কুমিল্লার দেবিদ্বারের মেসি খ্যাত মাহমুদ হাসান মারা গেছেন। রোববার বাদ মাগরিব জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার মৃতদেহ দাফন করা হয়।
মৃত মাহমুদ উপজেলার রাজমেহের এলাকার আবদুল বারেকের ছেলে। স্বজনেরা বলেন, হতাশা ঘিরে ধরে ছিল মাহমুদকে। অনেকটা চাপা অভিমান নিয়ে বিষপান করেন।
মৃতের স্বজনরা জানান, চার ভাইবোনের মধ্যে সবার ছোট মাহমুদ হাসান। সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, কুমিল্লায় বিএড (সম্মান) অষ্টম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী ছিলেন। উচ্চ মাধ্যমিক পাসের পর তার বন্ধুরা প্রায় সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পায়। কিন্তু তিনি সুযোগ পাননি।
এ নিয়ে মাহমুদ হতাশ হয়ে পড়েন। এ ছাড়া কর্মজীবন কেমন হবে তা নিয়েও তার দুশ্চিন্তা ছিল। এ অবস্থা থেকে মাহমুদ বেরিয়ে আসতে পারেননি। এর আগেও তিনি কয়েকবার ঘুমের বড়ি খেয়েছিলেন।
মাহমুদ হাসানের স্বজনরা জানান, শনিবার সন্ধ্যায় কীটনাশক খান মাহমুদ। এ সময় বন্ধুদের ডেকে এনে বলেন তাকে মাফ করে দেয়ার জন্য। বন্ধুরা বিষয়টিতে গুরুত্ব দেননি। পরে মাহমুদ অসুস্থ হয়ে পড়েন।
প্রথমে তাকে পাশের চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা জানান, তার শরীরজুড়ে বিষ ছড়িয়ে পড়েছে।
এ অবস্থায় স্বজনরা তাকে ঢাকা মেডিক্যালে নেয়ার উদ্দেশে রওনা হন। পথে অ্যাম্বুলেন্সে ‘আল্লাহ আমাকে বাঁচাও, আমি ভুল করেছি’ বলে বাঁচার জন্য আকুতি জানান তিনি। ঢাকা মেডিক্যােলর কাছে পৌঁছাতে রাত ১০ টায় মারা যান মাহমুদ হাসান।
স্থানীয়রা জানান, ভালো ফুটবল খেলোয়াড় হওয়ায় মাহমুদকে এলাকার মানুষ মেসি বলে ডাকতেন।
কুমিল্লা সরকারি টির্চাস টেনিং কলেজের শিক্ষক কাজী বেলায়েল উল্লাহ জুয়েল জানান, মাহমুদ হাসান শিক্ষার্থী হিসেবে মেধাবী এবং বিনয়ী ছিলেন।দেবীদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল আনোয়ার বলেন, ময়নাতদন্ত শেষে রোববার বিকেলে মাহমুদের লাশ পারিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।