কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে ওমর চান ওরফে সাচ্চু হত্যা মামলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের তদন্ত ব্যুরো (পিবিআই) বুধবার রাতে তাকে আটক করে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে আব্দুল্লাহ আল মামুনকে আদালতে হাজির করলে অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম আল মামুন তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও কিশোরগঞ্জ পিবিআইয়ের পরিদর্শক মজিবুর রহমান জানান, আব্দুল্লাহ আল মামুনের নির্দেশে ও তার পরিকল্পনায় সাচ্চুকে হত্যা করা হয়। এর আগে গ্রেফতার করা আসামি নান্টু ও আল আমীনের স্বীকারোক্তিতে মামুনের নাম উঠে আসে বলেও তিনি জানান।
পিবিআইয়ের পরিদর্শক মজিবুর রহমান আরও জানান, ২০১৭ সালের ২৭ জুন রাতে খুন হন সাচ্চু। এ ব্যাপারে ঘটনার পরদিন থানায় মামলা করেন সাচ্চুর বড় ভাই জামাল মিয়া। মামলা তদন্ত করতে গিয়ে তিনি জানতে পারেন, সাচ্চুর ছোট ভাই লায়েস মিয়ার সঙ্গে মামুনের ব্যবসায়িক লেনদেন নিয়ে বিরোধ ছিল।
এর জের ধরেই দুই লক্ষ টাকার চুক্তিতে লায়েসকে খুন করার পরিকল্পনা করা হয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী দুষ্কৃতকারীরা ২০১৭ সালের ২৭ জুন রাতে বাজিতপুরের পশ্চিম বসন্তপুরে লায়েসের বাসায় হানা দেয়। কিন্তু ওই রাতে লায়েস বাসায় ছিলেন না। তার ছোট ভাই সাচ্চু মশারি টানিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন ঘরে। দুষ্কৃতকারীরা লায়েস মনে করে মারপিট ও ছুরিকাঘাতে সাচ্চুকে হত্যা করে।
পিবিআইয়ের পরিদর্শক মজিবুর রহমান মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পেয়ে গত ২১ অক্টোবর সন্দেহজনক আসামি নান্টু মিয়াকে (২৮) গ্রেফতার করেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে দুই লক্ষ টাকার চুক্তিতে সাচ্চুকে হত্যার ঘটনা বেরিয়ে আসে। পরে আসামি নান্টু মিয়া আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
এ ছাড়া গত ২৪ অক্টোবর সন্দেহভাজন আসামি আল আমিনকে (৩২) বাজিতপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়।