গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে অন্তঃসত্ত্বা এক নারীকে মারধর, যৌতুক দাবি, সিগারেটের ছ্যাঁকা দেয়া ও গোপনে তোলা ছবি ছড়ানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে তার স্বামীর বিরুদ্ধে। এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আলামিন ইসলাম নামের ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার রাত ৯টার দিকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার গুদারেঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
আলামিন সদর উপজেলার কামারদহ ইউনিয়নের বার্নাচন্দ্র শেখর (বকশীচর) গ্রামের বাসিন্দা।
এর আগে বুধবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করেন রত্না খাতুন নামের ওই নারী।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত বছরের ২৩ মে বার্নাচন্দ্র শেখর (বকশীচর) গ্রামের রতনা খাতুনের সঙ্গে বিয়ের হয় আলামিনের। বিয়ের পর শ্বশুরের কাছে তিন লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন আলামিন। কিন্তু কৃষক রেজাউল টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় রতনার ওপর নির্যাতন শুরু হয়।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর আবারও রতনার কাছে যৌতুকের টাকার জন্য চাপ দেন আলামিন। এতে অস্বীকৃতি জানালে রতনাকে মারপিট করে সিগারেটের ছ্যাঁকা দেন তিনি। এর পরপরই রতনার বাবা মো. রেজাউল বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে গোবিন্দগঞ্জ থানায় মামলা করেন।
বুধবার দুপুরে রতনা সংবাদ সম্মেলনে জানান, নির্যাতন সইতে না পেরে বাবার বাড়িতে আশ্রয় নেন তিনি। নির্যাতনের বিচার চাওয়ায় আলামিন তাকে হত্যার হুমকি দেন। এমনকি তার অগোচরে তোলা ‘আপত্তিকর ছবি’ বিভিন্ন মাধ্যমে ফাঁস করেন আলামিন।
জানতে চাইলে গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান নিউজবাংলাকে জানান, মামলার পর থেকে আসামি আলামিন পলাতক ছিলেন। বুধবার রাতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে তাকে আদালতে পাঠানো হবে।