বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঐতিহাসিক বেতিয়ারা শহীদ দিবস

  • চিররঞ্জন সরকার   
  • ১১ নভেম্বর, ২০২১ ১৭:৫০

গেরিলাদের অত্যন্ত বিশ্বস্ত সোর্স আব্দুল কাদেরের পর্যবেক্ষণে সড়ক পারাপার নিরাপদ নিশ্চিত ভেবে নিজাম উদ্দিন আজাদের নেতৃত্বাধীন ৩৮ মুক্তিযোদ্ধার প্রথম দলটি ভারী আগ্নেয়াস্ত্রসহ ঢাকা-চট্টগ্রাম রোড অতিক্রমের জন্য এগিয়ে যায়। এ সময় সড়কের উত্তর পার্শ্বের গাছের আড়ালে স্থানীয় রাজাকারদের সহায়তায় পূর্বপরিকল্পনানুযায়ী ওত পেতে থাকা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী হামলা চালায়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই পাকিস্তানি হায়েনাদের ব্রাশফায়ার চলতে থাকে। ওই সম্মুখ সমরে বেশিক্ষণ টিকে থাকতে পারেনি নিজামউদ্দিন আজাদের দল। তাদের সঙ্গে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ থাকলেও সেগুলো ছিল বাক্সবন্দি।

মুক্তিযুদ্ধ সমগ্র বাঙালি জাতির ইতিহাসে একেবারে ব্যতিক্রমী অনন্য পর্ব। এমন বীরত্ব ও আত্মত্যাগের দৃষ্টান্ত জাতি হিসেবে বাঙালির ইতিহাসে আর নেই। তাই মুক্তিযুদ্ধ আমাদের ইতিহাসের গৌরবময় সোনালি অধ্যায়। ১৯৭১ সালের ১১ নভেম্বর মুক্তিযুদ্ধের এক ঐতিহাসিক দিন। এদিন দেশপ্রেম ও আত্মদানের এক উজ্জ্বল অধ্যায় রচিত হয়েছিল কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বেতিয়ারায়।

পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে কমিউনিস্ট পার্টি-ন্যাপ-ছাত্র ইউনিয়নের বিশেষ গেরিলা বাহিনীর কয়েক ঘণ্টা ধরে চলা মুখোমুখি সম্মুখ সমরে অসীম সাহসিকতার সঙ্গে যুদ্ধ করে জীবন উৎসর্গ করেন বিশেষ গেরিলা বাহিনীর ৯ জন বীর গেরিলা যোদ্ধা। বেতিয়ারা যুদ্ধে শহিদ হন¾ সিরাজুম মুনীর, নিজাম উদ্দিন আজাদ, মো. শহীদুল্লাহ, বশির মাস্টার, আব্দুল কাইয়ুম, জহিরুল হক দুদু, আওলাদ হোসেন, কাদের মিয়া, সফিউল্লাহ। বীর যোদ্ধারা বেতিয়ারার শ্যামল মাটিতে বুকের রক্ত ঢেলে দিয়ে এক অমর বীরত্বপূর্ণ ইতিহাস রচনা করেছিলেন।

উল্লেখ্য, মুক্তিযুদ্ধে আওয়ামী লীগের বাইরে দল হিসেবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে ন্যাপ ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি। ১৯৭১ সালের মে মাসে কমিউনিস্ট পার্টি ‘সশস্ত্র সংগ্রামে নিজ উদ্যোগে পরিপূর্ণ অংশগ্রহণ’ তথা গেরিলা বাহিনী গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়।

ন্যাপ ও ছাত্র ইউনিয়নও অনুরূপ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। আলাদা গেরিলা বাহিনী গঠনের জন্য এই তিন সংগঠনের নেতারা আলাদাভাবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীসহ সংশ্লিষ্ট নেতাদের সঙ্গে দেখা করেন। তদানীন্তন সোভিয়েত ইউনিয়নও সতর্কতার সঙ্গে এই মতের পক্ষে দাঁড়ায়। ইতোমধ্যে তখনকার ছাত্রলীগ নেতারা বাংলাদেশ সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে স্বতন্ত্রভাবে মুজিব বাহিনী গঠন করে নিয়েছিল।

একপর্যায়ে ভারত সরকার আলাদা গেরিলা বাহিনী গঠন এবং সশস্ত্র প্রশিক্ষণ প্রদান ও অস্ত্রপ্রাপ্তির নিশ্চয়তা প্রদান করে। তার পর থেকেই ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে পড়ে। নতুনভাবে শুরু হয় গেরিলা যুদ্ধের প্রস্তুতি।

ভিয়েতনামের কমিউনিস্ট নেতা হো চি মিনের সহচর ও গণফৌজের জেনারেল ভো নগুয়েন গিয়াপ ছিলেন সে সময় বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি ও ছাত্র ইউনিয়ন-কর্মীদের অনুপ্রেরণা। ১৯৫৪ সালের বিখ্যাত দিয়েন বিয়েন ফু গেরিলা যুদ্ধে ঔপনিবেশিক শাসক ফরাসিদের পরাজিত করে উত্তর ভিয়েতনাম রাষ্ট্র গঠন করা কিংবা ১৯৬৮ সালে গেরিলা আক্রমণ করে মার্কিন অধিকৃত দক্ষিণ ভিয়েতনামের রাজধানী সায়গন কয়েক ঘণ্টার জন্য প্রায় দখলে রাখার কাহিনি বলে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণে আগ্রহী ছাত্র-যুবদের অনুপ্রাণিত করা হতো। সে সময় ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের যৌথ উদ্যোগে ঢাকাসহ সারা দেশের বিভিন্ন স্থানে ছাত্র-যুব-মেহনতি মানুষসহ সমাজের সর্বস্তরের সচেতন নাগরিক সমাজ ঐক্যবদ্ধ হতে থাকে। দেশপ্রেমের মন্ত্রে উদ্বুদ্ধ মুক্তিপাগল ছাত্রযুবারা সশস্ত্র সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে।

ভারতের আগরতলায় ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের ‘বিশেষ গেরিলা বাহিনী’কে ট্রেনিং দেয়া হয়েছিল দীর্ঘস্থায়ী গেরিলা যুদ্ধের কলাকৌশল। ছোট ছোট গেরিলা দলে ভাগ করে আলাদাভাবে তাদের দেশের অভ্যন্তরে অপারেশন এলাকায় পাঠানো হতো। গেরিলা যুদ্ধের সাধারণ নিয়মানুসারে, কৃষক বা পথচারীর ছদ্মবেশ ও পরিচয়ে এবং অস্ত্রপাতি ও সমর সরঞ্জাম উপযুক্ত কায়দায় ও পন্থায় নিজস্ব নাগালের মধ্যে লুকিয়ে নিয়ে দীর্ঘ পথ পাড়ি দেয়া হতো।

আগরতলা ছাড়াও ভারতের বিভিন্ন স্থানে সশস্ত্র প্রশিক্ষণ ও পরবর্তীকালে শরণার্থী ক্যাম্পগুলোতে অবস্থানরত অন্যদের সশস্ত্র প্রশিক্ষণ শেষে প্রশিক্ষিত মুক্তিযোদ্ধারা বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে ভারতসীমান্ত দিয়ে দেশে প্রবেশ করে। ট্রেনিং শেষে দেশে ফিরে যুদ্ধে অংশ নেয়ার জন্য ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের একটি গেরিলা দল ভারতের বাইকোয়া বেইজ ক্যাম্প থেকে ১০ নভেম্বর রাত ৮টায় চৌদ্দগ্রাম সীমান্তবর্তী ভৈরবনগর সাব-ক্যাম্পে (চৌত্তাখোলা ক্যাম্পের শাখা) পৌঁছায়।

ক্যাম্পের দুজন বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু তাহের বিএসসি ও সামসুল আলম ১১ নভেম্বর রাতে গেরিলা বাহিনীর ওই দলটির বাংলাদেশে প্রবেশের নকশা প্রণয়ন করেন। নকশা অনুযায়ী সাব-ক্যাম্পের ৩৮ গেরিলাকে দুভাগে বিভক্ত করে বেতিয়ারা চৌধুরী বাড়ির দুপাশে অ্যামবুশ পাতা হয়। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক শত্রুমুক্ত কি না¾ পরীক্ষা করার জন্য স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা আবদুল কাদের ও আবদুল মন্নানকে ওই সড়কে পঠানো হয়। এই গেরিলারা ছিলেন একাত্তরের ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমান্ডে গড়ে তোলা বিশেষ গেরিলা বাহিনীর দ্বিতীয় ব্যাচে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সদস্যদের একাংশ। পুরো দলটিকে দুটি গ্রুপে ভাগ করে ওই দিন রাতের আগে-পরে ‘ঢাকা-চট্টগ্রাম রোড’ পারাপারের সিদ্ধান্ত হয়।

জগন্নাথ দিঘি ইউনিয়নের ‘বেতিয়ারা’ নামক স্থানে ঢাকা-চট্টগ্রাম ট্রাঙ্করোডে (মহাসড়ক) পাকিস্তানি বাহিনীর নজরদারি ছিল বেশি। চৌদ্দগ্রামের এ এলাকায় তাদের একটি শক্তিশালী ক্যাম্পও ছিল। গেরিলাদের অত্যন্ত বিশ্বস্ত সোর্স আব্দুল কাদেরের পর্যবেক্ষণে সড়ক পারাপার নিরাপদ নিশ্চিত ভেবে নিজাম উদ্দিন আজাদের নেতৃত্বাধীন ৩৮ মুক্তিযোদ্ধার প্রথম দলটি ভারী আগ্নেয়াস্ত্রসহ ঢাকা-চট্টগ্রাম রোড অতিক্রমের জন্য এগিয়ে যায়। এ সময় সড়কের উত্তর পার্শ্বের গাছের আড়ালে স্থানীয় রাজাকারদের সহায়তায় পূর্বপরিকল্পনানুযায়ী ওত পেতে থাকা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী হামলা চালায়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই পাকিস্তানি হায়েনাদের ব্রাশফায়ার চলতে থাকে।

ওই সম্মুখ সমরে বেশিক্ষণ টিকে থাকতে পারেনি নিজামউদ্দিন আজাদের দল। তাদের সঙ্গে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ থাকলেও সেগুলো ছিল বাক্সবন্দি। সোর্সের সিগন্যাল ভুল থাকায় শত্রুদের পাতা ফাঁদে পড়ে শহীদ হন ৯ মুক্তিযোদ্ধা। এই সম্মুখযুদ্ধে গেরিলা বাহিনীর হতাহতের পাশাপশি পাকিস্তানি বাহিনীর অনেকে মৃত্যুবরণ করে ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়। যা আজও আমাদের মুক্তির সংগ্রামের ইতিহাসে উজ্জ্বল হয়ে আছে।

এই বীর গেরিলা শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগের ইতিহাসকে সমুজ্জ্বল করে রাখতে প্রতিবছর ১১ নভেম্বর ‘বেতিয়ারা শহিদ দিবস’ হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের বিশেষ যৌথ গেরিলা বাহিনীর সম্মুখ সমরে বড় ত্যাগ ‘বেতিয়ারায়’। ১১ নভেম্বরের স্থানীয় মানুষ ধানক্ষেত থেকে গেরিলা শহীদদের লাশ উদ্ধার করে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে সমাহিত করে। ২৮ নভেম্বর ১৯৭১ চৌদ্দগ্রামের জগন্নাথদীঘি অঞ্চল শত্রুমুক্ত হওয়ার পর এই বীরদের গণকবরের ওপর স্বাধীন বাংলার লাল-সবুজের পতাকা উত্তোলন করা হয় এবং পাশেই নির্মিত হয় শহীদ স্মৃতিসৌধ।

বেতিয়ারার মতো এমন অসংখ্য গেরিলাযুদ্ধ, সম্মুখযুদ্ধ, মিত্র বাহিনীর সঙ্গে সম্মিলিত যুদ্ধের মধ্য দিয়েই ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে। কিন্তু এই সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের কাহিনি অনেক ক্ষেত্রেই ইতিহাস থেকে মুছে দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।

১৯৭১ সালে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের নেতাকর্মীদের সমন্বয়ে গঠিত গেরিলা বাহিনীর অবদানের কথাও অনেক ক্ষেত্রে আড়াল করার চেষ্টা করা হয়েছে। অথচ ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণার পর পরই ন্যাপ, কমিউনিস্ট পার্টি ও ছাত্র ইউনিয়নের নেতা ও সদস্যরা মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে। এই বিশেষ গেরিলা বাহিনী গঠনও তাদের বিশেষ উদ্যোগের ফল। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালের ৩০ জানুয়ারি গেরিলা বাহিনীর কমান্ডাররা ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে বঙ্গবন্ধুর কাছে অস্ত্র সমর্পণ করেন।

মুক্তিযুদ্ধকালীন অস্থায়ী সরকার এবং স্বাধীনতা-উত্তর বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বাধীন সরকার এই বিশেষ গেরিলা বাহিনীকে মুক্তি সংগ্রামে অংশগ্রহণকারী অন্যতম মুক্তি বাহিনী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। তারপরও এই গেরিলা মুক্তিযোদ্ধাদের স্বীকৃতির জন্য আইনি লড়াই চালাতে হয়েছে। উচ্চ আদালতের নির্দেশে শেষ পর্যন্ত ২০১৭ সালের ৮ সেপ্টেম্বর থেকে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়া ন্যাপ, কমিউনিস্ট পার্টি ও ছাত্র ইউনিয়নের গেরিলা বাহিনীর ২ হাজার ৩শ ৬৭ যোদ্ধাকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি এবং প্রাপ্য সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা ও ভাতা প্রদান করা হচ্ছে।

মুক্তিযুদ্ধ অনেক ছোট ছোট দল, গোষ্ঠী ও ব্যক্তির ভূমিকার লড়াই-সংগ্রামের ফসল। তাদের সেই ভূমিকাকে যথাযথ সম্মান ও স্বীকৃতি না দিলে, তাদের আত্মদান ও ত্যাগকে আড়াল করলে জাতি হিসেবে আমরা অকৃতজ্ঞ হিসেবে চিহ্নিত হবো, যা মোটেও কাঙ্ক্ষিত নয়। যে স্বপ্ন ও অঙ্গীকার নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, সেই স্বপ্ন ও অঙ্গীকার থেকে বাংলাদেশ অনেক দূরে সরে গেছে।

শাসকদের আপসকামিতা, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকে আশ্রয়-প্রশ্রয় প্রদান, ক্ষমতাকেন্দ্রীক নানা হিসাব-নিকাশের কারণে পাকিস্তানি ভাবধারাপুষ্ট একটি বিশেষ গোষ্ঠী এখনও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ভিত্তির ওপর আঘাত হানছে। দেশকে পিছিয়ে দিচ্ছে। এ অবস্থা চলতে পারে না। ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তে গড়া দেশকে মুক্তিযুদ্ধের ধারায় ফিরিয়ে আনতে হলে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পুনর্জাগরণ ঘটাতে হবে।

১৯৭২ সালের সংবিধান পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে। সংকীর্ণ রাজনৈতিক বিবেচনার ঊর্ধ্বে উঠে সকল মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মান ও স্বীকৃতি দিতে হবে।

লেখক: প্রাবন্ধিক, সাবেক ছাত্রনেতা।

এ বিভাগের আরো খবর