লালমনিরহাটের বুড়িমারীতে আবু ইউনুছ মো. শহীদুন্নবী জুয়েলের বিরুদ্ধে কোরআন শরিফ অবমাননার কোনো প্রমাণ পায়নি জেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটি।
জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে বৃহস্পতিবার সকালে জেলা প্রশাসক মো. আবু জাফরের কাছে এ বিষয়ক প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন তদন্ত কমিটির তিন সদস্য।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট টি এম এ মমিনকে প্রধান করে গঠিত এ কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন, ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক সাইদুল ইসলাম ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম।
ম্যাজিস্ট্রেট টি এম এ মমিন নিউজবাংলাকে জানান, তদন্তের জন্য শুরুতে তিন কার্যদিবস সময় দেয়া হলেও পরে বাড়িয়ে নয় কার্যদিবস করা হয়। এ সময়ের মধ্যেই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছে।
তিনি জানান, তদন্তে শহীদুন্নবীর বিরুদ্ধে কোরআন অবমাননার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। স্রেফ গুজব ছড়িয়ে শহীদুন্নবীকে পিটিয়ে হত্যার পর দেহ পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
তদন্ত কমিটি মোট ৫০ জনের লিখিত ও মৌখিক বক্তব্য নিয়েছে, কমিটির সভা হয়েছে সাতটি।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ঘটনার গভীরে যেতে ও নিবিড় পর্যবেক্ষণের জন্য আমরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ১৭-২০ টি ভিডিও ক্লিপ সংগ্রহ করেছি। এগুলো থেকেও অনেক তথ্য উপাত্ত পাওয়া গেছে।’
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মো. আবু জাফর বলেন, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনটি সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে।
গত ২৯ অক্টোবর লালমনিরহাটের বুড়িমারীতে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ এনে শহীদুন্নবী জুয়েল পিটিয়ে হত্যার পর দেহ আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়।