দুই দশক আগেও বগুড়ার শাহনগরে মরিচ উৎপাদন হতো সীমিত পরিসরে। কিন্তু এখন পাল্টে গেছে সেই চিত্র। দুই থেকে আড়াইশ’ নার্সারিতে চলছে চাষাবাদ। মরিচ উৎপাদন ও চারা সরবরাহে ভালো লাভ হওয়ায় দিন দিন এর পরিধি বাড়ছে।
দেশি মরিচের স্থলে অবশ্য এখন জায়গা করে নিয়েছে হাইব্রিড জাত। প্রতিবেশি দেশ থেকে বীজ সংগ্রহ করা হচ্ছে। নার্সারি মালিকরা বলছেন, ‘এ বছর প্রায় ৩০ হেক্টর জমিতে বীজ বোনা হয়েছে। তিন থেকে চার কোটি চারা উৎপাদন হবে। পাইকারি পর্যায়ে প্রতিটি বিক্রি হবে ৬০ থেকে ৮০ পয়সায়। খুচরা বাজারে তা এক টাকায় হাতবদল হবে।
শাহানগর নার্সারি মালিক সমিতির সভাপতি আমজাদ হোসেন জানান, ভারত থেকে আমদানি করা বীজ দিয়ে চারা উৎপাদন শুরু করেন। পরে এলাকার আরও কয়েকজন এই কাজে এগিয়ে আসেন। তাদের সবাই আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন। সব মিলিয়ে এখন কাজ করছেন প্রায় এক হাজার নারী-পুরুষ।
কৃষকরা জানান, ‘বিঘাতে ৪ কেজি বীজের প্রয়োজন হয়। খরচ হয় প্রায় এক লাখ ৯০ হাজার টাকা। ভালো মানের চারা সংগ্রহ করতে আশপাশের জেলা থেকে এখানে ভিড় করছেন চাষি ও পাইকাররা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক দুলাল হোসেন জানান, এ বছর ব্যাপক বৃষ্টি ও বন্যায় চারা ও মরিচ গাছের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ অবস্থায় ভারত থেকে আমদানি করে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। এখন যে মরিচ লাগানো হচ্ছে তা থেকে ফলন পেতে এক মাস সময় লাগবে। এর পর বাজার স্বাভাবিক হয়ে আসবে। সূত্র: বাসস