বাংলাদেশে অতীতে অনেক দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে আগস্ট মাসে। কদিন আগে আমরা এই বেদনাবহ মাস পার করলাম। আমরা এসব বিয়োগান্ত ঘটনার মর্মবেদনা কেউ কেউ বহন করে চলছি, আবার অনেককেই নির্দয়ভাবে নির্বিকার থাকতে দেখছি। এমন বিপরীত চিত্র অনেকের কাছে হয়ত বোধগোম্য নয়। কিন্তু সমাজ, রাষ্ট্র, রাজনীতি ও মনস্তত্ত্ব নিয়ে যারা মোটামোটি জ্ঞান রাখেন তারা বিষয়টিকে বুঝতে ভুল করার কথা নয়। এতসব হত্যাকাণ্ডের ফলে মানুষের দুঃখ-কষ্ট, যন্ত্রণা এবং সর্বোপরি রাষ্ট্রব্যবস্থার অনেক কিছুই ওলটপালট হয়ে গেছে। এসব হত্যাকাণ্ড ও বিয়োগান্ত ঘটনা- পরবর্তী বিপরীত রাজনৈতিক শক্তির উত্থান ঘটতে শুরু করে যা পরস্পর বিরোধী সামাজিক ও রাজনৈতিক শক্তির অবস্থানকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে। সেটিকে কেউ কেউ প্রকাশ্যে অপ্রকাশ্যে সমর্থন কিংবা গ্রহণ করে রাষ্ট্র রাজনীতিতে নানা বক্তব্য দিয়ে এসেছে, রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে।
অপরদিকে হত্যাযজ্ঞের যারা শিকার হয়েছেন, দীর্ঘ সময় তাদেরকে রাজনীতির মাঠ থেকে উৎখাত করার নানা ষড়যন্ত্র হয়েছে , নানা প্রচার অপপ্রচারে তাদেরকে ঘায়েল করা হয়েছে। বিষয়টি একেবারেই স্পষ্ট যে, এটি রাজনৈতিক মতাদর্শগত বৈপরীত্যের মধ্যে বিরাজমান দ্বন্দ্ব। এটি পরস্পর বিরোধী রাজনৈতিক মতাদর্শের সংঘাত। যে সংঘাতে রাষ্ট্র ও সমাজ প্রগতির বিপরীতে প্রতিক্রিয়াশীল অপশক্তির রাজনীতিতে বলপ্রয়োগের অবস্থান গ্রহণ বিদ্যমান। সেটিই বাংলাদেশে ১৯৭৫-এর পর রাষ্ট্রশক্তির প্রত্যক্ষ মদদে বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। এই অপশক্তিই গ্রাস করে নেয়ার চেষ্টা করছে সমাজ প্রগতির।
রাজনৈতিক শক্তির পোশাক পরে নিজেদেরকে ‘সাচ্চা মুক্তিযোদ্ধা’, ‘গণতান্ত্রিক শক্তি’ , ‘দেশপ্রেমিক শক্তি’ ইত্যাদি দাবি করে দেশে ক্রমাগত রাজনৈতিক মতাদর্শের বিভ্রান্তিকর প্রচার প্রচারণায় লিপ্ত হয়ে আছে। অথচ এদের কেউই অতীত ইতিহাসে সমাজ-প্রগতি, গণতন্ত্র, অসাম্প্রদায়িকতা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ইত্যাদির লড়াইয়ে কোনো ভূমিকা রাখেনি বরং পাকিস্তানের সামরিক স্বৈরশাসনের অবস্থানকে তারা সংহত করেছে।
একইভাবে ৭৫-এর ১৫ আগস্টের পর পাকিস্তানের সামরিক শাসক আইয়ুব খানের পদানুসরণে বাংলাদেশের রাজনীতিতে আবির্ভূত হওয়া থেকে পরবর্তী সব ক্ষেত্রে রাষ্ট্র ও সমাজকে পাকিস্তানি ভাবাদর্শে প্রতিক্রিয়াশীলদের একটি বড় ধরনের রাজনৈতিক ক্ষেত্র তৈরি করেছে। যা গত সাড়ে ৪ দশক ধরে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ, অসাম্প্রদায়িক গণতন্ত্র, সমাজ গঠন ইত্যাদির বিপরীতে ক্রমাগতভাবে বিতর্ক, দ্বন্দ্ব-সংঘাত, বিভ্রান্তি এবং সুযোগ পেলে ২০০১ থেকে ২০০৬ সালের মতো চরম প্রতিক্রিয়াশীল রূপ ধারণ করে প্রগতির ধারাকে নির্মূল করতে কোনো প্রকার দ্বিধা করে না।
আগস্টে যেসব হত্যাকাণ্ড আমাদেরকে দেখতে হয়েছে সেগুলো নানা অপব্যাখ্যা, মনগড়া তথ্য, বিকৃত ইতিহাস উপস্থাপনের একটি প্রচেষ্টা লক্ষ করা যায়। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে টানাটানি তো অনেক আগে থেকেই করা হচ্ছে। এমন সব ব্যক্তি মুক্তিযুদ্ধের কথা বলেন যারা মুক্তিযুদ্ধের আগে আন্দোলন সংগ্রামের মূলধারার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। নানা বিপথগামী শক্তির সহযোগী থেকেছিলেন কেউ কেউ, যুদ্ধকালে কেউ কেউ অংশগ্রহণও করেননি।
আবার অংশগ্রহণ করলেও সেটিকেই এখন বড় করে দেখানোর চেষ্টা করেন। মুক্তিযুদ্ধের মূল ঘটনাবলি, রাজনৈতিক নেতৃত্ব এবং মুক্তিযুদ্ধের বিশাল কর্মকাণ্ডকে এড়িয়ে স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের মূল কৃতিত্ব কেড়ে নেয়ার চেষ্টা হচ্ছে। অথচ যারা এমন কথা বলছেন তারা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকেই কেবল নিজেদের দখলে নেয়ার চেষ্টা করছেন। যারা এই মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা লাভের দীর্ঘ লড়াই সংগ্রাম এবং আয়োজন সম্পন্ন করেছিলেন তাদের ভূমিকাকে অস্বীকার করা, নানা কূটতর্ক ও অপপ্রচার চালিয়ে আমাদের গৌরবোজ্জ্বল মুক্তিযুদ্ধকে অসম্মানিত এবং নেতৃবৃন্দকে ইতিহাস থেকে নির্বাসনে পাঠানোর সব চেষ্টা চার দশক ধরে নিরন্তর করে আসছে। এসব বক্তব্য তাদের শাসনামলের কর্মকাণ্ড সহজেই প্রমাণ করে যে, রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত ব্যক্তিগোষ্ঠী এবং তাদের গঠিত রাজনৈতিক দল মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে ধারণ ও বাস্তবায়ন করা নয় বরং সেটিকে নিজেদের দখলে নেয়া।
নিজেদের মতো করে উপস্থাপন করা এবং বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে তাদের পছন্দের রাষ্ট্র ব্যবস্থা হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা বাস্তবে রূপ দিতে মরিয়া হয় আছে। সেকারণে এত বছর ধরেও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে তাদের মনগড়া তথ্য, বিকৃত ইতিহাস প্রতিষ্ঠার অবস্থান থেকে একবিন্দু সরে দাঁড়াতে তাদের দেখা যায় না। এটি নিশ্চয়ই কোনো যুক্তিবাদী, দেশপ্রেমিক, মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে বিশ্বাসী মানুষ ও দলের কাজ হতে পারে না। কিন্তু বাংলাদেশি একটি শক্তি প্রকাশ্যে এই অবস্থান নিয়ে ক্রমাগত বিতর্ক সৃষ্টি করে যাচ্ছে এবং মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাসকে নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্য প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা রাজনৈতিক শক্তিকে বিতর্কে ফেলে দিতে উস্কে দিচ্ছে। আরেকটি শক্তি দৃশ্যত চুপচাপ থাকলেও রাজনৈতিক এই শক্তির সঙ্গে ভেতরে ভেতরে সম্পর্ক জোরদার করে চলছে।
২০০১ সালে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার পর প্রায় ৫ বছর সম্মিলিতভাবে তাদের অবস্থান দেখা গেছে, বোঝাও গেছে। এরা তখন বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে চরম উগ্রবাদী চরিত্রে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য তাদের প্রতিপক্ষকে নির্মূল করার সব ব্যবস্থা নির্দ্বিধায় নিয়েছিল। এরাই এখন বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি পক্ষ যারা নিজেদেরকে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের অপরিহার্য শক্তি হিসেবে দাবি করছে। কিন্তু তারা যখন ক্ষমতায় থাকে তখন বাংলাদেশের দীর্ঘ ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল, স্বাধীনতার সংগ্রামে নেতৃত্ব প্রদান এবং মুক্তিযুদ্ধে যাদের ভূমিকা ছিল প্রশ্নাতীত তাদেরকেই তারা বাংলাদেশ রাষ্ট্রের শত্রু হিসেবে অভিহিত করে ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট, জেলহত্যা, ২০০১ থেকে ২০০৬ সময়ে সব হত্যাকাণ্ড, এমনকি ২০১৩-১৫ সময়ের হত্যাকাণ্ড, সরকার উৎখাতের বিভিন্ন আয়োজন, হেফাজতে ইসলামকে ব্যবহার করে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করা, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার রুদ্ধ করার চেষ্টা ইত্যাদি কর্মকাণ্ডের সঙ্গে রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে এদের প্রত্যক্ষ সংশ্লিষ্টতা ও মদদ দান কোনো অদৃশ্যমান ঘটনা ছিল না। সবই ঘটেছিল প্রকাশ্যে।
সুতরাং বাংলাদেশের রাজনীতির ময়দানে এসব মতাদর্শে বিশ্বাসী ব্যক্তি, গোষ্ঠী, প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক দল এবং সামাজিক শক্তির অবস্থানের রাজনৈতিক মতাদর্শ একটি স্পষ্ট বিষয়। যারা এসব গুচ্ছশক্তির রাজনৈতিক মতাদর্শের ভিত্তি, চরিত্র, কর্মকাণ্ড ইত্যাদিকে উপেক্ষা করে অতি সরলীকরণভাবে রাষ্ট্রের দ্বিদলীয় ব্যবস্থা হিসেবে ভাবেন, প্রচার করেন, টকশোতে এসে নসিহত প্রদান করেন। তারা হয় জটিল এই রাজনৈতিক মতাদর্শিক অবস্থান নির্ণয় করতে অক্ষম, অপারগ ও অযোগ্য, নতুবা শাক দিয়ে মাছ ঢাকার মতো সাধারণ মানুষকে বোকা বানানোর চেষ্টা করে থাকেন। তারা মনে হয় ২য় ধারারই অন্তর্ভুক্ত যারা বাংলাদেশের রাজনীতিকে এমন বীভৎস, কুৎসিত, নিষ্ঠুর, প্রতারণামূলক, আদর্শহীনভাবে বেড়ে উঠতে সাহায্য করেছেন, বাংলাদেশকে এমন পরস্পর বিরোধী মতাদর্শের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছেন।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে কোনো কোনো গণমাধ্যমে কেউ কেউ বলেছেন যে দলটি একটি মধ্যপন্থার রাজনৈতিক মতাদর্শের। এটিও বলা হয়েছে যে, ১৯৭৮ সালের সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান বাম এবং ডানপন্থার রাজনৈতিক নেতাদের নিয়ে মধ্যপন্থার এই দল গঠন করেছেন। যারা এই কথা বলেছেন তারা রাজনৈতিক মতাদর্শের চুলচেড়া বিশ্লেষণ কতটা জেনে বুঝে করেছেন তা নিয়ে আমাদের প্রশ্ন রয়েছে। তবে এটি তাদের হয় অজ্ঞতা নতুবা রাজনৈতিক মতাদর্শকে সরলীকরণ করার কোনো উদ্দেশ্য থেকে হতে পারে।
সেই সময়ে যাদেরকে নিয়ে জেনারেল জিয়াউর রহমান দল গঠন করেছিলেন তাদের অতীত রাজনীতি অতিবাম তথা বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধকে কেউ কেউ ‘দুই কুকুরের লড়াই’ আবার কেউ কেউ সোভিয়েত-ভারতের আধিপত্যবাদ ও সম্প্রসারণবাদের হাতে বাংলাদেশকে নিয়ে যাওয়ার ষড়যন্ত্র বলে মুক্তিযুদ্ধে তারা অংশ নেয়নি, বিরোধিতা করেছিল এবং পাকিস্তানিদের সঙ্গে সহযোগিতাও করে। প্রকৃত বাম বলে পরিচিত যারা ছিলেন তারা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। এমনকি পাকিস্তান আমলে স্বায়ত্তশাসনের লড়াইয়েও তাদের ভূমিকা ছিল। সুতরাং অতিবামরা তখনও মূলধারার বামের অংশ ছিল না। তাদের কর্মকাণ্ডও ছিল নামে বাম কিন্তু উগ্র হঠকারী এবং বিপ্লবী নানা তত্ত্বে বিভ্রান্তবাদী। তাদের শেষ অবস্থান দাঁড়ায় পাকিস্তান রক্ষায় নিজেদেরকে প্রমাণ করা। অতি বামরা যেহেতু উগ্র হঠকারী দ্বারা আপ্লুত থাকে তাই তারা সমাজ ও রাষ্ট্রচিন্তায় তখনও মূল সমস্যাকে চিহ্নিত করে না। সেজন্য লড়াইও করে না।
এই শক্তি রাজনীতিতে অপশক্তি হিসেবেই ভূমিকা পালন করে। ঠিক একইভাবে তখন পাকিস্তানি ভাবাদর্শে যারা ২৩ বছর পূর্ব বাংলার জনগণের অধিকারের বিরুদ্ধে সর্বশক্তি দিয়ে নিজেদেরকে পাকিস্তানি হিসেবে ভূমিকা রেখেছিল, তাদেরকে রাজনীতির পরিভাষায় ডান বা অতি ডানপন্থার রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচয় দেয়া হয়। শাহ আজিজুর রহমান, আবদুল আলিমসহ আরও অনেকেই জিয়াউর রহমানের এই দল গঠনের সময় তার ডানপাশে বসা ছিলেন। কোনো সম্মেলনের মাধ্যমে নয়, বরং রমনা রেস্তোরাঁয় জিয়াউর রহমানের বামপাশে অতি বামদের তার ডান পাশে বসিয়ে নতুন রাজনৈতিক দল ঘোষণা করলেন।
এই উভয় শক্তি অতি ডান অতি বাম হলে আদর্শে তারা পাকিস্তানের ভাবাদর্শের পক্ষে ছিলেন, একইভাবে বিরোধিতা করেছিলেন মুক্তিযুদ্ধের এবং মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী আওয়ামী লীগ, বিভিন্ন সংগঠন, মুক্তিযুদ্ধে সমর্থন দানকারী ভারত, সোভিয়েত ইউনিয়নসহ গণতান্ত্রিক বিশ্বের। অতএব এই উভয় ধারার রাজনৈতিক শক্তির মিলনে যেই নতুন দল গঠিত হয়েছে, সেটিকে মধ্যপন্থার তকমা লাগিয়ে জাতে ওঠানোর চেষ্টা একেবারেই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। রাজনীতির বিজ্ঞানে মধ্যপন্থা হচ্ছে একটি উদারবাদী রাজনৈতিক মতাদর্শ যা সমাজের ডান-বামের দ্বন্দ্বকে যথাসম্ভব নিরসনের মাধ্যমে রাষ্ট্র ও সমাজে একটি গতিময় পথ সৃষ্টি করে।
এই পথ মূল ইতিহাসকে ত্যাগ করে হয় না। বরং সেটিকে সংরক্ষণ এবং লালন-পালনের মাধ্যমে বৃহত্তর জনগোষ্ঠীকে যুক্তিবাদ, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, অসাম্প্রদায়িক চেতনা ইত্যাদিকে সম্প্রসারিত করার কাজ করে। তবে বর্তমান দুনিয়ায় কোনো কোনো দেশে ডানপন্থার মধ্যেও উদারবাদী মধ্যপন্থার কাছাকাছি অবস্থান নেয়ার একটি সরু ধারা বিরাজ করছে। এটিকে কেউ ডানঘেঁষা মধ্যপন্থার বলে অভিহিত করে থাকে। আবার এক কালের বামদেরও একটি অংশ মধ্যপন্থার কাছাকাছি আরেকটি বামঘেঁষা মধ্য সরু ধারা প্রবহমান রাখার চেষ্টা করে। রাজনীতিতে এই পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলতেই পারে। তবে মধ্যপন্থা অপেক্ষাকৃত উদার, অসাম্প্রদায়িক, আধুনিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রচিন্তার বিকাশের জন্যে অনেক বেশি নির্ভরশীল।
সুতরাং বাংলাদেশে যারা ডান, বাম, মধ্যপন্থার মতাদর্শিক বিভাজনে রাজনীতিকে এক কথায় বলে দেয়ার চেষ্টা করেন তাদেরকে আরও বেশি জেনে, বুঝে, শুনে বলা দরকার। তাহলেই বিভ্রান্তি দূর হবে, বাংলাদেশ রক্ষা পাবে।
লেখক: অধ্যাপক-গবেষক