বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিশ্ববন্ধু শেখ মুজিব

  • বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক   
  • ১৭ মার্চ, ২০২২ ১৭:৫৭

সময় এবং কালের বিবর্তনে এখন বিশ্বে নতুন প্রজন্মের মানুষের কাছে বঙ্গবন্ধুর সেই অমর বাণীগুলোও হারিয়ে যাওয়ার পথে, বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ২৫ বছর যারা বাংলাদেশের ক্ষমতায় ছিল তারা বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ পর্যন্ত প্রচারিত হতে দেয়নি, আর বিশ্বমঞ্চে তার ভাষণ প্রচারতো দূরের কথা। আজ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সরকার ক্ষমতায় আছে বিধায় সুযোগ হয়েছে তার যুগান্তকারী ভাষণগুলো বিশ্বব্যাপী প্রচার করার যাতে বিশ্বের বর্তমান নেতৃবৃন্দ এবং নতুন প্রজন্মের সব মানুষ জানতে পারেন আমাদের জাতির পিতা কত বড় মাপের মানবতাবাদী ছিলেন।

প্রতি বছরই ১৭ মার্চ আসে, আমাদের আবার নতুন করে মনে করিয়ে দেয় দিনটি আমাদের কাছে কত গুরুত্বপূর্ণ। ১৯২০ সালের এই দিনটিতে যে শিশু জন্ম নিয়েছিল, সে যে একদিন বিশ্ব নেতায় পরিণত হবে, তা কি সেদিন কেউ জানত? ফরাসি দার্শনিক এবং ভবিষ্যৎ জান্তা নস্টারডামাস ও এই উমহাদেশের খনা হয়ত তেমনটিই জানতেন, কিন্তু কেউ সে কথা বলছে না। দেশের গণ্ডি পার হয়ে সেদিনের খোকা প্রথম বঙ্গবন্ধু থেকে পরে বিশ্ববন্ধু হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছিলেন তার জীবদ্দশায়ই। এর কারণ ছিল গোটা বিশ্বকে নিয়ে, গোটা মানব জাতিকে নিয়ে তার ভাবনা। তিনি বলতেন, তার প্রথম পরিচয় তিনি একজন মানুষ, আর তাই তার ভাবনা পৃথিবীর সব মানুষ, বিশেষ করে নির্যাতিত মানুষের জন্য। “সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই” কথাটি বহু শতক আগে মহাকবি চণ্ডীদাস এবং পরে কবি নজরুল ইসলাম বলেছেন, কিন্তু সে কথাগুলো বঙ্গভূমির মধ্যেই সীমিত রয়েছে। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথও লিখেছেন “যেই মানব আমি সেই মানবি তুমি হে কন্যা” (গীতিনাট্য চণ্ডালিকা)।

মধ্যযুগে বিখ্যাত সুফি সাধক মৌলানা জালাল উদ্দিন রুমিও মানবপ্রেমের এহেন বাণী প্রচার করেছেন। কিন্তু এ দৈবিক তত্ত্ব আরও উন্নত পর্যায়ে এবং তাত্ত্বিকভাবে প্রচার করেছেন আমাদের জাতির পিতা। দেশ স্বাধীন হওয়ার আগেই তিনি উচ্চকণ্ঠে কথা বলেছেন প্যালাইস্টাইন, ভিয়েতনাম এবং দক্ষিণ আফ্রিকার মুক্তিকামী মানুষের পক্ষ হয়ে। সমসাময়িককালে অন্য যে কজন বিশ্ব মানবতার এ বাণী প্রচার করতেন তাদের মধ্যে আব্রাহাম লিংকন, মহাত্মা গান্ধি, ঘানার নেতা নক্রুমা, প্যাট্রিস লুমুম্বা, নেলসন মেন্ডেলা, পাবলো নেরুদা, টলস্টয়, স্বামী বিবেকানন্দ প্রমুখের নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তার পরও মানতে হয় যে, বঙ্গবন্ধুর বাণীটি ছিল ভিন্ন পরিস্থিতিতে ভিন্ন আঙ্গিকের আর তাই তিনি বিশ্ববন্ধুর মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত হতে পেরেছিলেন। তার বাণীগুলো শুধু তাত্ত্বিকতায়ই ভরপুর ছিল না, তত্ত্বের সঙ্গে তিনি বাস্তব পরিস্থিতিকেও যোগ করেছিলেন, এবং সেখানেই অন্য ১০ জনের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর পার্থক্য। তিনি যখন এ দাবিতে সোচ্চার তখন নির্যাতন চলছিল প্যালেস্টাইনের মুক্তিকামী জনগণের উপর, যা এখনও চলছে, মুক্তির জন্য যুদ্ধরত ছিল ভিয়েতনাম ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের জনগণ।

১৯৭৪-এর ২৫ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের পক্ষে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে প্রথম ভাষণ দেয়ার সুযোগে বঙ্গবন্ধু তার বিশ্বপ্রেম, তথা সর্বজনীন মানবপ্রেমের কথাই প্রকাশ করেছিলেন এভাবে- “জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার পরে এই ২৫ বৎসরের অভিজ্ঞতা হইতে দেখা যায় যে এই সব নীতিমালার বাস্তবায়নে অব্যাহতভাবে কী তীব্র সংগ্রাম চালাইয়া যাইতে হইতেছে। এশিয়া, আফ্রিকা এবং ল্যাটিন আমেরিকার লক্ষ লক্ষ বীর যোদ্ধার চরম আত্মদানের মাধ্যমে শুধুমাত্র জাতিসংঘ সনদ স্বীকৃত আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার পুনরুদ্ধার সম্ভব।

আগ্রাসনের মাধ্যমে বেআইনিভাবে ভূখণ্ড দখল, জনগণের অধিকার হরণের জন্য সেনাবাহিনী ব্যবহার এবং জাতিগত বৈষম্য ও বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে সংগ্রাম এখনো অব্যাহত রহিয়াছে। আলজেরিয়া, ভিয়েতনাম, বাংলাদেশ এবং গিনিবিসাউ এই সংগ্রামে বিরাট বিজয় অর্জন করিয়াছে।“

“চূড়ান্ত বিজয়ে ইতিহাস যে জনগণ ও ন্যায়ের পক্ষেই যায়, এই সব বিজয় এই কথাই প্রমাণ করিয়াছে। কিন্তু বিশ্বের বহু অংশে এখনো অবিচার ও নিপীড়ন চলিতেছে। অবৈধ দখলকৃত ভূখণ্ড পুরাপুরি মুক্ত করার জন্য আমাদের আরব ভাইদের সংগ্রাম অব্যাহত রহিয়াছে এবং প্যালেস্টাইনি জনগণের বৈধ জাতীয় অধিকার এখনো পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হয় নাই। উপনিবেশ বিলোপপ্রক্রিয়ার যদিও অগ্রগতি হইয়াছে, কিন্তু এই প্রক্রিয়া এখনো চূড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছায় নাই, বিশেষ করিয়া আফ্রিকার ক্ষেত্রে এই সত্যটি স্পষ্ট হইয়া উঠিয়াছে। এই অঞ্চলের জিম্বাবুয়ে (দক্ষিণ রোডেশিয়া) এবং নামিবিয়ার জনগণ জাতীয় মুক্তি ও স্বাধীনতার জন্য দৃঢ়তার সাথে লড়াই করিয়া যাইতেছে। বর্ণবৈষম্যবাদ, যাহাকে মানবতাবিরোধী বলিয়া বারবার আখ্যায়িত করা হইয়াছে, তাহা এখানে আমাদের বিবেককে দংশন করা অব্যাহত রাখিয়াছে।”

“একদিকে অতীতের অন্যায়-অবিচারের অবসান ঘটাইতে হইতেছে, অপরদিকে আমরা আগামী দিনের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হইতেছি। আজিকার দিনে বিশ্বের জাতিসমূহ কোন পথ বাছিয়া নিবে, তাহা লইয়া সংকটে পড়িয়াছে। এই পথ বাছিয়া নেওয়ার বিবেচনার উপর নির্ভর করিতে আমরা সামগ্রিক ধ্বংসের ভীতি এবং আণবিক যুদ্ধের হুমকি নিয়া এবং ক্ষুধা, বেকার ও দারিদ্র্যের কষাঘাতে মানবিক দুর্গতিকে বিপুলভাবে বাড়াইয়া তুলিয়া আগাইয়া যাইব অথবা আমরা এমন এক বিশ্ব গড়িয়া তোলার পথে আগাইয়া যাইব- যে বিশ্বে মানুষের সৃজনশীলতা এবং আমাদের সময়ের বিজ্ঞান ও কারিগরি অগ্রগতি আণবিক যুদ্ধের হুমকিমুক্ত উজ্জ্বলতর ভবিষ্যতের রূপায়ণ সম্ভব করিয়া তুলিবে। এবং যে বিম্ব কারিগরিবিদ্যা ও সম্পদের পারস্পরিক অংশীদারিত্বের মাধ্যমে সর্বক্ষেত্রে সুন্দর জীবন গড়িয়া তোলার অবস্থা সৃষ্টি করিবে। যে অর্থনৈতিক উত্তেজনা সম্প্রতি সমগ্র বিশ্বকে নাড়া দিয়াছে, তাহা একটি ন্যায়সঙ্গত আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়িয়া তুলিয়া জরুরিভাবে মোকাবিলা করিতে হইবে। এই বৎসরের প্রথম দিকে এই পরিষদের বিশেষ অধিবেশন বর্তমান জটিল আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির প্রতি গুরুত্ব আরোপ করিয়াছে।”

“বিশ্ব খাদ্য সংস্থার বিবেচনায় শুধুমাত্র বাঁচিয়া থাকার জন্য যে সর্বনিম্ন সামগ্রীর প্রয়োজন, তাহার চাইতেও কম ভোগ করিয়াছে যেসব মানুষ, তাহারা আজ অনহারের মুখে পতিত হইয়াছে। দরিদ্র দেশগুলির ভবিষ্যৎ আরো অন্ধকার। শিল্পোন্নত দেশগুলির রপ্তানি পণ্য, খাদ্যসামগ্রীর ক্রমবর্ধমান মূল্যের দরুণ তাহা আজ ক্রমশ তাহাদের নাগালের বাহিরে চলিয়া যাইতেছে। খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ম্ভরতা অর্জনের জন্য তাহাদের প্রচেষ্টাও প্রয়োজনীয় উৎপাদনের সহায়ক সামগ্রীর ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধি ও দুষ্প্রাপ্যতার ফলে প্রচণ্ডভাবে বিঘ্নিত হইতেছে। পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী মুদ্রাস্ফীতির ফলে ইতিমধ্যে দারিদ্র্য ও ব্যাপক বেকারের নিষ্পেষণে পতিত দেশগুলি তাহাদের পাঁচ হইতে ছয় শতাংশ উৎপাদন বৃদ্ধির হার সংবলিত পরিমিত উন্নয়ন পরিকল্পনা ছাঁটাই করার ভয়ানক আশঙ্কার হুমকিতে পতিত হইয়াছে। এই মুদ্রাস্ফীতির ফলে কেবলমাত্র উন্নয়ন প্রকল্পের খরচই বহুগুণ বাড়িয়া যায় নাই, উপরন্তু তাহাদের নিজস্ব সম্পদ কাজে লাগাইবার জন্য তাহাদের সামর্থ্যও প্রতিকূলভাবে কমিয়া গিয়াছে “

“এই পরিস্থিতিতি মোকাবিলার জন্য বিশ্বের জাতিসমূহ ঐক্যবদ্ধভাবে কার্যক্রম গ্রহণ করিতে না পারিলে মানুষের দুঃখ-দুর্দশা আরো চরমে উঠিবে, ইতিহাসে ইহার প্রমাণ পাওয়া যায়। মানুষের সেই দুঃখ-দুর্দশার আর কোনো পূর্ববর্তী নজির পাওয়া যাইবে না। ইহার পাশাপাশি অবশ্য থাকিবে গুটি কয়েক লোকের অপ্রত্যাশিত সুখ-সমৃদ্ধি। শুধুমাত্র মানবিক সংহতি ও ভ্রাতৃত্ববোধ গড়িয়া তোলা এবং পারস্পরিক স্বনির্ভরতার স্বীকৃতি এই পরিস্থিতির যুক্তিযুক্ত সমাধান আনিতে পারে এবং এই মহাবিপর্যয় পরিহার করিবার জন্য জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ অত্যাবশ্যক।”

“একটি যথার্থ আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়িয়া তোলার পদক্ষেপ নিতে জাতিসংঘকে এর আগে কোথাও এই ধরনের চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করিতে হয় নাই। এই ধরনের ব্যবস্থায় শুধুমাত্র নিজ নিজ প্রাকৃতিক সম্পদের উপর প্রত্যেক রাষ্ট্রের সার্বভৌম অধিকারকে নিশ্চিত রাখাই নয়, ইহাতে একটি স্থায়ী এবং যথার্থ অর্থনৈতিক ব্যবস্থার জন্য বিশ্বের দেশগুলির সাধারণ স্বার্থের ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক কাঠামো প্রণয়নেরও ব্যবস্থা থাকিতে হইবে। এই মুহূর্তে আমরা প্রত্যেক মানুষের জন্য মানবাধিকারের আন্তর্জাতিক ঘোষণায় স্বীকৃত মুক্তভাবে অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক সুবিধা ভোগের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করার আন্তর্জাতিক দায়িত্বের কথা দ্ব্যর্থহীনভাবে পুনরুল্লেখ করিতেছি। আন্তর্জাতিক ঘোষণা অনুযায়ী, প্রত্যেকটি মানুষের স্বাস্থ্য এবং পরিবারের কল্যাণের জন্য পর্যাপ্ত জীবনযাত্রার ব্যবস্থা নিশ্চিত করিতে হইবে।”

“আমরা এই ব্যাপারে সম্পূর্ণ সচেতন যে বর্তমান অর্থনৈতিক সংকট শুধুমাত্র শান্তি এবং আন্তর্জাতিক সমঝোতার পরিবেশেই সমাধান করা সম্ভব। এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য যে, বর্তমান অস্ত্র প্রতিযোগিতা নিয়ন্ত্রণ করার জরুরি ব্যবস্থা নিতে হইবে। ইহাতে শুধুমাত্র এই ধরনের পরিবেশই সৃষ্টি হইবে না, ইহাতে অস্ত্রসজ্জার জন্য যে বিপুল সম্পদ অপচয় হইতেছে, তাহাও মানবতার কল্যাণে নিয়োজিত করা যাইবে।”

“মানবজাতির অস্তিত্ব রক্ষার জন্য শান্তি অত্যন্ত জরুরি এবং তাহা সমগ্র বিশ্বের নরনারীর গভীর আকাঙ্ক্ষারই প্রতিফলন ঘটাইবে। এবং ন্যায়ের উপর প্রতিষ্ঠিত শান্তিই দীর্ঘস্থায়ী হইতে পারে।”

শুধু জাতিসংঘেই নয়, একই ধরনের বাণী তিনি দিয়েছিলেন, কমনওয়েলথ সম্মেলনে, জোট নিরপেক্ষ সম্মেলনে, যার কারণেই বঙ্গবন্ধুকে দেখার জন্য জোট নিরপেক্ষ সম্মেলনে উপস্থিত বিশ্ব কাঁপানো নেতৃবৃন্দ হুমড়ি খেয়ে পড়েছিলেন। সেদিন তার এই ভাষণগুলো বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছিল বলেই তাকে বিশ্ববন্ধু হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছিল।

সময় এবং কালের বিবর্তনে এখন বিশ্বে নতুন প্রজন্মের মানুষের কাছে বঙ্গবন্ধুর সেই অমর বাণীগুলোও হারিয়ে যাওয়ার পথে, বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ২৫ বছর যারা বাংলাদেশের ক্ষমতায় ছিল তারা বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ পর্যন্ত প্রচারিত হতে দেয়নি, আর বিশ্বমঞ্চে তার ভাষণ প্রচারতো দূরের কথা। আজ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সরকার ক্ষমতায় আছে বিধায় সুযোগ হয়েছে তার যুগান্তকারী ভাষণগুলো বিশ্বব্যাপী প্রচার করার যাতে বিশ্বের বর্তমান নেতৃবৃন্দ এবং নতুন প্রজন্মের সব মানুষ জানতে পারেন আমাদের জাতির পিতা কত বড় মাপের মানবতাবাদী ছিলেন। এ ব্যাপারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অগ্রণী ভূমিকা নিতে হবে।

লেখক: আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি

এ বিভাগের আরো খবর