রাঙ্গামাটি সদরে দুদিনের ১৬তম দানোত্তম কঠিন চীবর দান উৎসবে অংশ নিয়েছেন হাজারো পুণ্যার্থী।
শুক্রবার বিকেলে জীবতলী ইউনিয়নের ধনপাতা সাধনা বনবিহারে শেষ হয় বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের শ্রেষ্ঠ দান উৎসব কঠিন চীবর দান।
বিহার পরিচালনা সভাপতি রূপায়ন চাকমা জানান, উদ্বোধনী ধর্মীয় সঙ্গীত পরিবেশনার মধ্যদিয়ে শুরু হয় দুইদিনব্যাপী দান উৎসবের দ্বিতীয় দিন। সকালে বৌদ্ধরত্ন উপাধিপ্রাপ্ত ও বনভান্তের প্রধাণশিষ্য ভদন্ত শ্রীমৎ নন্দপাল মহাস্থবিরকে ফুল দিয়ে বরণ করেন ভক্তরা।
বিহার পরিচালনা কমিটির উপদেষ্ট স্বপন দত্ত চাকমা অনুষ্ঠান পরিচালনায় পঞ্চশীল পাঠ করেন কিরণময় চাকমা। বিশেষ প্রার্থনা পাঠ করেন কাকলী চাকমা ও স্নেহা চাকমা।
দুপুরে কল্পতরু ও কঠিন চীবরকে পুরো বিহার এলাকা প্রদক্ষিণ করে আনন্দ শোভাযাত্রা করা হয়। এতে অংশ নেন কয়েক হাজার পুণ্যার্থী।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিহার পরিচালনা সভাপতি রূপায়ন চাকমা ও বিহার পরিচালনা উন্নয়ন কমিটির কিরণ ব্রত চাকমা। ধর্ম দেশনা দেন বৌদ্ধরত্ন উপাধিপ্রাপ্ত ও বনভান্তের প্রধাণশিষ্য ভদন্ত শ্রীমৎ নন্দপাল মহাস্থবির।
গৌতম বুদ্ধের প্রধান সেবিকা মহাপুণ্যবতী বিশাখা প্রবর্তিত নিয়মে তুলা থেকে সুতা ও সুতা থেকে ভিক্ষুদের পরিধেয় বস্ত্র (চীবর) বুননের মধ্যদিয়ে বুদ্ধপূজা হয়। বুদ্ধমূর্তিদান, সংঘদান, অষ্টপরিষ্কার দান, কঠিন চীবর দান পঞ্চশীল প্রার্থনা, সুত্রপাঠ, ধর্মীয় দেশনা, কল্পতরু প্রদক্ষিণ ও ফানুস বাতি উৎসর্গসহ নানা ধরণের দান সম্পন্ন হয়।
ভিক্ষুদের মধ্য উপস্থিত ছিলেন দীঘিনালা বনবিহার আবাসিক সিনিয়র ভিক্ষু ভদন্ত শ্রীমৎ শুভবর্ধণ মহাস্থবির, পারমী বৌদ্ধ বিহারের ধর্মানন্দ স্থবির, ধনপাতা সাধনা বনবিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত শ্রীমৎ নতুন বংশ ভিক্ষুসহ অন্যান্য ভিক্ষু সংঘ।
ধর্মীয় নানা আচার-অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে শুরু হয়েছিল কঠিন চীবর দান উৎসব।