নাম তার হারুন অর রশীদ বাদশা। বিয়ে নিয়েও ছিল তার বাদশাহী স্বপ্ন। বউ নিয়ে আসবেন উড়িয়ে। তাক লেগে যাবে এলাকায়।
সেই স্বপ্ন ঠিকই পূরণ করেছেন নাটোরের বাগাতিপাড়ার পাবনাপাড়ার গ্রামের প্রকৌশলী বাদশা। বিয়ের জন্য এক লাখ পঞ্চান্ন হাজার টাকায় ভাড়া করেন হেলিকপ্টার।
শনিবার দুপুর ১২টায় তাতে চেপেই বরের বেশে নাটোর থেকে রাজশাহীর গোদাগাড়ির রাজাবাড়ি হাট গ্রামের উদ্দেশে রওনা দেন। সঙ্গে ছিলেন দুই দুলাভাই ও এক ভাগনি। বাকি বরযাত্রীরা রওনা দেন সড়ক পথে।
বিকেলে হেলিকপ্টারে করে বউ নিয়ে বাদশা যখন উপজেলার সোনাপুর মাঠে নামেন তখন সেখানে তাদের অভ্যর্থনা জানান স্বজনরা। ভিড় জমিয়েছিলেন উৎসুক জনতাও।
বর ও কনে দুই জনেরই বাগাতিপাড়ার আর্মি ইউনিভার্সিটি অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজিতে (বাউয়েট) পড়ালেখা। সেখান থেকেই পরিচয়ের সূত্র ধরে দুই পরিবারের সম্মতিতে ঠিক হয় বিয়ে।
বাদশা বর্তমানে পাবনার ঈশ্বরদীর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে তড়িৎ প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত।
তার বাবা শিক্ষক নূরুল ইসলাম বলেন, ‘ছোটবেলায় বিমান উড়তে দেখে ছেলের শখ হয়েছিল হেলিকপ্টারে চড়ার। তখন মজার ছলে বলেছিলাম, বাবা তোমাকে হেলিকপ্টারে করেই বিয়ে দেব।’
বরের ভাগনি আফছানা খাতুন জানান, হেলিকপ্টারে চড়ে মামার বিয়ের অনুষ্ঠানে যাওয়া একেবারে অন্যরকম ব্যাপার।
বরযাত্রী দয়ারামপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মাহাবুর ইসলাম মিঠু বলেন, হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ের ঘটনা তার এলাকায় এটিই প্রথম। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ দেখা দেয়।
বর বাদশা বলেন, ‘আমার দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিল হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে যাওয়ার। বাবার চেষ্টায় সেই স্বপ্ন পূরণ হলো।’
প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে কথা না বলে মিষ্টি হাসেন কনে উর্মী আক্তার এনি।
বাগাতিপাড়া মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু সাদাত বলেন, থানায় জানিয়ে বিয়ের আয়োজন করায় হেলিকপ্টারসহ লোকজনের নিরাপত্তায় পুলিশ দায়িত্ব পালন করেছে।