তিন দশক আগে সগিরা মোর্শেদ হত্যার ঘটনার মামলায় বিচার শুরুর নির্দেশ সোমবারও আসেনি। অভিযোগ গঠনের জন্য ২৬ নভেম্বর নতুন তারিখ দিয়েছেন বিচারক।
মামলার অন্যতম আসামি মারুফ রেজা (৫৯) ঘটনার সময় শিশু ছিলেন দাবি করে শিশু আদালতে তার বিচার দাবি করে হাইকোর্টে যাওয়ার সনদ আদালতে জমা দেন।
এ ছাড়া আসামি ডা. হাসান আলী চৌধুরী (৭০) ও তার স্ত্রী সায়েদাতুল মাহমুদা শাহিন (৬৪) ও আনাস মাহমুদের(৫৯) পক্ষের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল কোভিড ১৯ আক্রান্ত হয়ে ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ কারণে তিন আসামির পক্ষে অব্যাহতির আবেদনের ওপর শুনানির জন্য সময় চাওয়া হয়।
এসব কারণে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ সোমবার অভিযোগ গঠনের আদেশে দিতে পরেননি। এই নিয়ে অভিযোগ গঠনের শুনানি চার বার পেছাল।
বিচারক বলেছেন, এটাই শেষবার। ২৬ নভেম্বরের পর সময় আর বাড়ানো হবে না।
বিচার শুরু না হওয়ায় হতাশা জানিয়েছেন সগিরার স্বামী আব্দুস সালাম। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘এতকাল ধরে একের পর এক তদন্ত পেছাল, আজ আবার উচ্চ আদালতের কথা বলে সময় সময়ক্ষেপণ করে আদালতের মূল্যবান সময় নষ্ট করা হচ্ছে। এভাবে আমরা বিচার থেকে পিছিয়ে যাচ্ছি।’
১৯৮৯ সালের ২৫ জুলাই সগিরা মোর্শেদ সালাম ঢাকার সিদ্ধেশ্বরী রোডে ছিনতাইকারীদের গুলিতে মারা যান।
এ ঘটনার ৩১ বছর পরে সগিরার ভাসুর ডা. হাসান আলী চৌধুরী, তার স্ত্রী সায়েদাতুল মাহমুদা শাহিন, শাহিনের ভাই আনাছ মাহমুদ রেজওয়ান ও মো. মারুফ রেজা হত্যায় সম্পৃক্ততা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন।
পুলিশের তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টেগেশনের (পিবিআই) তদন্তে বেরিয়ে আসে, স্ত্রীর কথায় প্ররোচিত হয়ে ছোট ভাইয়ের বউকে শায়েস্তা করার জন্য ২৫ হাজার টাকায় ‘সন্ত্রাসী’ মারুফ রেজাকে ভাড়া করেন ডা. হাসান। মারুফকে সহযোগিতার জন্য স্ত্রীর ভাই রেজওয়ানকে দায়িত্ব দেন।
দীর্ঘ চড়াই-উৎরাই শেষে এখন মামলাটি পুনঃতদন্তের মাধ্যমে আদালতে এসেছে।