মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক মেনে নিতে না পেরে জামাতা সাকিব হোসেনকে ফাঁসানোর পরিকল্পনা করেন স্বপন মিয়া। কিন্তু কে জানত, নিজের পাতানো ফাঁদে শেষ পর্যন্ত ধরা পড়বেন শ্বশুর নিজেই।
কুমিল্লার লালমাই উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে।
লালমাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আইয়ুব জানান, ৩ নভেম্বর অটোরিকশা চালক সাকিবের অটোরিকশায় পাঁচটি ইয়াবা ট্যাবলেট রেখে ফোন করেন স্বপন। পুলিশ ইয়াবার খবর পেয়ে চেকপোস্ট বসিয়ে সাকিবকে গ্রেফতার করে। এ সময় পুলিশ দেখে বিভ্রান্ত হননি তিনি। পালিয়ে যাওয়ারও চেষ্টা করেনি। নতুন অটোরিকশার আসন কেটে মাত্র পাঁচটি ইয়াবা রাখা দেখে পুলিশের সন্দেহ হয়। তদন্তে নামে পুলিশ সদস্যরা।
এ ছাড়া লালমাই এলাকায় সাকিবের বিষয়ে খোঁজখবর করে তার বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসা বা সেবনের কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। পরে পুলিশ প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে জানতে পারে, অটোরিকশায় ইয়াবা রেখেছেন শ্বশুর স্বপন নিজেই।
তিন বছর প্রেম করে ২০১৭ সালের মে মাসে বেলতলী গ্রামের বাসিন্দা স্বপন মিয়ার মেয়েকে বিয়ে করেন একই উপজেলার তুলাতলী এলাকার সাকিব।
সেই সময়ই জামাতা সাকিবের বিরুদ্ধে কুমিল্লার আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন স্বপন। এক মাস ১০ দিন জেল খেটে জামিনে বের হন সাকিব।
তার পক্ষের আইনজীবীরা জানান, সাক্ষ্য প্রমাণ না পাওয়ার কারণে মামলাটি আগামী শুনানিতে নিষ্পত্তি হয়ে যাবে। এ খবরেই সাকিবকে আবার ফাঁসানোর পরিকল্পনা করেন তার শ্বশুর।
জামাতাকে ফাঁসানোর অভিযোগে ১১ নভেম্বর স্বপনকে গ্রেফতার করা হয়। পরের দিন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম মাহবুব খানের আদালতে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। স্বপন মিয়া এখন কারাগারে।