ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পারিবারিক বিরোধের জেরে হাফসা নামে দেড় বছরের এক শিশুর মাথা তার চাচারা ফাটিয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
সে আখাউড়া উপজেলার উত্তর ইউনিয়নের কৌড়াতলী ঋষিপাড়া গ্রামের ডালিম ও ফুলি বেগমের মেয়ে।
ডালিম-ফুলি দম্পতির অভিযোগ, বুধবার বিকেলে নিজ বাড়িতেই চাচাদের লাঠির আঘাতে হাফসার মাথা ফেটে যায়। এসময় তারাও হামলার শিকার হন তারা। পরে স্থানীয়রা তাদের তিন জনকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কুমারশীল এলাকার দি ল্যাব এইড হাসপাতালে ভর্তি করেন।
তবে ডালিম মিয়ার ভাই সৈয়দ মিয়া বলছেন, অভিযোগ সত্য নয়। ডালিম মাদকাসক্ত। ডালিমের ছুরিতেই তার বাচ্চার মাথা কেটে গেছে।
ডালিম মিয়া জানান, টাকা লেনদেনসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ভাইদের সঙ্গে তার পারিবারিক ঝামেলা চলছে। তিন বছর আগে তিনি বিদেশ যাওয়ার সময় দুই ভাইয়ের কাছ থেকে ৬০ হাজার টাকা ধার নেন। দেশে এসে তিনি ভাইদের ৩৫ হাজার টাকা পরিশোধ করেন।
বাকি টাকার জন্য বুধবার বিকেলে সৈয়দ মিয়া, টুটুল মিয়া ও জুয়েল মিয়া তার পরিবারের ওপর হামলা করে। এ সময় তার দেড় বছরের শিশু হাফসাকে তারা লাঠি দিয়ে আঘাত করে মাথা ফাটিয়ে দেন।
তবে ডালিম মিয়ার ভাই সৈয়দ মিয়া বলেন, ‘ডালিম মাদকাসক্ত। আমরা টাকা চাইতে গেলে এক পর্যায়ে কথা কাটাকাটির মধ্যে ডালিম ছুরি নিয়ে আমাদের আঘাত করতে গেলে তার বাচ্চার মাথায় লাগে। আমরা তাদের মারিনি। তারা নিজেরাই শিশুর শরীরে আঘাত করেছে।’
ডালিম মিয়ার অভিযোগ, ঘটনার পর তিনি থানায় গেলেও পুলিশ তাদের তাড়িয়ে দিয়েছে।
অভিযোগ অস্বীকার করে আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রসুল আহমেদ নিজামী জানান, তাকে তাড়িয়ে দেয়া হয়নি। তিনি চাইলে অভিযোগ করতে পারেন। তিনি জানান, শিশুটিকে মারধরের ঘটনা সত্যি হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।