মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় এক গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ‘প্রেমের ফাঁদে’ ফেলে ধর্ষণ ও তার ভিডিও ধারণের পর সেটি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে তার ওপর আবার নির্যাতন চালানো হয়।
মঙ্গলবার বিকেলে ওই গৃহবধূ গজারিয়া থানায় মৌখিক অভিযোগের পর অভিযুক্তদের ধরতে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।
গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রইছ উদ্দিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ওই গৃহবধূ থানায় এসে মৌখিক অভিযোগ করেন। লিখিত অভিযোগ নেয়ার আগেই আমরা অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান শুরু করেছি। ফিরে গিয়েই অভিযোগটি লিখিত আকারে নেয়া হবে।’
ধর্ষণের শিকার নারী জানান, দেড় বছর আগে নতুন বসতঘরে বৈদ্যুতিক ওয়্যারিংয়ের কাজ করতে এলে ইলেকট্রিশিয়ান রফিক মিয়ার (৩৪) সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এরপর তাদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একদিন বাড়ি ফাঁকা পেয়ে রফিক তাকে কোমল পানীয়ের সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে ধর্ষণ ও তার ভিডিও করেন। পরে ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে তাকে কয়েকবার ধর্ষণ করেন রফিক।
কয়েক মাস আগে রফিক ও তার পাঁচ-ছয়জন বন্ধু ওই গৃহবধূকে নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর এলাকায় নিয়ে ধর্ষণ করে আবারও ভিডিও ধারণ করেন। লোকলজ্জার ভয়ে বিষয়টি তখন তিনি কাউকে জানাননি। সম্প্রতি ভিডিওটি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়লে অভিযোগ করতে যান ওই নারী।
ওসি রইছ উদ্দিন বলেন, প্রাথমিক তদন্তে ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। গৃহবধূ সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন কিনা তা তদন্তের পর বলা যাবে।