বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভোলায় হত্যা মামলায় ১৪ জনের যাবজ্জীবন

  •    
  • ১৫ নভেম্বর, ২০২০ ২১:৫৯

মামলার বিবরণে বলা হয়, ২০১৩ সালের ৩০ মে সন্ধ্যায় আবদুর রশিদ লালমোহন উপজেলার কর্তারহাট বাজার মসজিদে মাগরিবের নামাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে আসামিরা আবদুর রশিদের বাড়ির পাশ থেকে তাকে ধরে বাগানে নিয়ে যান। সেখানে তারা ধারালো দা দিয়ে আবদুর রশিদকে কুপিয়ে ধড় থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করেন।

ভোলার চরফ্যাশনের চাঞ্চল্যকর আবদুর রশিদ হত্যা মামলায় ১৪ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও চারজনকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত। রোববার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।

মামলার বিবরণে বলা হয়, চরফ্যাশন উপজেলার ওসমানগঞ্জ ইউনিয়নের উত্তর ফ্যাশন গ্রামের বাসিন্দা আবদুর রশিদ মিয়ার সঙ্গে দীর্ঘদিন যাবত প্রতিবেশী আবুল বাশার, নুর হোসেন ও নোমানের জমিজমা নিয়ে বিরোধ ও মামলা চলে আসছিল।

২০১৩ সালের ৩০ মে সন্ধ্যায় আবদুর রশিদ লালমোহন উপজেলার কর্তারহাট বাজার মসজিদে মাগরিবের নামাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে আসামিরা আবদুর রশিদের বাড়ির পাশ থেকে তাকে ধরে বাগানে নিয়ে যান। সেখানে তারা ধারালো দা দিয়ে আবদুর রশিদকে কুপিয়ে ধড় থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করেন।

এ ঘটনায় নিহতের ভাই মো. হানিফ চরফ্যাশন থানায় ১৮ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।

দণ্ডিত আসামিদের মধ্যে সাত জন কারাগারে আছেন। অপর সাত জন পলাতক রয়েছেন।

এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি মো. আমিনুল ইসলাম সরমান। আসামি পক্ষে ছিলেন সালাউদ্দিন, মোজাম্মেল হক, রমিজ উদ্দিন ও সিদ্দিকুর রহমান।

কৌঁসুলি আমিনুল ইসলাম রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, আদালতে তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে হত্যাকাণ্ডে আসামিদের সম্পৃক্ততার প্রমাণ করতে সক্ষম হওয়ায় আদালত এ রায় দিয়েছে৷

সাজা পাওয়া আসামিদের পরিবারের লোকজন জানান, এই হত্যাকাণ্ডে তাদের কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না৷ তাই তারা এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন৷

এ বিভাগের আরো খবর