ইংরেজ আইনবিদ ও মৃত্তিকাবিজ্ঞানী চালর্স ডাউসন এবং লন্ডনস্থ ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামের জিওলজি বিভাগের কিউরেটর স্মিথ উডওয়ার্ড জানিয়েছিলেন, তারা ১৯০৮ থেকে ১৯১২ সাল পর্যন্ত অনুসন্ধান করে পাঁচ লাখ বছর আগের আদি মানবের মাথার খুলির খণ্ডাংশ, চোয়ালের হাড় ও দাঁত পেয়েছেন। সাসেক্সের পিটডাউন অঞ্চলে পাওয়া গিয়েছিল বলে এর নাম দেয়া হয় ‘পিটডাউন ম্যান’। যেমন করে পৃথিবীর নানা অংশে জাভাম্যান, পিকিং ম্যান, নিয়ান্ডারথাল ম্যান পাওয়া গিয়েছিল। ডাউসনদের আবিষ্কার বেশ সাড়া ফেলেছিল তখন।
ইংল্যান্ড তার অতীত ঐতিহ্য নিয়ে গর্ব করতে থাকে। কিন্তু ১৯১৯ সাল থেকে বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার সূত্রে বিজ্ঞানীরা সন্দেহ প্রকাশ শুরু করেন। এই সন্দেহ জোরাল হতে থাকে। অনেকেই মনে করেন এটি একটি জালিয়াতি। কেউ কেউ মন্তব্য করেন তারা এসব দেহখণ্ড কৃত্রিমভাবে তৈরি করে মাটি চাপা দিয়ে রেখেছিলেন। পরে জালিয়াতির মাধ্যমে প্রচার করেন এটি আদি মানবের দেহাবশেষ। ২০১৬ সালে বিজ্ঞানসম্মত গভীর পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জালিয়াতির ব্যাপারটি সুনিশ্চিত করা হয়। আর এর কালিমা পড়ে যায় ডাউসন ও উডওয়ার্ডের গায়ে।
এ জন্যই ইতিহাসের শিক্ষা হচ্ছে নিজ ল্যাবরেটরিতে তৈরি ইতিহাস প্রচার করে কিছু সময় মানুষকে বিভ্রান্ত করা গেলেও ইতিহাস যথা সময়ে সত্যকে সামনে নিয়ে আসবেই। তখন ইতিহাসের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে কলঙ্কিত হবেন অসত্য প্রচার করা জালিয়াতরা।
বিএনপি হঠাৎ করে তার রাজনৈতিক যাত্রার মাঝপর্বে এসে এক সময় মানুষকে নতুন গল্প শোনাল। একটি জাতির মহাশোকের দিন অর্থাৎ ১৫ আগস্ট তারা শোকের বদলে ‘সুখ দিবস’ পালন করবে। নিজস্ব ল্যাবে তৈরি হয়ে গেল সেদিন দলটির নেত্রী বেগম জিয়ার আরও একটি জন্মতারিখ। বিষণ্ন মানুষ বিস্মিত হয়ে সেদিন ভেবেছিল রাজনীতি কতটা নিম্নগামী, গাড়ল আর অমানবিক হতে পারে! নানা সূত্র ঘেঁটে আমার মনে হয়েছে এই গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কারের তথ্য স্বয়ং জিয়াউর রহমান জেনে যেতে পারেননি। জিয়াউর রহমান আরও একটি তথ্য জেনে যেতে পারেননি তা হচ্ছে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন।
এ সমস্তই জিয়া-উত্তর বিএনপি রাজনীতির ল্যাবে তৈরি। এর হয়তো দুটো কারণ থাকতে পারে। একটি জেনারেল জিয়াউর রহমান নিহত হওয়ার পর বিপন্ন দশায় ছিল বিএনপি রাজনীতি। সেসময়ের গৃহবধূ খালেদা জিয়াকে দলপ্রধান করে দলীয় সংহতি রক্ষার একটি চেষ্টা করা হয়েছিল। তিনি তার মেধার গুণে দলকে প্রথমিক সংকট থেকে রক্ষা করতে পেরেছিলেন।
এ সময়ের বিএনপি নেতৃত্ব হয়তো স্বাভাবিক রাজনীতির পথে হেঁটে চলার সাহস পাননি। বিশেষ করে বঙ্গবন্ধুর অভ্রভেদী প্রভাব ও গড়ে তোলা ঐতিহ্য বাঙালির মন থেকে ফিকে হয়ে যায়নি। তাই আতঙ্কিত বিএনপি নেতৃত্ব বুঝতে পেরেছিলেন প্রতি ১৫ আগস্ট প্রজন্ম নতুন করে বঙ্গবন্ধুকে জানার জন্য কৌতূহলী হয়ে উঠবে। এই জোয়ারে বাঁধ দিতে হবে। তাই কারো উর্বর মাথা থেকে বের হলো যূপকাষ্ঠে তাদের নেত্রীর ঘাড়েই বেঁধে দিতে হবে। খাঁড়ার ঘা যাতে সেখানেই পড়ে। বেচারি বেগম জিয়া অগ্র-পশ্চাৎ না ভেবে সেখানেই মাথা পেতে দিলেন।
আমরা সে সময় থেকে কাগজে বহুবার লিখেছি এভাবে সত্যকে আড়াল করে উগ্র চিন্তার প্রতিফল ভালো হয় না। আজ মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চাইলেও কাল ইতিহাস মিথ্যাকে ছুড়ে ফেলবে আস্তাকুঁড়ে। বুমেরাং হয়ে ফিরে এসে বিদ্ধ করবে বিএনপিরই বক্ষ। অবশেষে অনেক কিছু হারিয়ে বিএনপি তাদের নেত্রীর জাঁকজমকপূর্ণ বিশেষ জন্মদিন পালন থেকে নীরবে পিছু হটেছে। তবে এ অপচেষ্টায় সচেতন মানুষ ইঙ্গিত পেয়ে গেছে অনেক কিছু। বুঝতে পেরেছে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের কেন পুরস্কৃত করেছিলেন জিয়াউর রহমান।
দ্বিতীয় বিষয়টি একটি উদাহরণ দিয়ে বলতে চাই। ঢাকার নবাবদের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা আলিমুল্লাহ সাধারণের কাছে অলি মিয়া নামে পরিচিত ছিলেন। চামড়া আর লবণের ব্যবসা করে কাশ্মীর থেকে আসা আলিমুল্লাহ বিস্তর সম্পদশালী হলেও সমাজে অভিজাত হিসেবে পরিচিত ছিলেন না। অভিজাত সমাজে পৌঁছার জন্য তিনি মূল্যবান হীরা-মাণিক্য ক্রয় করতে থাকলেন। বেশভূষা-শানশওকতে ঔজ্জ্বল্য বাড়াতে লাগলেন। একই প্রতিফলন বিএনপিতে। জিয়াউর রহমান তার জীবদ্দশায় মুক্তিযুদ্ধে সেক্টর কমান্ডার হিসেবে অবস্থান নিয়েই সন্তুষ্ট ছিলেন।
‘একটি জাতির জন্ম’ শিরোনামে পত্রিকায় তার লেখা নিবন্ধে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠের কৃতিত্বেই সন্তুষ্ট ছিলেন। কিন্তু সংকট তৈরি হলো জিয়াউর রহমান-উত্তর বিএনপি রাজনীতিতে নানা ঘাটের জল খাওয়া নেতাদের মধ্যকার অস্বস্তি থেকে। তাকিয়ে দেখলেন মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেয়ার সব কৃতিত্ব তো চলে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের ভাণ্ডারে। তারা ইতিহাসকে অস্বীকার করে জিয়াউর রহমানকে বঙ্গবন্ধুর পাশে দাঁড় করাতে চাইলেন। এভাবে চাইলেন একটি অসৎ রাজনীতির খসড়া তৈরি করতে। তারা জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে প্রচার করতে লাগলেন। শুরু থেকেই আমাদের কাছে এটি একটি নির্বোধের প্রচারণা বলে মনে হচ্ছিল। বোঝা যায় নতুন প্রজন্মকে ভুলিয়ে দিতে চাইছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আর বঙ্গবন্ধুর অবদান। বঙ্গবন্ধুর বদলে এদেশের দীর্ঘ রাজনীতির ধারাবাহিকতায় অচেনা একজন অজ্ঞাতকুলশীল পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মেজরকে মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক বানানো মূর্খ-প্রয়াস জাতি হিসেবে আমাদের খুব ছোট করে দিয়েছে।
বিএনপির ভেতরের এক অংশ হয়তো বুঝতে পেরেছিলেন খালেদা জিয়ার জন্মদিনের মতো ল্যাবরেটরিতে বানানো স্বাধীনতার ঘোষকের প্রচারণাও বুমেরাংয়ের মতো ফিরে আসবে। তাই মাঝখানে ‘স্বাধীনতার ঘোষক জিয়া’ স্লোগান দেয়া কিছুটা কমিয়ে ফেলেছিল বিএনপি। কিন্তু অধুনা তীব্র রাজনৈতিক হতাশার সময়ে বিএনপির শক্তিশালী কোনো জায়গা থেকে হয়তো আদেশ এসেছে আবার ‘স্বাধীনতার ঘোষক জিয়া’ বলে মুখে ফেনা তুলতে হবে। তাই দম দেয়া পুতুলের মতো বিএনপি নেতারা আবার সমস্বরে প্রেসিডেন্ট জিয়াকে স্বাধীনতার ঘোষক বলে ঐকতান শুরু করেছেন। আমাদের মনে হয় বিএনপি নেতারা একটি সত্য বিবেচনায় আনতে চান না, তা হচ্ছে ভাঙা হাট আবার বসানো যায় না। ক্ষমতায় থেকে নিম্নমাধ্যমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের বইতে নানা বিকৃতি এনে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করেছিল। এতে মুক্তিযুদ্ধের কয়েক যুগ পরে জন্ম নেয়া প্রজন্মকে কিছুটা যে বিভ্রান্ত করতে পারেনি তা নয়।
ইতিহাসের ছাত্র হিসেবে আমরা সে সময় বহুবার বলার চেষ্টা করেছি জোর করে ইতিহাস তৈরি করা যায় না। আওয়ামী লীগ দীর্ঘদিন ক্ষমতায় আছে। ফলে মুক্তিযুদ্ধের স্বাভাবিক ইতিহাস আবার উন্মোচিত হয়েছে। বিএনপি আমলে প্রজন্মকে যেটুকু বিভ্রান্ত করা গিয়েছিল সেই প্রজন্ম আবার মূল স্রোতে নিজেদের যুক্ত করে ফেলেছে। বলতে হবে বিএনপির তৈরি করা সে হাট ভেঙে গেছে। তাই আবার ‘স্বাধীনতার ঘোষক জিয়া’ বলে ভাঙা হাট বসানো কঠিন হবে।
ইতিহাস আপন নিয়মেই মিথ্যাকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করিয়ে সত্য প্রতিষ্ঠা করে। মাঝখানে অপচেষ্টার কলঙ্ক বয়ে বেড়াতে হয়। ইতিহাসের সত্য মাটি ফুঁড়ে বের হবেই। না হলে চার্লস ডাউসনদের মিথ্যাচার পিটডাউন ম্যানের কথা সত্য বলেই দীর্ঘদিন মানুষ মেনে নিয়েছিল। তাই বলে সত্যকে কি চিরদিনের মতো আড়াল করা গেছে? আর এখন তো সত্য আড়াল করা আরও কঠিন। আধুনিক যন্ত্রযুগেই মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে। কারো মুখের কথা বা বক্তৃতায় ইতিহাস তৈরি হবে কেন! সমস্ত তথ্যসূত্রই হাতে রয়েছে। একারণেই বিস্ময়ের সঙ্গে ভাবতে হয় বিএনপি নেতারা সব জেনে বুঝেও নিজেদের এভাবে ছোট করছেন কীভাবে!
প্রজন্মের কাছে কি এই প্রশ্ন জাগবে না যে মাঠের রাজনীতিতে যুক্ত হয়েই বেড়ে উঠেছিলেন বঙ্গবন্ধু? সারা জীবন বাঙালির জন্য মুক্তির লড়াই করেছেন। বঙ্গবন্ধুর একটি কথায় ঝাঁপিয়ে পড়েছে সমস্ত বাঙালি। বাঙালির অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে বছরের পর বছর কারাবন্দি থাকতে হয়েছে এই মহান নেতাকে। ১৯৭১-এর ৭ মার্চের ভাষণের পর বাঙালির মুক্তির লড়াইয়ে আর কোনো দিকনির্দেশনার প্রয়োজন পড়েনি।
২৩ মার্চ পাকিস্তানের প্রজাতন্ত্র দিবসে পাকিস্তানের পতাকার বদলে যখন দেশব্যাপী বাংলাদেশের মানচিত্রখচিত পতাকা উত্তোলিত হলো তখনও কি পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও ইপিআরের অনেক মেজরের মতো একজন মেজর জিয়াউর রহমানের অস্তিত্ব এদেশের রাজনীতির ময়দানে ছিল? বৈঠক ভেঙে দিয়ে ২৫ মার্চ বিকেলে বিমান ধরে ইয়াহিয়া খান যখন পশ্চিম পাকিস্তানে উড়াল দিলেন তখনতো স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল পাকিস্তানি বাহিনী ঝাঁপিয়ে পড়বে বাঙালির ওপর। আওয়ামী লীগ নেতাদের নেতৃত্বে ছাত্রজনতা পাকিস্তানি বাহিনীকে প্রতিহত করার জন্য যখন ঢাকার রাজপথে বেরিকেড দিচ্ছিল আর জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগানে চারদিক কাঁপিয়ে তুলছিল তখনও কি এদেশের মানুষ জিয়াউর রহমান নামের কোনো মেজর কে চিনত? ধরে নিলাম মেজর জিয়া স্বাধীনতার ঘোষক (?)।
তাহলে তো মানতে হবে পাকিস্তানি বাহিনী ২৫ মার্চ রাত সাড়ে এগারোটার দিকে গণহত্যা শুরু করে আর বাঙালি পড়ে পড়ে মার খাচ্ছিল। ২৭ মার্চ কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে রাজনীতিতে অচেনা একজন মেজর স্বাধীনতার ঘোষণা দিলেন তখনই মানুষ ঝাঁপিয়ে পড়ল মুক্তিযুদ্ধে। তাহলে তো প্রশ্ন থাকে ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি মিলিটারি কনভয়ের সামনে ফার্মগেটের কাছে শত শত বাঙালি ছাত্রজনতা প্রায় খালি হাতে প্রতিরোধ গড়তে গিয়ে আত্মাহুতি দিয়েছিল কার ঘোষণায়? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র আর ইপিআর জওয়ানরা পিলখানায় কার নির্দেশে অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করেছিলেন? ২৬ মার্চ রাতে রাজারবাগ পুলিশ লাইনের বীর পুলিশ বাহিনী জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছিলেন কার নির্দেশে?
একটি আনুষ্ঠানিক ঘোষণার প্রয়োজন ছিল বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য। আক্রান্ত হওয়ার পর বঙ্গবন্ধুর এই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ট্রান্সমিটারে কিছুটা ছড়িয়ে পড়েছিল ২৬ মার্চ রাতেই। মগবাজার ওয়্যারলেসের মাধ্যমে সেই ঘোষণা চট্টগ্রামে পাঠানো হয় সেই রাতেই। চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগ নেতারা এই ঘোষণা প্রচার করে যাচ্ছিলেন কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে। একপর্যায়ে মনে হয়েছে এই দুঃসময়ে সাধারণের কাছে এই মেসেজটি পৌঁছানো জরুরি যে, বাঙালি সৈনিকরাও এই মুক্তিযুদ্ধে পাশে আছে। তাই জিয়াউর রহমান আসেন কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে।
তিনি নিজের সামরিক পরিচয় দিয়ে বঙ্গবন্ধুর পক্ষ থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন। জেনে রাখা ভালো ১০ কিলোওয়াটের এই বেতার যন্ত্রটির সম্প্রচারের ক্ষমতা ছিল সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার পরিধির ভেতর। অর্থাৎ এদেশের অধিকাংশ মানুষ এই ঘোষণা শুনতেই পায়নি। এসব সত্য তো ইতিহাসে তথ্যসূত্র বিচারেই গ্রন্থিত হয়ে গেছে। তাহলে সব জেনেও বিএনপি নেতারা কীসের মোহে বা শাসনের গ্যাড়াকলে পড়ে ‘স্বাধীনতার ঘোষক জিয়া’ বলে নিজেদের ক্রমাগত নিচে নামাচ্ছেন? এখন তথ্যসূত্রসহ প্রামাণিক বইপত্র পাওয়া যাচ্ছে। প্রজন্মকে মিথ্যাচার করে কি আর বিভ্রান্ত করা যাবে!
কিছুদিন আগে এক সন্ধ্যায় বন্ধুর বাড়িতে গেয়েছিলাম। ড্রয়িংরুমে টিভিতে খবর চলছিল। আমরা গল্পে মশগুল, টিভিতে মনোযোগ ছিল না। পাশেই বসা ছিল বন্ধুর ছোট ভাইয়ের সেভেনে পড়া মেয়েটি। টিভির প্রতি মনোযোগ আকৃষ্ট করে ওর বাবাকে বললো, দেখ উনি আবারও জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বলছেন। দেখলাম টিভিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের বক্তব্য প্রচার হচ্ছে। মেয়েটির ঠোঁটে তখনও লেগে আছে কৌতুকের হাসি।
লেখক: অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।