ভারত রফতানি বন্ধের পর দেশের বাজারে পেঁয়াজের মূল্যে ঊর্ধ্বগতি চলছে। বাজারে পেঁয়াজের কেজি এখন ১০০ টাকার কাছাকাছি। অস্বাভাবিকভাবে দাম বৃদ্ধির জন্য পেঁয়াজের সরবরাহ ঘাটতির কথা বলছেন ব্যবসায়ীরা। অথচ দেশের অন্যতম বড় পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের চাক্তাই খালে অসংখ্য পচা পেঁয়াজ ফেলে দিয়েছেন আড়তদাররা।
মঙ্গলবার সকালে চাক্তাই খালে পচা পেঁয়াজ দেখে বিস্ময় ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন।
তিনি বলেন, ‘দেশে পেঁয়াজের সংকট চলছে। এরমধ্যে কিছু ব্যবসায়ী পেঁয়াজ আমদানি করে মজুদ করেছে। দাম বাড়ার জন্য আড়তে রাখতে রাখতে পেঁয়াজগুলো পচে গেছে। এসব পচা পেয়াজ চাক্তাই খালে ফেলে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
‘আমরা প্রশাসনের প্রতি অনুরোধে জানিয়েছি যেন খাতুনগঞ্জের আড়তগুলোতে অভিযান চালানো হয়।’
গত ১৪ সেপ্টেম্বর ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বৈদেশিক বাণিজ্য অধিদফতর পেঁয়াজ রফতানি নিষিদ্ধের ঘোষণা দেয়। এই ঘোষণার পর বাংলাদেশে ভারত থেকে পেঁয়াজ আসা বন্ধ হয়ে যায়।
সেই সংকটের সুযোগ নিয়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী পেঁয়াজ মজুদ করতে থাকে। প্রয়োজনীয় পণ্য পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায় বাজারে। এরমধ্যে চাক্তাই-খাতুনগঞ্জে অভিযান চালিয়ে পেঁয়াজ মজুদের প্রমাণ পায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। এজন্য একাধিক ব্যবসায়ীকে জরিমানাও করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
জানতে চাইলে খাতুনগঞ্জ হামিদুল্লাহ মিয়া মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ইদ্রিছ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করছে। অনেকের চালানে পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। হয়তো নষ্ট হয়ে যাওয়া পেঁয়াজ খালে ফেলে দিয়েছে। মজুদ করতে গিয়ে পেঁয়াজ পচার কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই।’