আজকের এই দিনে আমি গভীরভাবে স্মরণ করছি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। যিনি বিমা পেশায় ছিলেন বলেই আজকের এই দিনটি বিমা পেশাজীবিরা পেয়েছি। প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনাকেও ধন্যবাদ তার সাহসী নেতৃত্বে দিবসটিকে ‘খ’ শ্রেণি থেকে ‘ক’ শ্রেণিতে উন্নীত করায়।বিমা দিবসের শপথ হোক দ্রুত বিমা দাবি পরিশোধ করব আমরা। বিমা দিবস সব বিমা পেশাজীবীদের একটি আনন্দের দিন। ঈদ ও পূজার দিনের মতো আজ প্রতিটি মোবাইলে বিমার গুরুত্বের এসএমএস পাওয়া যায়।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দিবসটি উদ্বোধনের পর প্রতিটি বিভাগে বিভাগীয় কমিশনার, ডিসি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে র্যালি ও আলোচনা সভা হবে। এই কাজটি সব বিমা কোম্পানি মিলে ১০০ কোটি টাকা খরচ করলেও করা যেত না, যা সরকারের একটি নির্বাহী আদেশে হয়েছে। বিমা দিবসের ফলে জাতীয় পত্রিকায় ক্রোড়পত্র বের হচ্ছে। টিভিতে টকশো হচ্ছে ও সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমগুলোতে ব্যাপক প্রচার হচ্ছে।
বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে জাতি বিমার সুফল পাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বিমা সব বিমা কোম্পানিকে বিক্রি করার সুযোগ দেয়া হয়েছে। যে কোম্পানি যত দ্রুত দাবি পরিশোধ করবে সে কোম্পানি আগামী দিনে বীমা খাতের নেতৃত্ব দেবে। বাংলাদেশে গ্রুপ বিমার অপার সম্ভবনা রয়েছে।
বছরে প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকার গ্রুপ বিমাতে প্রিমিয়াম সংগ্রহ করা সম্ভব। বাংলাদেশে স্বাস্থ্য বিমার জনপ্রিয়তাও বাড়ছে। বর্তমানে দেশ স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে যাওয়ার কারণে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে প্রিমিয়াম আদায় করা সম্ভব হচ্ছে। একই সঙ্গে বিমা গ্রাহকরা ঘরে বসে ব্যাংকের পাশাপাশি বিইএফটিএন ও মোবাইল ব্যাংকিং যেমন: বিকাশ, রকেট ও নগদে দ্রুত ও সহজে সুবিধা পাওয়ায় বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের নিকট দিন দিন গ্রাহক পর্যায়ে অভিযোগ হ্রাস পাচ্ছে।
আপনারা জেনে খুশি হবেন যে, জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড শুরু থেকেই আন্তরিকতার সঙ্গে বিমা দাবি পরিশোধ করে আসছে। জেনিথ ইসলামী লাইফ প্রায় ১৬ কোটি টাকারও অধিক বিমা দাবি ইতোমধ্যে পরিশোধ করেছে।
আমরা গ্রুপ বিমাসহ অনলাইনে ইআরপি সফটওয়্যারের মাধ্যমে ৭ কর্মদিবসে দাবি পরিশোধ করে থাকি। বিমার আস্থা ফিরে আসার জন্য বিমা দাবি পরিশোধের বিষয়ে বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স ফোরাম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বিমার সচেতনতা বৃদ্ধি করার জন্য পঞ্চম শ্রেণি হতে পাঠ্যসূচিতে বিমা বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।
লেখক: জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা ও বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স ফোরামের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল