টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে লাভলী আক্তার (২৭) নামের এক গৃহবধূর লাশ রেখে পালিয়ে গেছেন স্বামী লুৎফর রহমান।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, রোববার দুপুরে লাভলীকে বিষ খাওয়া অবস্থায় তার স্বামী লুৎফর হাসপাতালে নিয়ে আসেন। লুৎফরের ভাষ্যমতে, লাভলী আত্মহত্যা করতে বিষ খেয়েছেন। লাভলীর ভাই ওমর ফারুককে আত্মহত্যার খবর দিয়ে লাশ হাসপাতালে রেখে পালিয়ে গেছেন লুৎফর।
নাগরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ রোকনুজ্জামান জানান, লাভলী আক্তারকে চেষ্টা করেও বাচাঁনো যায়নি।
লাভলী আক্তার উপজেলার কোকাদাইর গ্রামের চাঁন মিয়ার মেয়ে। তার স্বামী লুৎফর একই উপজেলার বনগ্রাম এলাকার আরান আলীর ছেলে। তাদের তিনটি সন্তান রয়েছে।
লাভলীর ভাই ওমর ফারুক বলেন, ‘দাম্পত্য কলহের জেরে মাঝে মাঝেই লাভলীকে মারধর করতেন লুৎফর। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার শালিসও হয়েছে।
রোববার সকালে মোবাইল ফোনে স্বামীর মারধরের কথা জানিয়ে তাকে শ্বশুর বাড়ি থেকে নিয়ে আসতে বলেন লাভলী।’
ওমর ফারুক বলেন, ‘বোনকে আনার জন্য বের হলে দুলাভাই ফোন করে তার বিষ খাওয়ার কথা জানান। হাসপাতালে গিয়ে দেখি বোন মেঝেতে পড়ে আছে। আমার বোনকে মেরে জোর করে বিষ খাইয়ে আত্মহত্যা বলে প্রচার করা হচ্ছে।’
ঘটনার পর লুৎফরের বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। প্রতিবেশীরা জানান, লুৎফরের বাড়ির সবাই পালিয়ে গেছেন।
নাগরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিসুজ্জামান বলেন, ‘পুলিশ হাসপাতাল থেকে লাশ উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।’
ময়নাতদন্তে হত্যার প্রমাণ মিললে গৃহবধূর পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা নেয়া হবে বলে জানান ওসি।