বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মুক্তা চাষে সফলতার আশা

  •    
  • ১০ অক্টোবর, ২০২০ ১৭:১৬

সেনাবাহিনী থেকে অবসর নিয়ে ইউটিউব ও বিভিন্ন সাইটে মুক্তা চাষের ব্যাপারে ব্যাপক পড়াশোনা করেন তারেক। এরপর রংপুর, নীলফামারী ও কুয়াকাটা গিয়ে মুক্তাচাষীদের কাছ থেকে আরও ধারণা নেন

রাজবাড়ী জেলা সদরের আলীপুর ইউনিয়নের কালিচরণপুর গ্রামের বাসিন্দা সাজ্জাদুর রহমান তারেক (৩০)। সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেয়ার পর এক ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছেন। তিনি মুক্তা চাষ শুরু করেছেন।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বাড়ির পাশে নিজের পুকুরে শুরু করেন মুক্তা চাষ। পুকুরের বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পাশাপাশি সাত হাজার ঝিনুকের মধ্যে ১৪ হাজার মুক্তা চাষ করছেন তিনি।

তবে এ জন্য তিনি আগে ব্যাপক পড়াশোনা করেন ও প্রশিক্ষণ নেন। তারেক এ ব্যাপারে বলেন, সেনাবাহিনী থেকে অবসর নিয়ে ইউটিউব ও বিভিন্ন সাইটে মুক্তা চাষের ব্যাপারে ব্যাপক পড়াশোনা করেন। এরপর রংপুর, নীলফামারী ও কুয়াকাটা গিয়ে মুক্তাচাষীদের কাছ থেকে আরও ধারণা নেন।

এরপর তারেক ভারতের ওডিশা রাজ্যের একটি মুক্তা গবেষণা ইন্সটিটিউট থেকে প্রশিক্ষণ নেন। এখন রাজবাড়ী জেলা মৎস্য অফিসের নির্দেশনা অনুযায়ী মুক্তা চাষ করছেন।

তারেক জানান, প্রতিটি মুক্তা উৎপাদনের জন্য প্রয়োজন হয় একটি করে নিউক্লিয়াস। ভারত থেকে তিনি এই নিউক্লিয়াস নিয়ে আসেন। প্রতিটি নিউক্লিয়াসের দাম পড়ে বাংলাদেশি  ২০ থেকে ৩০ টাকা। এই নিউক্লিয়াস ঝিনুকে ইঞ্জেক্ট করতে হয়। তিনি নিজেই এই কাজটি করেন।

এই পুকুরে মুক্তা চাষ করছেন তারেক

 

তারেক আরও  জানান, প্রতিটি ঝিনুকে মুক্তা চাষে তার খরচ হয়েছে ১০০ টাকা। একেকটি মুক্তা বিক্রি করবেন ১৫০ টাকা দরে।

এক বছরের মধ্যেই মুক্তা সংগ্রহ করতে পারবেন বলে জানান তারেক। প্রতিটি মুক্তায় তিন গুণ লাভ থাকবে বলে তিনি আশা করছেন। তার স্বপ্ন একজন বড় মুক্তাচাষি হওয়ার।

এ বিভাগের আরো খবর