৩ নভেম্বর বাঙালি জাতির ইতিহাসে একটি কলঙ্কিত দিন। ৪৬ বছর আগে ১৫ আগস্ট সপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার তিন মাসের কম সময়ের মধ্যে ১৯৭৫-এর ৩ নভেম্বর (২ নভেম্বর দিবাগত) ভোররাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে চার জাতীয় নেতাকে হত্যা করা হয়। নিহত নেতারা হচ্ছেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী যুদ্ধকালীন সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, অর্থমন্ত্রী এম মনসুর আলী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচএম কামারুজ্জামান।
স্বাধীনতাবিরোধী দেশি-বিদেশি চক্রান্তকারীরা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু ও চারনেতাকে হত্যা করে। এটা সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত সত্য যে, যারা পরিবারের সদস্যসহ বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে, তারাই চার জাতীয় নেতাকে হত্যা করেছে।
জাতির পিতা হত্যার পর চার নেতা হত্যার বিষয়টি ছিল সময়ের ব্যাপার মাত্র। স্বাধীন বাংলাদেশকে পাকিস্তানি ভাবধারায় ফিরিয়ে নেয়ার জন্যই ১৫ আগস্ট ও ৩ নভেম্বরের হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়। জাতির পিতাকে হত্যা করে প্রকারান্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকেই হত্যা করা হয়।
ঘাতকচক্র জানত, শুধু বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলেই তাদের উদ্দেশ্য পুরোপুরি সফল হবে না। ১৯৭১-এ স্বাধীনতা যুদ্ধকালে বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি ছিলেন। কিন্তু তার সুযোগ্য সহকর্মীরা জনগণকে নিয়ে ৯ মাসের যুদ্ধে বিজয় অর্জন করে। এটাও ছিল বঙ্গবন্ধুর কৃতিত্ব। কারণ গ্রেপ্তার হওয়ার আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বাংলার সাড়ে সাত কোটি মানুষকে স্বাধীনতার জন্য প্রস্তুত করে যান।
বিশ্ব রাজনীতির ইতিহাসে একটি দেশের প্রায় সব নাগরিককে একজন নেতার নেতৃত্বে এমনভাবে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার দ্বিতীয় নজির খুব একটা খুঁজে পাওয়া যাবে না।
১৯৭১-এ পিয়ন-চাপরাশি, মুটে-মজুর থেকে উচ্চ আদালতের বিচারপতি পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর জাদুকরী নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়। সামরিক আইন ও সরকার বহাল থাকা অবস্থায় ১৯৭১-এর ১ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত শেখ মুজিবের নেতৃত্বে বাংলাদেশ পরিচালিত হয়।
সাংবাদিক অ্যান্থনি মাসকারেনহাস তার ‘বাংলাদেশ: এ লিগ্যাসি অব ব্লাড’ গ্রন্থে লিখেছেন-
“মুজিব হত্যার পর ঘাতকদল অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকারী খন্দকার মোশতাক ও খুনি মেজর চক্র চারনেতা হত্যার ষড়যন্ত্র করে। ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের পর রাষ্ট্রপতি মোশতাক এবং ঘাতক মেজররা বঙ্গভবনে অবস্থান করত।”
ম্যাসকারেনহাস আরও লিখেছেন-
“একদিন মোশতাক, ফারুক, রশিদ শলাপরামর্শ করার সময় চিন্তা করল, তারা যেভাবে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেছে, তেমনিভাবে অন্য কোনো গোষ্ঠী তাদেরকে হত্যা বা ক্ষমতাচ্যুত করে ক্ষমতা দখল করে নিতে পারে। ওই গোপন বৈঠকে তিন কুচক্রী সিদ্ধান্ত নেয়, তেমন পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটলে তারা সর্বাগ্রে জেলে চার জাতীয় নেতাকে হত্যা করবে। সেই লক্ষ্যে ঘাতক রিসালদার মোসলেম উদ্দিনের নেতৃত্বে ৩ থেকে ৪ জন সেনাসদস্য দ্রুততার সাথে জেলে গিয়ে চারনেতাকে হত্যা করে।”
উল্লেখ্য, খুনি মোসলেমের নেতৃত্বে একটি দল ১৫ আগস্ট রাতে এশিয়ার অন্যতম শ্রেষ্ঠ যুবনেতা শেখ ফজলুল হক মণি ও তার স্ত্রী আরজু মণিকে হত্যা করে। কালরাতে তিন বাড়িতে একই সময় ঘাতকরা হামলা করলেও প্রথমেই মণিভাইকে হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা এবং চারনেতা হত্যা মামলার ঘাতক মোসলেমের ফাঁসির রায় হয়। মোসলেম এখনও পলাতক।
১৫ আগস্ট জাতির পিতা হত্যার ৭৯ দিন পর ২ নভেম্বর দিবাগত মধ্যরাতে সেনাবাহিনীর তৃতীয় ক্ষমতাধর ব্যক্তি সিজিএস ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে পাল্টা অভ্যুত্থান শুরু হয়। ওই অভ্যুত্থানের অন্য দুই প্রভাবশালী ব্যক্তি ছিলেন ৪৬ ব্রিগেড অধিনায়ক কর্নেল শাফায়াত জামিল ও রক্ষীবাহিনীপ্রধান ব্রিগেডিয়ার নুরুজ্জামান।
বঙ্গবন্ধু হত্যার ৯ দিন পর সেনাপ্রধান কেএম সফিউল্লাহকে সরিয়ে খুনি চক্র উপপ্রধান জিয়াউর রহমানকে সেনাপ্রধান ও এইচএম এরশাদকে উপপ্রধান নিযুক্ত করে। খালেদ-শাফায়াতদের অভ্যুত্থান শুরু হলে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী ঘাতক মোসলেমের নেতৃত্বে সেনাসদস্যরা জেলে জোরপূর্বক ঢুকে জাতীয় চারনেতাকে হত্যা করে।
ম্যাসকারেনহাসের গ্রন্থ এবং বর্তমানে সংসদ সদস্য তাজউদ্দীন কন্যা সিমিন হোসেন রিমির লেখা একটি গ্রন্থে চারনেতা হত্যার কথা বিস্তারিত উল্লেখ আছে। হত্যাকাণ্ডের সময় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে উপস্থিত শীর্ষ কারা-কর্মকর্তাদের সাক্ষাৎকার রিমির গ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
ম্যাসকারেনহাস মুজিব হত্যা, চারনেতা হত্যা ও জিয়া হত্যা বিষয়ে তার এই গ্রন্থে ১২০ জনের সাক্ষাৎকার নেন। মধ্যরাতে অভ্যুত্থান শুরু হলে অভ্যুত্থানকারী এবং বঙ্গভবনে অবস্থানরত ১৫ আগস্টের খুনিদের মধ্যে টেলিফোনে দীর্ঘ আলোচনা হয়। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডাসহ উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় চলে। ওই গ্রন্থে রয়েছে- অভ্যুত্থান শুরুর প্রায় চার ঘণ্টা পর ভোররাতে উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে বঙ্গভবনে টেলিফোন বেজে ওঠে।
রশিদ বলছেন- “টেলিফোন উঠিয়ে আমি শুনতে পেলাম, একজন ভারী কণ্ঠে কথা বলছে। ‘আমি ডিআইজি প্রিজন কথা বলছি, মহামান্য রাষ্ট্রপতির সাথে কথা বলতে চাই’। রশিদ মোশতাককে ফোনটি দিলে, তিনি কিছুক্ষণ ধরে কেবল হ্যাঁ, হ্যাঁ করতে থাকেন। তার কথা পরিষ্কার বুঝা না গেলেও যেকোনো ব্যাপারেই হোক, তিনি সম্মতি জ্ঞাপন করেছিলেন, এতে আর কোনো সন্দেহ নেই।” উল্লেখ্য, ভোর ৪টার দিকে মোসলেম পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী অস্ত্র নিয়ে সদলবলে কেন্দ্রীয় কারাগারে যায়। মাতাল মোসলেম একপর্যায়ে বলেই বসে তারা উপরের নির্দেশে জেলে অন্তরীণ জাতীয় চারনেতাকে হত্যা করতে এসেছে।
জোরপূর্বক জেলের ভেতরে প্রবেশ করতে চাইলে প্রহরীরা বাধা দেয়। তখন ফোন পেয়ে কারাগারের শীর্ষ কর্মকর্তারা ওই রাতে জেলগেটে হাজির হয়। তখন ডিআইজি প্রিজন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির কাছে ফোন করেন। খুনি রাষ্ট্রপতি মোশতাক ফোনে মোসলেমের কথা অনুযায়ী সবকিছু করতে ডিআইজিকে সুস্পষ্ট নির্দেশ দেয়। রশিদের বক্তব্য থেকেও বোঝা যায়, মোশতাক চারনেতাকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিল।
ওইসময় কেন্দ্রীয় কারাগারে কর্মরত সুবেদার আবদুল ওয়াহেদ মৃধা জাতীয় নেতাদের হত্যার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তিনি পরবর্তীকালে জানিয়েছেন আইজি-ডিআইজি সবার সামনে জেলারকে চারনেতাকে এক রুমে আনার নির্দেশ দেয়। এক নম্বর রুমে একে একে ৪ নেতাকে আনার পর তাজউদ্দীন আহমদ তিন সহকর্মীর দিকে তাকিয়ে বলেন- ‘ওজু করে আসেন, সময় নেই।’ চারজনই ওজু করে এসে সৈয়দ নজরুল ইসলামের চৌকিতে বসলেন। এমন সময় সশস্ত্র ঘাতকরা রুমে প্রবেশ করে সামনাসামনিভাবে গুলি চালায়।
প্রায় ৬০ রাউন্ডের মতো গুলি করে খুবই দ্রুততার সঙ্গে বের হয়ে যায়। পেছনে আইজি-ডিআইজি সবাই।” ১ নম্বর কক্ষের ছাদের টিন-টেবিল গুলিতে ঝাঝরা হয়ে গিয়েছিল। গুলি করে জেল থেকে বের হয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর খুনিরা দ্বিতীয়বার এসে চারনেতাকে বেয়নেট দিয়ে আঘাতের মাধ্যমে মৃত্যু নিশ্চিত করে। ওয়াহেদ মৃধার বক্তব্য অনুযায়ী তিন নেতা গুলিতে সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যুবরণ করলেও মুমূর্ষু মনসুর আলী সাহেব পানি পানি করে কাতরাচ্ছিলেন। ম্যাসকারেনহাস আরও লিখেছেন-
“তিনজন সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যুবরণ করলেও তাজউদ্দীন আহমদ পেটে ও পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে রক্তক্ষরণের ফলে আস্তে আস্তে নিস্তেজ হয়ে পরে মারা যান। পাশের সেলে থাকা একজন কারাবন্দি জানিয়েছে, তিনি মৃত্যু যন্ত্রণায় ছটফট করা একজনের আর্তনাদ শুনছিলেন। আর পানি পানি বলে মৃত্যুর আগমুহূর্ত পর্যন্ত কাতরানোর শব্দও তার কানে আসে। কিন্তু ঘাতকরা চলে যাওয়ার সময় সেলটিকে খুব শক্ত করে তালাবদ্ধ করে রেখে যাওয়ায় মৃত্যুর আগে মুমূর্ষু ওই নেতাকে এক ফোঁটা পানিও দেয়া যায়নি।”
৫ নভেম্বর সেসময়ের আইজি প্রিজন নুরুজ্জামান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যে প্রতিবেদন প্রেরণ করেন এর সঙ্গে চার জাতীয় নেতার সুরতহাল রিপোর্ট ছিল।
চারনেতার হত্যা ষড়যন্ত্রে জিয়ার সংশ্লিষ্টতা নিয়েও তথ্য-প্রমাণাদি রয়েছে। খালেদের ক্যুর সময় জিয়াকে তার বাসায় গৃহবন্দি করার কথা বলা হলেও বন্দি অবস্থায় তিনি কর্নেল তাহের, কর্নেল রশিদের সঙ্গে কথা বলেন। দ্বিতীয়বার রশিদ জিয়াকে ফোন করলে বেগম জিয়া ফোন ধরেন। তথাকথিত বন্দিত্ব থেকেই জেনারেল জিয়া খালেদের ক্যুকে ব্যর্থ করে পুরোপুরিভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা করায়ত্ত করার জন্য কর্নেল তাহেরের সঙ্গে শলাপরামর্শ করেন।
জিয়ার একান্ত প্রিয়ভাজন ক্যাপ্টেন হাফিজুল্লাহর উপর জিয়াকে গৃহবন্দি করার দায়িত্ব দেয়া হয়। এ সেই হাফিজুল্লাহ যে ১৫ আগস্ট সকালে ৪৬ ব্রিগেডে শত শত সেনা সদস্যের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি পায়ের তলে পিষ্ট করে চূর্ণ-বিচূর্ণ করেছিল। ১৫ আগস্ট হত্যা-ষড়যন্ত্রের দুই ঘৃণ্য সদস্য ফারুক-রশিদ ১৯৭৯-এ প্রকাশিত ‘মুক্তির পথ’ গ্রন্থে লিখেছে-
“দ্ব্যর্থহীনভাবে আমরা বলতে চাই ৩ নভেম্বরের অভ্যুত্থানটি ছিল জে. জিয়ার নেপথ্য পরিকল্পনা ও প্ররোচনার ফসল। তিনি একটি সামরিক ফ্যাসিস্ট সরকার গঠনের লক্ষ্যে নেপথ্যে থেকে একদল সামরিক অফিসারের মাধ্যমে এটি সংঘটিত করেন। অন্যরকম গুজব যাই থাক না কেন এবং ঘটনা প্রবাহের মাধ্যমে সাধারণভাবে যে ধারণাই প্রতিষ্ঠিত হোক না কেন, জেনারেল খালেদ মোশাররফ পূর্বাপর ছিলেন ১৬ আগস্ট অভ্যুত্থানের সমর্থক ও পৃষ্ঠপোষক।”
পরবর্তীকালে জিয়ার কার্যক্রম থেকেও বোঝা যায়, জেলহত্যা ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জেনারেল জিয়া কোনো না কোনোভাবে জড়িত ছিলেন। তদন্ত করার জন্য ৩ জন বিচারপতির সমন্বয়ে একটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
জিয়াউর রহমান তার শাসনামলে ওই তদন্ত কমিটিকে কাজ করতে দেননি। এছাড়া জেনারেল জিয়া ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যা ষড়যন্ত্র ও ৩ নভেম্বর জেলহত্যা ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলেই তিনি তার শাসনামলে এই দুটি নির্মম হত্যাকাণ্ডের বিচার এমনকি তদন্ত পর্যন্ত করেননি।
১৯৯৬-এ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর জেলহত্যা মামলার বিচার শুরু হয়। বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় থাকার সময় ২০০৪-এর ২০ অক্টোবর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মতিউর রহমান মামলার রায়ে ৩ জনকে ফাঁসি এবং ১২ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন।
ফাঁসিতে দণ্ডিত ৩ আসামি হলো- রিসালদার মোসলেম উদ্দিন, দফাদার মারফত আলী ও এলডি (দফাদার) আবুল হাশেম মৃধা। ২০০৮-এর ২৮ আগস্ট মোসলেম উদ্দিনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে হাইকোর্ট মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত দুই আসামি মারফত আলী ও হাশেম মৃধার সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করে।
সরকারের আপিলের ওপর শুনানি শেষে ২০১৩-এর ৩০ এপ্রিল আপিল বিভাগ মোসলেম উদ্দিনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে মারফত আলী ও হাশেম মৃধাকে পুনরায় মৃত্যুদণ্ড দেয়। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের দণ্ডও বহাল থাকে।
আসলে বঙ্গবন্ধুহত্যা ও চারনেতা হত্যা একই সূত্রে গাঁথা। দুটি হত্যাকাণ্ডের বিচার হলেও নেপথ্যের চক্রান্তকারী মদদদাতাদের চিহ্নিত করার জন্য উচ্চপর্যায়ের কমিশন গঠন করা এখন সময়ের দাবি। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার ঘনিষ্ঠ সহকর্মী চার জাতীয় নেতা বাঙালি জাতির ইতিহাসে অমর হয়ে থাকবেন। জেলহত্যা দিবসে চার জাতীয় নেতার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা।
লেখক: মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযুদ্ধ-বিষয়ক গবেষক; সিনিয়র সাংবাদিক।