, আগে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা এবং বিকেল ৩টা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত দুই ধাপে প্রায় ১৩ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ থাকত। বড় জেনারেটরটা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় এখন গড়ে ৩ ঘণ্টাও বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে না। এতে তাদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
হাতিয়া পৌরসভার বাসিন্দা নুর উদ্দিন বলেন, ‘হাতিয়া আবাসিক প্রকৌশলীর কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মোটা অংকের ঘুষ নিয়ে অবৈধ সংযোগ দিয়েছেন। যার কারণে প্রকৃত গ্রাহকরা বিদ্যুৎ পাচ্ছেন না।’
কর্মকর্তা কর্মচারীদের ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ উড়িয়ে দেন বিউবো হাতিয়া আবাসিক প্রকৌশলী মশিউর রহমান।
তিনি বলেন, বর্তমানে যেটুকু বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়, তা দিয়ে উপজেলা পরিষদ ও হাসপাতালে ১০ ঘণ্টা এবং সাধারণ গ্রাহক এলাকায় ৩-৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। বিকল এক মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন একটি জেনারেটরসহ তিনটি জেনারেটর মেরামতের কাজ চলছে। শিগগিরই বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক পর্যায়ে চলে আসবে।