রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া যৌনপল্লি থেকে এক তরুণীকে রোববার গভীর রাতে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় নারীসহ তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন দৌলতদিয়া যৌনপল্লির বাসিন্দা নাজমা বেগম এবং নাটোরের লালপুর উপজেলার গোদরা গ্রামের রেজাউল করিম ও ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার পশ্চিম খাবাসপুর গ্রামের সাগর আহমেদ।
ওই তরুণী জানান, তার বাড়ি রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার একটি গ্রামে। খুব গরিব পরিবারের মেয়ে। ঢাকায় একটি দোকানে কাজ নেন। সেখানে মান্নান নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে পরিচয়।
তিনি বলেন, বিউটিপার্লারে ভালো বেতনে চাকরির প্রলোভন দেখান মান্নান। ১৩ নভেম্বর দৌলতদিয়া যৌনপল্লিতে ৫০ হাজার টাকায় নাজমা বাড়িওয়ালির কাছে তাকে বিক্রি করে দেন। এরপর একটি ঘরে আটকে রেখে তাকে যৌন ব্যবসায় বাধ্য করা হয়। রোববার গভীর রাতে তিনি কৌশলে পালিয়ে আসেন। তাকে ধরার জন্য বাড়িওয়ালিসহ চার জন ধাওয়া দেন। তার চিৎকার শুনে বাসিন্দারা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করেন। তা ছাড়া তিন জনকে আটক করে পুলিশে দেন।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর নিউজবাংলাকে জানান, এ ঘটনায় চার জনকে আসামি করে সোমবার মানব পাচার আইনে মামলা হয়েছে। গ্রেফতার করা তিন জনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।