বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আশুলিয়ায় পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভ-মানববন্ধন

  •    
  • ১৮ নভেম্বর, ২০২০ ১৫:২৮

শ্রমিকদের অভিযোগ, বেতন-ভাতা পরিশোধ না করেই কারখানা বন্ধ করে দিয়েছে ডিইপিজেডের এ ওয়ান বিডি লিমিটেড কারখানা কর্তৃপক্ষ। এর পর কেটে গেছে ১০ মাস। কিন্তু পাওনা পরিশোধ করা হয়নি।

বকেয়া বেতন-ভাতার দাবিতে দিনব্যাপী মহাসড়কে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন। আধপেটা হয়েও দিয়েছেন স্লোগান। রাতেও দাবি আদায়ের অনড় ছিলেন কিছু পোশাক শ্রমিক। যাদের বেশিরভাগ নারী। ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটামে কেউ নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন। কেউ আবার পাতা চটের ওপরেই কোনরকম চোখ বুঝেছেন।

মঙ্গলবার সাভারে আশুলিয়া প্রেসক্লাবের সামনে দেখা যায় অবস্থান কর্মসূচিতে থাকা কয়েকশ পোশাক শ্রমিককে।

এর আগে সকালে তারা নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের ডিইপিজেড এলাকায় বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেন। মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে দুপুরের দিকে অবস্থান নেন আশুলিয়া প্রেসক্লাব চত্বরে। এ সময় তাদের কর্মসূচিতে একাত্মতা জানান সাভার ও আশুলিয়ার অন্তত ২৭টি শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

শ্রমিকদের অভিযোগ, বেতন-ভাতা পরিশোধ না করেই কারখানা বন্ধ করে দিয়েছে ডিইপিজেডের এ ওয়ান বিডি লিমিটেড কারখানা কর্তৃপক্ষ। এর পর কেটে গেছে দশ মাস। কিন্তু পাওনা পরিশোধ করা হয়নি।

কারখানার এক সময়ের অপারেটর পারভিন বেগম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘প্রায় এগারশ শ্রমিকের ১০ মাসের বকেয়া বেতন-ভাতা ও প্রোফিডেন্ট ফান্ডের টাকা পরিশোধ করা হয়নি। তাই গতকাল সকাল থেকে আন্দোলন করছি। দাবি আদায়ে রাতেও আমরা প্রেসক্লাবের সামনেই ছিলাম। সারা রাত নির্ঘুম কাটিয়েছি। গতকাল সকাল থেকে এ পর্যন্ত একবার খেয়েছি।’

শ্রমিক নূরজাহান বেগম বলেন, করোনার সময় চাকরি হারিয়ে একে তো দিশেহারা অবস্থা। তারপর মালিকপক্ষ তাদের পাওনা দিচ্ছে না। এতে করে বাসা ভাড়া বকেয়া পড়ে গেছে। বাসা মালিকসহ পাওনাদাররা টাকার জন্য চাপ দিচ্ছে। নিরুপায় হয়ে গত চার মাস ধরে তারা আন্দোলন করছেন। কিন্তু মালিকপক্ষ ও বেপজা কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না। উল্টো পুলিশ দিয়ে তাদের ওপর লাঠিচার্জ করানো হচ্ছে।’

গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাংগঠনিক সম্পাদক খায়রুল মামুন মিন্টু নিউজবাংলাকে, ‘আমি নিজেও গতকাল রাত ১২টা পর্যন্ত শ্রমিকদের সঙ্গে ছিলাম। আমি চলে যাওয়ার পরে বেপজা কর্তৃপক্ষ এসেছিল। সেখানে তারা শ্রমিক প্রতিনিধি ও নেতাদের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘গত ১১ মাস ধরে এতগুলো শ্রমিক করোনাভাইরাসের মধ্যেও সড়কে বিক্ষোভ করেছে। রোদ, বৃষ্টি ও শীত উপেক্ষা করে তারা নিজেদের পাওনা টাকার জন্য আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু সরকার এতদিনেও এই সমস্যা সমাধানে কোন উদ্যোগ নেয়নি।’

এ বিভাগের আরো খবর