লালমনিরহাট সদর উপজেলায় তিস্তা নদীর চরে হাত, পা ও গলায় রশি প্যাঁচিয়ে নারীকে হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সোমবার দুপুরে এক দম্পতিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সন্ধ্যায় তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
নিহত ওই নারীর নাম শাহিনা বেওয়া। গ্রেফতার করা দুই জন হলেন দবিয়ার রহমান ও তাঁর স্ত্রী শাহিনা বেগম। তাদের বাড়ি সদর উপজেলার খোচাবাড়ি মহল্লায়।
সোমবার সন্ধ্যায় সিনিয়র চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আফাজ উদ্দিনের আদালতে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, এই দম্পতি শাহীনা বেওয়াকে হত্যা করেন। পরে মরদেহ তিস্তা নদীর দুর্গম চর পাকার মাথায় ফেলে দেন।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ আলম জানান, শাহিনা পেশায় গ্রাম্য কবিরাজ ছিলেন। দবিয়ার ছিলেন তার রোগী। তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে দবিয়ারকে বিয়ের জন্য চাপ দেন শাহিনা। বিয়ের দাবিতে কয়েক দিন আগে দবিয়ারের বাড়িতে ওঠেন তিনি। এতে দবিয়ার ও তার স্ত্রী অতিষ্ঠ হয়ে শাহিনাকে হত্যার পর শুক্রবার মরদেহ চরে ফেলে দেন।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শাহিনার ভাই একরামুল হক বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা করেন।
তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় দবিয়ার ও তার স্ত্রীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আদালতে জবানবন্দি দেয়ার পর তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়।