× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

কৃষি
Disaster in aman cultivation of seedbed under water
google_news print-icon

পানির নিচে বীজতলা, আমন আবাদে বিপর্যয়ের শঙ্কা

পানির-নিচে-বীজতলা-আমন-আবাদে-বিপর্যয়ের-শঙ্কা
জলাবদ্ধতায় উপকূলে আমনের বিস্তীর্ণ বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে। ছবি: নিউজবাংলা
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, এ বছর বরগুনায় ৮ হাজার ৪৪৮ হেক্টর জমিতে আমনের বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। টানা বর্ষণে জলাবদ্ধতায় বরগুনায় ৫ হাজার ৮১০ হেক্টর জমির বীজ আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত এবং এক হাজার ৮৫০ হেক্টর জমির বীজতলা সম্পূর্ণ নষ্ট হয়েছে।

টানা বর্ষণে জলাবদ্ধতায় উপকূলে আমনের বিস্তীর্ণ বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে। নতুন করে বীজতলা তৈরির সময় নেই, এ অবস্থায় এবার বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে আমন উৎপাদন।

আবহাওয়া অফিস জানায়, জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে উপকূলীয় বরগুনা জেলায় ৪৭৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। টানা ভারি বর্ষণের ফসলের মাঠে পানি জমে আমনের বীজতলা নষ্ট হয়ে যায়।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, এ বছর বরগুনায় ৮৩ হাজার হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হয়। এ জন্য ৮ হাজার ৪৪৮ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি করা হয়েছে।

টানা বর্ষণে জলাবদ্ধতায় জেলায় ৫ হাজার ৮১০ হেক্টর জমির বীজ আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত এবং এক হাজার ৮৫০ হেক্টর জমির বীজতলা সম্পূর্ণ নষ্ট হয়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবদুর রশীদ বলেন, ‘জলাবদ্ধতায় এ বছর আমনের সব বীজতলাই নিমজ্জিত হয়েছিল। নিচু বীজতলার প্রায় সব বীজ নষ্ট হয়ে যায়।

‘কিছুটা উঁচু জমিতে তৈরি বীজতলার বীজ আংশিক নষ্ট হলেও বীজ রোপনের জন্য জমি প্রস্তুতের সময়ে এসব বীজ রোপন উপযোগী হয়ে উঠবে। বীজতলা নষ্ট হওয়ার প্রভাব পড়বে উপকূলীয় এ জেলার আমন ফলনে।’

তিনি বলেন, ‘আমন বরগুনার কৃষকদের প্রধান ফসল। এবার আমাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হবেনা।’

বরগুনা সদরের খাজুরতলা গ্রামের কৃষক আবুল হোসেন হাওলাদার বলেন, ‘আমনের জন্য আধগানি (দুই একর) জমিতে বীজতলা করেছি। দেওইর (বৃষ্টি) কারণে আলচাষ (হালচাষ) করতে পারিনায়। এহন পানি কমছে, চাষবাস কইররা জমিতে বীজ লাগামু। কিন্তু বীজ সব পইচ্চা নষ্ট অইয়া গ্যাছে। এহন কি রুমু খ্যাতে? নতুন কইররা বীজ করারও সোমায় নাই এহন।’

একই এলাকার কৃষক খলিল হাওলাদার বলেন, ‘মোগো দক্ষিণ খাজুরতলা, লাকুরতলা, বেতবুনিয়া, সোনারবাংলাসহ আশপাশের বেবাক এলাকার আমনের বীজ নষ্ট অইয়া গ্যাছে। এহন মোরা কি রুমু (রোপন করবো) !’

আমতলী উপজেলার হলদিয়া, আঠারগাছিয়া, আমতলী সদর এবং তালতলীর ছোটবগী, পচাকোড়ালিয়া ইউনিয়নে মাঠের পর মাঠ এখনও পানিতে তলিয়ে আছে।

আমতলী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় জানায়, এ বছর আমতলী ও তালতলী উপজেলার ১৪ ইউনিয়নে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৩৩ হাজার ৫০০ হেক্টর। অতিবর্ষণে দুই উপজেলার আমনের বীজতলার ৯০ শতাংশ নষ্ট হয়ে গেছে।

সময়মতো পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় আমতলীর আঠারগাছিয়া, হলদিয়া, চাওড়া, আমতলী সদর, কুকুয়া, আড়পাঙ্গাশিয়া ও তালতলীর পচাকোড়ালিয়া, শারিকখালী, কড়াইবাড়িয়া, ছোটবগী ও বড়বগী ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকায় জলাবদ্ধতায় আমনের বীজ নষ্ট হয়েছে।

চাওড়া ইউনিয়নের কাউনিয়া গ্রামের কৃষক আবদুল জব্বার মৃধা বলেন, ‘আমনের খেতে এহন বীজ রোয়ার সময়, জমিন রেডি করছি চাষাবাদ কইররা, কিন্ত মোগো বীজ সব শ্যাষ, দেওইর পানি জইম্মা প্রায় সব বীজ নষ্ট।’

পাথরঘাটা উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের কৃষক আনিসুর রহমান বলেন, 'আবাদ করনের লইগ্যা মুই ২০ কাডি ধান বীজতলা বানাইতে খ্যাতে হালাইছিলা, এহন সব বীজ পানির তলে, দেওই না কোমলে সব নষ্ট অইয়া যাইবে। হেলে মোগো এইফির আর আমন ধান ঘরে ওডবে বইল্যা মনে অয় না।’

তালতলীর নিদ্রা এলাকার কৃষক মিজানুর রহমান বলেন, ‘বৃষ্টি কমার পর জাগা চইয়া রেডি করছিলাম বীজ রোয়ার লইগ্যা। বীজের খ্যাতে যাইয়া দেহি সব নষ্ট, বীজ তুইল্লা খ্যাতে রুইতে পারমু কিনা কইতে পারিনা।’

একই অবস্থা বেতাগী ও বামনা উপজেলার আমন বীজতলার।

বামনা উপজেলার রামনা ইউনিয়নের কৃষক জালাল মিয়া বলেন, ‘মোগো খ্যাতের বীজ সব পানতে তলাইয়া পঁচন ধরছে। এই বীজ খ্যাতে লাগাইন্না সোম্ভাব না। আমন ধান ঘরে না ওডলে গুরাগারা লইয়া না খাইয়া মরা লাগবে মোগো।’

বরগুনার জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান বলেন, ‘অতিবর্ষণে কৃষি সমৃদ্ধ বরগুনায় আমন আবাদে ক্ষতি হয়েছে। বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে কৃষি বিভাগকে কৃষকদের সঙ্গে নিয়মিত পরামর্শ ও সহায়তা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছি।’

আরও পড়ুন:
সুনামগঞ্জে তলিয়েছে আমনের জমি, উদ্বিগ্ন কৃষক

মন্তব্য

আরও পড়ুন

কৃষি
The sale of onion has decreased

কমেছে বিক্রি, আড়তেও নেই পেঁয়াজ

কমেছে বিক্রি, আড়তেও নেই পেঁয়াজ ফাইল ছবি
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, আড়ত, পাইকারি ও খুচরা বাজারে আমরা অভিযান চালিয়েছি। কারা এ ধরনের ঘটনায় জড়িত তাদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি।

সারা দেশে পেঁয়াজের বাজার এখন অস্থির। খুচরা বাজারের পাশাপাশি এমন অবস্থা চট্টগ্রামের আড়তগুলোতেও। পেঁয়াজ বিক্রি তাই অনেকটা কমে গেছে আড়তে। এর বাইরে বেশিরভাগ আড়তেই পেঁয়াজ নেই।

ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ ঘোষণার পর নগরীর ব্যবসাকেন্দ্র চাক্তাই ও খাতুনগঞ্জের আড়তগুলোতে রোববার এ দৃশ্য দেখা গেছে।

দুদিন ধরে পাইকারি বাজারের পাশাপাশি দাম বেশি হওয়ায় নগরীর খুচরা বাজারেও ক্রেতার সংখ্যা কমেছে অনেক। রোববার পাইকারি বাজারে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে। তবে ক্রেতা ছিল খুবই কম।

স্থানীয়রা বলছেন, শনিবার হঠাৎ দাম বাড়িয়ে বাজার থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে কয়েকটি সিন্ডিকেট। আর আড়তদারেরা বলছেন, পেঁয়াজের সরবরাহ কম। যা আছে তার ক্রেতাও নাই। দাম শুনে কেনার আগ্রহ প্রকাশ করছেন না ক্রেতারা।

পাইকারি বাজার চাক্তাই ও খাতুনগঞ্জ গিয়ে দেখা যায়, বেশিরভাগই আড়ত পেঁয়াজশুন্য। কয়েকটাতে পেঁয়াজ থাকলেও ক্রেতা নেই। বসে আছেন বিক্রেতারা। দু-চারজন আসলেও দাম শুনে না কিনেই ফেরত গেছেন।

রিয়াজুদ্দিন বাজার থেকে পেঁয়াজ কিনতে আসা শামীম খান বলেন, পাইকারি বাজারে দাম ১৭০-১৮০ টাকা। খুচরায় ২০০-২১০ টাকায় বিক্রি করতে হবে। এই দামে ক্রেতারা কিনতে চাইবে না।

ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ ঘোষণার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর শনিবার দাম হঠাৎ করেই দ্বিগুণ হয়ে যায়। কেজিতে বাড়ে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা।

বাজার নিয়ন্ত্রণে এদিন সারা দেশের মতো চট্টগ্রামের বাজারগুলোতেও অভিযান চালায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। পাশাপাশি চট্টগ্রামের পাইকারি বাজারে অভিযান চালায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।

এদিকে নগরীর বিভিন্ন বাজারে দেখা যায়,মুদি দোকানগুলোতে পেঁয়াজ তেমন একটা নেই কয়েকটাতে থাকলেও দাম ২০০ টাকার আশেপাশে। তবে কোনো দোকানেই ক্রেতা নেই।

চাক্তাই,খাতুনগঞ্জ আড়তদার কল্যাণ সমিতির সভাপতি মো.জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ভারতীয় পেঁয়াজ না আসায় আড়ত এখন খালি। যাও দুএকজনের কাছে আছে তাও বিক্রি হচ্ছে না। পেঁয়াজ পচনশীল হওয়ায় আমদানিকারক ও আড়তদাররা সমস্যায় পড়েছেন। লোকসান দিতে হবে তাদের।

এদিকে শনিবার হঠাৎ দাম বাড়িয়ে কয়েকটি সিন্ডিকেট কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ।

পেঁয়াজের কেনা দাম ৮০-৮৫ টাকার বেশি নয়, কিন্তু বিক্রি করা হচ্ছে ২০০ টাকার বেশি। পাইকারিতে প্রতি কেজি পেঁয়াজে ওই সিন্ডিকেট মুনাফা করেছে ১১৫ থেকে ১২০ টাকা।

খুচরা বাজারে শুক্রবার পেঁয়াজের কেজি ১২০ টাকা থাকলেও শনিবার ২৪০ টাকায় বিক্রি হয়। একদিনে কেজিতে ১২০-১৪০ টাকার বেশি মূল্যবৃদ্ধির ঘটনাকে নজিরবিহীন আখ্যায়িত করা হয়েছে।

দাম বাড়ার পর পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা হুমড়ি খেয়ে পড়েন। টনে টনে পেঁয়াজ বিক্রি হয়। পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা আগের কেনা পেঁয়াজ বেশি দামে বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।

চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, আড়ত, পাইকারি ও খুচরা বাজারে আমরা অভিযান চালিয়েছি। কারা এ ধরনের ঘটনায় জড়িত তাদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি। অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।

আরও পড়ুন:
নারায়ণগঞ্জের এক পেঁয়াজ ব্যবসায়ীকে লাখ টাকা জরিমানা

মন্তব্য

কৃষি
Ink over Whips name on Inaugural Plaque of Lake Bridge at Gaibandha

গাইবান্ধায় লেকের সেতুর উদ্বোধনী ফলকে হুইপের নামের ওপর কালি

গাইবান্ধায় লেকের সেতুর উদ্বোধনী ফলকে হুইপের নামের ওপর কালি
৫ ডিসেম্বর সকালে পথচারী ও স্থানীয়রা দেখতে পান, ওই ফলকে উদ্বোধকের নামের ওপর কালি দিয়ে নাম মুছে দিয়েছে কে বা কারা।

গাইবান্ধা জেলা শহরের ঘাঘট লেকের উওপর দৃষ্টিনন্দন ব্রিজের উদ্বোধনী ফলকে উদ্বোধকের নামের ওপর কালি দিয়ে নাম মুছে দেয়া হয়েছে।

সম্প্রতি রাতের আঁধারে কে বা কারা আর এ কাজ করেছে তা নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে।

গত ২ অক্টোবর সন্ধ্যায় গাইবান্ধা পৌর শহরের ডেভিড কোম্পানি পাড়া এলাকায়, নতুন বাজার সংলগ্ন ঘাঘট নদীর ওপর (ঘাঘট লেক) দৃষ্টিনন্দন এই গার্ডার সেতুর উদ্বোধন করেন জাতীয় সংসদের হুইপ ও গাইবান্ধা-২ (সদর) আসনের সাংসদ মাহাবুব আরা বেগম গিনি।

৫ ডিসেম্বর সকালে পথচারী ও স্থানীয়রা দেখতে পান, ওই ফলকে উদ্বোধকের নামের ওপর কালি দিয়ে নাম মুছে দিয়েছে কে বা কারা।

ঘাঘট লেক পাড়ার (ডেভিট কোম্পানীনি পাড়া) বাসিন্দা ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি শেখ রোহিত হাসান রিন্টু বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারে উন্নয়ন তথা গিনি আপার উন্নয়নের ধারায় ঈর্শান্বিত হয়ে তার নামের ওপর কালি লেপন করা হয়েছে।

জাতীয় সংসদের হুইপ ও গাইবান্ধা-২ (সদর) আসনের এমপি মাহাবুব আরা বেগম গিনি মোবাইল ফোনে বলেন, কে বা কারা এই কাজটি করেছে আমি জানিনা।

এ ব্যাপারে গাইবান্ধা সদর উপজেলার এলজিইডির প্রকৌশলী মো. বাবলু মিয়া মোবাইল ফোনে নিউজবাংলাকে বলেন, বিষয়টি জানা ছিল না, আমি উপজেলা প্রশাসনের সাথে কথা বলে সিদ্ধান্ত মোতাবেক, যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য

কৃষি
An onion trader in Narayanganj was fined lakhs of rupees

নারায়ণগঞ্জের এক পেঁয়াজ ব্যবসায়ীকে লাখ টাকা জরিমানা

নারায়ণগঞ্জের এক পেঁয়াজ ব্যবসায়ীকে লাখ টাকা জরিমানা
অভিযান শুরুতে বাজারের পেঁয়াজের দোকানে দোকানে গিয়ে মূল্য তালিকা ও ক্রয়-বিক্রয় মূল্য যাচাই বাছাই করেন কর্মকর্তারা। পরে কয়েকটি দোকানে গরমিল পাওয়া গেলে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও জেলা কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা সেখানে উপস্থিত হন।

পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে নারায়ণগঞ্জে একটি বাজারের কয়েকটি পেঁয়াজের পাইকারি দোকানে অভিযান চালিয়েছে ভ্রম্যমাণ আদালত।

রোববার দুপুরে নগরীর দ্বিগু বাবুর বাজারে চালানো এই অভিযানে অতিরিক্ত মুনাফা লাভের জন্য কারসাজি করায় এক ব্যবসায়ীকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ফারশিদ ইবনে এনামের নেতৃত্বে জেলা প্রশাসন ও জেলা কৃষি বিপণন আধিদপ্তর পরিচালিত অভিযানে সহায়তা করে র‌্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থাসহ আইনশৃংখলা বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থা।

অভিযান শুরুতে বাজারের পেঁয়াজের দোকানে দোকানে গিয়ে মূল্য তালিকা ও ক্রয়-বিক্রয় মূল্য যাচাই বাছাই করেন কর্মকর্তারা। পরে কয়েকটি দোকানে গরমিল পাওয়া গেলে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও জেলা কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা সেখানে উপস্থিত হন।

এ সময় অধিকাংশ দোকানের মালিক ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে সটকে পড়েন। তবে কয়েকটি দোকানে মূল্য তালিকা না থাকা ও ভুল তথ্য দিয়ে দোকানদাররা বিভ্রান্ত করাসহ চালানপত্র যাচাই-বাছাই করে পেঁয়াজ ক্রয়-বিক্রয় মূল্যের কারসাজির প্রমাণ পান তারা।

রাজধানীর শ্যামবাজারের আমদানিকারাকের কাছ থেকে ৯৩ টাকার কিনে ১৫৬ টাকায় ও এর চেয়েও অধিক মূল্যে বিক্রির অভিযোগে ইউনুস বেপারি নামে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে এক লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট।

অভিযান শেষে কৃষি বিপণন কর্মকতা আতিকুল ইসলাম জানান, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকারকে বিব্রত করতে ও বেকায়দায় ফেলতে একটি কুচক্রি মহল পেঁয়াজের বাজার অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছে।

তিনি বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে তাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

আরও পড়ুন:
ভারত থেকে ৫২ হাজার টন পেঁয়াজ আসছে ‘শিগগিরই’
এক দিনে পেঁয়াজের দ্বিগুণ দামে ক্ষুব্ধ ক্রেতা
বাগেরহাটের বাজারে কেজিতে ১০০ টাকা বাড়ল পেঁয়াজের দাম

মন্তব্য

কৃষি
After 8 hours ferry starts Paturia Daulatdia

সোয়া ৮ ঘণ্টা পর ফেরি চালু পাটুরিয়া-দৌলতদিয়ায়

সোয়া ৮ ঘণ্টা পর ফেরি চালু পাটুরিয়া-দৌলতদিয়ায় কুয়াশা কেটে যাওয়ায় ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে। ফাইল ছবি
বিআইডব্লিউটিসির আরিচা কার্যালয়ের ডিজিএম মোহাম্মদ শাহ খালেদ নেওয়াজ বলেন, ‘কুয়াশার তীব্রতা কমে যাওয়ায় পুনরায় ফেরি চলাচল শুরু করা হয়। তবে মাঝনদীতে আটকা পড়া ফেরিগুলো পারে পৌঁছালে তারপর উভয় পার থেকে ফেরি ছাড়া হয়।’

ঘন কুয়াশায় সোয়া আট ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে।

ঘন কুয়াশার তীব্রতা কমে গেলে রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পুনরায় ফেরি চালু করে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)।

এর আগে, ঘন কুয়াশার কারণে নৌদুর্ঘটনা এড়াতে শনিবার রাত সোয়া ১টার দিকে ওই নৌপথে ফেরি চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়।

বিআইডব্লিউটিসির আরিচা কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মোহাম্মদ শাহ খালেদ নেওয়াজ বলেন, ‘কুয়াশার তীব্রতা কমে যাওয়ায় পুনরায় ফেরি চলাচল শুরু করা হয়। তবে মাঝনদীতে আটকা পড়া ফেরিগুলো পারে পৌঁছালে তারপর উভয় পার থেকে ফেরি ছাড়া হয়।

‘এর আগে নৌদুর্ঘটনা এড়াতে ফেরি বন্ধ রাখা হয়। ফেরি বন্ধ রাখায় যাত্রী ও যানবাহন বোঝাই চারটি ফেরি নদীতে আটকা পড়ে। ফেরি চলাচল শুরু হওয়ার পর সিরিয়াল অনুযায়ী এসব যানবাহন পারপার করা হচ্ছে।’

আরও পড়ুন:
পাটুরিয়া-দৌলতদিয়ায় বন্ধ ফেরি
চালুর এক মাসেই কুড়িগ্রামে ফেরি বন্ধ, ফের ভোগান্তি
শিমুলিয়া-মাঝিকান্দি নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ
ভোগান্তি নেই পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ঘাটে
শিমুলিয়ায় ফেরিতে মোটরসাইকেল ওঠা শুরু

মন্তব্য

কৃষি
EC order to withdraw Meherpur SP

মেহেরপুরের এসপিকে প্রত্যাহারে ইসির নির্দেশ

মেহেরপুরের এসপিকে প্রত্যাহারে ইসির নির্দেশ মেহেরপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) রাফিউল আলম। ছবি: সংগৃহীত
ইসির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বরিশাল ও সিলেটের মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক এবং হবিগঞ্জ, পিরোজপুর, নোয়াখালী, সাতক্ষীরা ও মেহেরপুরের পুলিশ সুপারকে তাদের নিজ নিজ কর্মস্থল থেকে প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

মেহেরপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) রাফিউল আলমকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রোববার দুপুরে ইসি থেকে এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বরিশাল ও সিলেটের মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক এবং হবিগঞ্জ, পিরোজপুর, নোয়াখালী, সাতক্ষীরা ও মেহেরপুরের পুলিশ সুপারকে তাদের নিজ নিজ কর্মস্থল থেকে প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে কর্মকর্তাদের প্রত্যাহার ও বদলির এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

রাফিউল আলম ২০২১ সালের ১৫ জুলাই পুলিশ সুপার হিসেবে মেহেরপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে যোগদান করেছিলেন।

একইসঙ্গে তাদের স্থলে অভিজ্ঞ ও যোগ্য কর্মকর্তাদের পদায়নের প্রস্তাব নির্বাচন কমিশনে পাঠানোর জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিবদের চিঠি দিয়েছে ইসি।

আরও পড়ুন:
প্রার্থীকে ‘গেট আউট’ বলে হাইকোর্টে যেতে বললেন সিইসি
দুই পুলিশ কমিশনার পাঁচ এসপি এক ডিসিকে প্রত্যাহারের নির্দেশ

মন্তব্য

কৃষি
Common people of Kurigram suffer due to thick fog

ঘন কুয়াশায় দুর্ভোগে কুড়িগ্রামের খেটে খাওয়া মানুষ

ঘন কুয়াশায় দুর্ভোগে কুড়িগ্রামের খেটে খাওয়া মানুষ কুড়িগ্রামে রোববার ভোরে ঘন কুয়াশায় ঢেকে যায় চারদিক। ছবি: নিউজবাংলা
রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ওসি সুবল চন্দ্র বলেন, ‘এখন প্রতিদিন তাপমাত্রা কমে আসবে এবং শীতের তীব্রতা বাড়তে থাকবে। এ মাসের শেষ সপ্তাহে জেলার ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’

উত্তরের জনপদ কুড়িগ্রামে ঘন কুয়াশা ও প্রচণ্ড শীতে দুর্ভোগে পড়েছেন নদীপাড়ের খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ।

জেলায় রোববার ভোর ছয়টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার সন্ধ্যা থেকেই এখানে কমতে শুরু করে তাপমাত্রা, যার ফলে বাড়তে থাকে শীতের তীব্রতা।

এমন পরিস্থিতিতে দিনমজুর ও কাজে যাওয়া লোকজন ঘর থেকে বের হতে পারছেন না।

জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার কেদার ইউনিয়নের অটোভ্যান চালক আলমগীর হোসেন বলেন, ‘রাত থেকেই কুয়াশা পড়তে শুরু করেছে। সকালে কুয়াশার জন্য সড়কে কিছু দেখা যায় না। ভ্যান নিয়ে বের হতে কষ্ট হচ্ছে।’

ঘন কুয়াশায় কিছু দেখা না যাওয়ায় সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন।

ওই এলাকার অটোরিকশার চালক রুবেল মিয়া বলেন, ‘ঘন কুয়াশার কারণে সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলতে হচ্ছে। যাত্রীও অনেক কমে গেছে।’

এ বিষয়ে জেলার রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ওসি সুবল চন্দ্র বলেন, ‘এখন প্রতিদিন তাপমাত্রা কমে আসবে এবং শীতের তীব্রতা বাড়তে থাকবে। এ মাসের শেষ সপ্তাহে জেলার ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’

আরও পড়ুন:
২৫ বছর আগে ঢাকায় হারানো মাইদুল খুঁজে পেলেন পরিবার
শিক্ষা অফিসারের রোষানলে পদ গেল প্রধান শিক্ষকের
নদীগর্ভে চিলমারীতে বিলীন স্কুলের পাঠদান রৌমারীতে
মানসিক ভারসাম্যহীনের চুল-দাড়ি কাটিয়ে নতুন জামা পরিয়ে দিলেন স্থানীয়রা
কুড়িগ্রামে বজ্রপাতে মাদ্রাসার ৯ শিক্ষার্থী আহত

মন্তব্য

কৃষি
44 passengers rescued from St Martin ship stuck in the water

ডুবোচরে আটকা সেন্টমার্টিনগামী জাহাজ থেকে ৪৪ যাত্রী উদ্ধার

ডুবোচরে আটকা সেন্টমার্টিনগামী জাহাজ থেকে ৪৪ যাত্রী উদ্ধার আটকে পড়া যাত্রীদের উদ্ধার করেন কোস্ট গার্ড সদস্যরা। ছবি: সংগৃহীত
রোববার বিকেলে কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার খন্দকার মুনিফ তকি এ তথ্য জানান।

ডুবোচরে আটকে যাওয়া টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনগামী পর্যটকবাহী একটি জাহাজ থেকে ৪৪ যাত্রীকে উদ্ধার করেছে কোস্ট গার্ড।

রোববার বিকেলে কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার খন্দকার মুনিফ তকি এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পর্যটকবাহী জাহাজ ‘এম ভি গ্রিন লাইন-১’ টেকনাফের বিআইডব্লিউটিএ ঘাট থেকে ৪৪ জন পর্যটক নিয়ে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে যাত্রা করে। পরে সেন্টমার্টিনের ৪ নটিক্যাল মাইল উত্তরে সমুদ্র এলাকায় ডুবোচরে জাহাজটি আটকে যায়।

কোস্ট গার্ডের এই কর্মকর্তা বলেন, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পর্যটকবাহী জাহাজ থেকে পর্যটকরা কোস্ট গার্ড স্টেশন সেন্টমার্টিনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাৎক্ষণিক কোস্ট গার্ডের সেন্টমার্টিন ও টেকনাফ স্টেশন থেকে একাধিক উদ্ধারকারীদল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পর্যটকদের উদ্ধার করে। তাদের নিরাপদে সেন্টমার্টিন দ্বীপে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তিদের সেন্টমার্টিন নোঙ্গরে অবস্থানরত কোস্ট গার্ড জাহাজ কামরুজ্জামান-এ চিকিৎসা সেবা দেয়া হয় বলেও জানান কোস্ট গার্ডের এই কর্মকর্তা।

আরও পড়ুন:
মিগজাউমে উত্তাল সাগর, সেন্টমার্টিনে জাহাজ বন্ধ
সেন্টমার্টিন থেকে তিনটি জাহাজে টেকনাফের পথে পর্যটকরা
সেন্টমার্টিন থেকে ফেরার পথে ডুবোচরে আটকা ‘বার আউলিয়া’

মন্তব্য

p
উপরে