বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘এহন আর ঘাটত ঘাটত চান্দা দিওন লাগবো না’

  •    
  • ১৮ জুলাই, ২০২১ ১২:২২

গরু ব্যবসায়ী মোফাজ্জ্বল মিয়া বলেন, ‘কয়েক বছর আগে গরু নিয়ে ডাহা (ঢাকা) গেছিলাম। জ্যামের মধ্যেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা পইরে আছিলাম। এরপর গরু নিয়ে আর ডাহা (ঢাকা) যায়নে। এইবার যামু ট্রেনে। কোনো জ্যাম নাই। আহা কি শান্তি।’

‘গরু ট্রেনত তুলমু আর ঢাহা নামায়ে বেইচে আলামু। এহন আর ঘাটত ঘাটত চান্দা দিওন লাগবো না। এই ট্রেন যেন পত্যেক বছরই পায়। এই ব্যবস্থা করবেন যে।’

কথাগুলো জামালপুরের গরু ব্যবসায়ী মনু্ আকন্দের। কোরবানির জন্য পশু পরিবহনে চালু হওয়া ‘ক্যাটেল স্পেশাল ট্রেনে’ গরু তোলার পর এভাবেই নিজের অনুভূতি নিউজবাংলাকে জানালেন তিনি। তাকে শনিবার পাওয়া যায় জামালপুরের ইসলামপুর স্টেশনে।

ওই ট্রেনে গরু তুলে দিয়ে আরেক ব্যবসায়ী মনির হোসেন বলেন, ‘আগে ট্রাকে কইরে ঢাকা যাইতে ১৬ থাইকে ১৮ হাজার টাকা লাগতো। এহন ওই গরু গুইলে ঢাকা নিয়ে যাইতে খরচ পড়তাছে ৮ হাজার টেকা। তার মানে পত্যেক গরু ৫০০ টাকা। এই ট্রেন দেয়াতে আঙ্গর মেলা উফকার অইছে। পরের বছরও যাতে এই ট্রেন আমরা পায়।’

কথা হয় আরেক ব্যবসায়ী মোফাজ্জ্বল মিয়া বলেন, ‘কয়েক বছর আগে গরু নিয়ে ডাহা (ঢাকা) গেছিলাম। জ্যামের মধ্যেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা পইরে আছিলাম। এরপর গরু নিয়ে আর ডাহা (ঢাকা) যায়নে। এইবার যামু ট্রেনে। কোনো জ্যাম নাই। আহা কি শান্তি।’

করোনা পরিস্থিতিতে কম খরচ আর নিরাপদে কোরবানির পশু পরিবহনের জন্য এই বিশেষ ট্রেন সার্ভিস চালু করে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এরই অংশ হিসেবে জামালপুরের ইসলামপুর থেকে শনিবার সন্ধ্যায় ছেড়ে গেছে পশুবাহী প্রথম ট্রেন।

সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় ২৫টি ওয়াগনে ৪০০ গরু নিয়ে প্রথম ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। রাতে ২৩টি ওয়াগন নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায় দ্বিতীয় ট্রেনটি। দ্বিতীয় ট্রেনে ইসলামপুর থেকে ১৮টি, মেলান্দহ থেকে ৩টি ও ময়মনসিংহ থেকে ২টি ওয়াগনে মোট ৩৬৪টি গরু নিয়ে যায় ব্যবসায়ীরা।

ইসলামপুর রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার আজগর আলী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ক্যাটেল স্পেশাল ট্রেন চালু হওয়ার পর ইসলামপুর থেকে ভালো সাড়া পাওয়া গেছে। দুই ট্রেনের ৫০টি ওয়াগনের মধ্যে ৪৩টিই ইসলামপুর থেকে বুক করা হয়েছে। তাহলে বুঝতেই পারছেন যে কেমন সাড়া পাওয়া গেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিটি খামারি আর ব্যবসায়ীরা পরের বছরও এই ট্রেন চাচ্ছে। এখন কর্তৃপক্ষ যদি পরের বছরও এই ট্রেন চালু রাখে তাহলে ব্যবসায়ীদের অনেক উপকার হয়।’

জামালপুর থেকে প্রতিটি ওয়াগনের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৮ হাজার টাকা।

এ বিভাগের আরো খবর