পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় সন্ত্রাসী হামলায় কবজি থেকে হাতবিচ্ছিন্ন উপজেলা শ্রমিকলীগের সহসভাপতি মো. জুয়েল প্যাদা (৩৪) মারা গেছেন।
ঘটনার আটদিন পর বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান।
৪ নভেম্বর রাত আটটার দিকে উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়নের পূর্ব রাজপাড়া হাওলাদার বাড়ির সামনে জুয়েল প্যাদাকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে সন্ত্রাসীরা। তার বাম হাত কবজি থেকে কেটে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়।
তাৎক্ষণিকভাবে তাকে কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে (শেবাচিম) পাঠান। সেখানে জুয়েলের অবস্থার আরও অবনতি হলে ওই রাতেই তাকে ঢাকার জাতীয় অর্থপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) পাঠানো হয়। পরে তাকে ঢাকার বেসরকারি ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়।
৪ নভেম্বর রাতে আহত জুয়েল প্যাদার ভাই মো. তুহিন প্যাদা সংবাদকর্মীদের বলেছিলেন, প্রতিপক্ষ বশির চকিদার, শিপন চকিদার ও সোহেল হাওলাদারসহ চার/পাঁচজন স্থানীয় সন্ত্রাসী অতর্কিতভাবে জুয়েলের ওপর হামলা চালিয়ে তাকে রক্তাক্ত জখম করে চলে যায়।
ওই রাতেই পটুয়াখালীর পুলিশ অভিযান চালিয়ে পাশের জেলা বরগুনার আমতলী উপজেলা থেকে বশির ও সোহেলকে আটক করে। পরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। বর্তমানে তারা পটুয়াখালী কারাগারে আছেন।
- আরও পড়ুন: কলাপাড়ায় শ্রমিক লীগ নেতাকে কুপিয়ে জখম
পরের দিন জুয়েল প্যাদার বাবা ফারুক প্যাদা কলাপাড়া থানায় আটক দুই জনসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন।
৫ নভেম্বর পটুয়াখালী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মইনুল হাসান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, নিহত জুয়েলের বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র, ডাকাতিসহ মোট আটটি মামলা রয়েছে। তিনি এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী। কিছুদিন আগে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ বাহিনীর সদস্যরা জুয়েলকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করেন। সম্প্রতি তিনি জামিনে বের হয়ে আসেন।