× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

কৃষি
যে আমের কেজি হাজার টাকা
google_news print-icon

যে আমের কেজি হাজার টাকা

যে-আমের-কেজি-হাজার-টাকা
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় চাষ শুরু হয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে দামি আম রেড ম্যাঙ্গো বা সূর্যডিম আম। দেশে সবচেয়ে বড় সূর্যডিম আমের বাগানটি গড়ে তুলেছেন কাজী মাহবুবুর রহমান নামে এক বীর মুক্তিযোদ্ধা আর তার দুই মেয়ে।

সীমান্ত জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় চাষ হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে দামি আম রেড ম্যাঙ্গো, যা এ দেশে সূর্যডিম নামে পরিচিত হয়ে উঠেছে।

দেশের কয়েকটি জায়গায় পরীক্ষামূলকভাবে এ সূর্যডিমের চাষ শুরু হলেও এটির সবচেয়ে বড় বাগান এখন তেঁতুলিয়ায়।

তেঁতুলিয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার কাজী মাহবুবুর রহমান কাজীপাড়া গ্রামে ২০১৭ সালে এই আমের বাগান গড়ে তোলেন।

বাগানে শুরুতে তিনি দুই শ সূর্যডিম আমের গাছ লাগান। পরে আরও ১৩০টি আমের চারা লাগান তিনি।

উপশহরের অদূরেই কাজীপাড়া গ্রাম। ভারতীয় সীমান্তের কোল ঘেঁষে এই আমের বাগান গড়ে তুলেছেন তিনি। গাছে গাছে ঝুলে আছে সূর্যডিম আম। সবুজ, বেগুনি আর গাঢ় লাল রংয়ের মিশ্রণে দেখতে অনিন্দ্য সুন্দর এই আম। প্রত্যেক গাছে ৫০ থেকে ৬০টি আম ধরেছে।


যে আমের কেজি হাজার টাকা

৪ শ থেকে ৫ শ গ্রাম ওজনের এই আম বিক্রিও শুরু হয়েছে। জাপানে এই আমের কেজি ১০০ ডলার বা ৮ হাজার টাকার মতো হলেও বাংলাদেশে প্রতি কেজি আম বিক্রি হচ্ছে ৭ শ থেকে হাজার টাকায়। সৌখিন আম ভক্তরা এই সূর্যডিম আম কিনছেন।

বাগানের মালিক কাজী মাহবুবুর রহমান বলেন, এক নিকটাত্মীয়ের কাছে এই আমের বর্ণনা শোনেন তিনি। এরপর ২০১৭ সালে ঢাকা থেকে এই আমের চারা সংগ্রহ করে পাঠিয়ে দেন তার দুই মেয়ে।

মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘জমি আমার হলেও মূলত আমার দুই মেয়ে অবসরপ্রাপ্ত মেজর কাজী মৌসুমী এবং সাংবাদিক কাজী মহুয়া এই আমের বাগান করেছেন। তারাই ঢাকা থেকে সূর্যডিম আমের চারা সংগ্রহ করেন।’

যে আমের কেজি হাজার টাকা


মাহবুবুর রহমান জানান, তার বাগানে আমের ফলন শুরু হয়েছে ২০১৯ সাল থেকে। শুরু থেকেই এই আম দেশের বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করা হচ্ছে।

তিনি জানান, প্রযুক্তি এবং সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা গেলে তেঁতুলিয়ার সূর্যডিম আম বিদেশেও রপ্তানি করা সম্ভব।

তেঁতুলিয়ার জমিতে এই আমের প্রচুর ফলন হয়।

মাহবুবুর রহমান শুধু সূর্যডিমই নয়, আরও কয়েক প্রকার বিদেশি জাতের আমের চাষ করছেন। আট একর জমিতে তিনি পিউজাই, বারি ফোর, ব্যানানা এবং রেড পালমা আমের চাষ করছেন।

যে আমের কেজি হাজার টাকা


প্রত্যেক প্রজাতির আমের গাছে ভালো ফলন এসেছে। এ বছর আরও চার একর জমিতে তিনি বিভিন্ন প্রজাতির আম লাগাচ্ছেন। এই আমের বাগান এখন দেখতে আসছেন অনেকে। অনেকে এসব প্রজাতির আমের বাগান করার আগ্রহ প্রকাশ করছেন।

কাজী মাহবুবুর রহমান বলেন, সরকার উদ্যোগ নিলে এই আমের চারা উৎপাদন করে চাষিদের কাছে পৌঁছে দিতে পারেন।

সূর্যডিম মূলত জাপানের প্রজাতি। জাপানের মিয়াজাকি এলাকায় এই আম প্রথম চাষ হয়। তাই জাপানে এই আম মিয়াজাকি নামে পরিচিত। রেড ম্যাঙ্গো বা এগস অফ সান নামেও এই আম পরিচিত।

বর্তমানে বিভিন্ন দেশে এই আমের চাষ হচ্ছে। বাংলাদেশের খাগড়াছড়ি এবং তেঁতুলিয়ায় এই আমের চাষ শুরু হয়েছে। বিশ্ববাজারে এই আমের দাম ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা কেজি। তবে এখনও এই আমের কথা দেশের অনেকেই জানেন না।

যে আমের কেজি হাজার টাকা


সৌন্দর্য, স্বাদ এবং পুষ্টিগুণে সেরা হওয়ায় বাজারে চাহিদা অনেক বেশি। সেই তুলনায় বাংলাদেশে এই আমের উৎপাদন কম। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে, তেঁতুলিয়ার সমতলভূমি সূর্যডিম আম চাষের উপযোগী।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘কাজী মাহবুবুর রহমানের সূর্যডিম আমের বাগান দেখেছি। প্রচুর ফলন হয়েছে। আমের প্রকৃতি ও স্বাদও ভালো। আমরা মনে করছি এই এলাকায় সূর্যডিম আম চাষের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। শুধু সূর্যডিম নয়, বিদেশি উন্নত জাতের নানা প্রজাতির আম চাষও সম্ভব এই উপজেলার সমতলভূমিতে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে এসব আম চাষে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।’

মন্তব্য

আরও পড়ুন

কৃষি
Chargesheet in 20 cases of student coup

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকালের ২৬টি মামলায় চার্জশিট

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকালের ২৬টি মামলায় চার্জশিট

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকালে দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত ঘটনায় দায়ের করা মামলার মধ্যে এখন পর্যন্ত ২৬টি মামলার চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে।
এর মধ্যে হত্যা মামলা ৮টি এবং অন্যান্য ধারায় মামলা ১৮টি।
পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা, চার্জশিটকৃত ৮টি হত্যা মামলা হলো- শেরপুর, ফেনী, চাঁদপুর, কুমিল্লা ও কুড়িগ্রাম জেলার ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের। অন্যান্য ধারার ১৮টি মামলা হলো- বগুড়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, পাবনা ও জামালপুর জেলার এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ ও রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ এবং পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের।
হত্যা মামলায় মোট আসামি ১ হাজার ১৫৩ জন এবং অন্যান্য ধারার মামলায় মোট আসামি রয়েছে ৬৮২ জন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকালে দায়েরকৃত মামলার যথাযথ তদন্ত নিশ্চিত করার জন্য ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাগণ মামলাসমূহ তদারক করছেন।
অন্যান্য মামলার তদন্ত কার্যক্রম শেষ করে অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতে বাংলাদেশ পুলিশ সচেষ্ট রয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

মন্তব্য

কৃষি
Gazette of the Welfare and Rehabilitation Ordinance of the Fighters July

জুলাই যোদ্ধাদের কল্যাণ ও পুনর্বাসন অধ্যাদেশের গেজেট প্রকাশ

জুলাই যোদ্ধাদের কল্যাণ ও পুনর্বাসন অধ্যাদেশের গেজেট প্রকাশ

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার ও জুলাই যোদ্ধাদের কল্যাণ ও পুনর্বাসন অধ্যাদেশ-২০২৫ এর বিধিমালার গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।

বুধবার মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন-১ শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব নুসরাত জাহানের সই করা প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

গেজেট অনুযায়ী, স্বীকৃত শহীদ পরিবারের সদস্যরা এককালীন ৩০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র ও মাসিক ২০ হাজার টাকা ভাতা পাবেন।

এছাড়া, আহতদের তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এর মধ্যে অতি গুরুতর আহতরা এককালীন ৫ লাখ টাকা ও মাসিক ২০ হাজার টাকা। গুরুতর আহতরা এককালীন ৩ লাখ টাকা ও মাসিক ১৫ হাজার টাকা এবং আহতরা এককালীন ১ লাখ টাকা ও মাসিক ১০ হাজার টাকা পাবেন।

এতে আরও বলা হয়, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ পরিবার ও জুলাই যোদ্ধাদের কল্যাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রম তদারকির জন্য কেন্দ্রীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কমিটি গঠন করা হবে। কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি হবেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বা উপদেষ্টা। জেলা কমিটির সভাপতি হবেন জেলা প্রশাসক এবং উপজেলা কমিটির সভাপতি হবেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)।

উল্লেখ্য, সরকার গত ১৭ জুন ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার এবং জুলাই যোদ্ধাদের কল্যাণ ও পুনর্বাসন অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করে। এতে গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের ‘জুলাই শহীদ’ এবং আহতদের ‘জুলাই যোদ্ধা’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

মন্তব্য

কৃষি
Authorization of the draft of the Revenue Policy and Revenue Management Amendment Ordinance

রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা (সংশোধন) অধ্যাদেশের খসড়ার অনুমোদন

রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা (সংশোধন) অধ্যাদেশের খসড়ার অনুমোদন

উপদেষ্টা পরিষদের ৩৯তম বৈঠকে আজ ‘রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন হয়েছে।

ঢাকার তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।

বৈঠকে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের কূটনৈতিক ও অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীগণের পারস্পরিক ভিসা অব্যাহতি চুক্তির খসড়া অনুমোদন করা হয়।

এছাড়া, উপদেষ্টা পরিষদকে সংস্কার কমিশনসমূহের সুপারিশ বাস্তবায়ন অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত করা হয়।

মন্তব্য

কৃষি
July Affairs Seminar at Dhaka University

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান বিষয়ক সেমিনার

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান বিষয়ক সেমিনার

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের উদ্যোগে “জুলাই ২০২৪: বিপ্লব ও ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থান” শীর্ষক এক সেমিনার আজ ২১ আগস্ট ২০২৫ বৃহস্পতিবার বিভাগীয় মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান বিষয়ক সেমিনার

বিভাগীয় চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিহির লাল সাহার সভাপতিত্বে সেমিনারে জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. এনামুল হক বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলমোজাদ্দেদী আলফেছানী।

প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ বলেন, জুলাই শুধু একটি গণ-অভ্যুত্থান নয়, বরং এটি বৃহৎ পরিবর্তনের একটি সম্ভাবনার প্রতীক। এর মাধ্যমে বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সমাজের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, একারণে কাজে-কর্মে, চলনে-বলনে সর্বত্র তাদের দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে।

মন্তব্য

কৃষি
Mawlana Bhasani Bridge of the dream launched in Teestas chest

তিস্তার বুকে চালু স্বপ্নের মওলানা ভাসানী সেতু

তিস্তার বুকে চালু স্বপ্নের মওলানা ভাসানী সেতু

উত্তর জনপদের দীর্ঘ প্রতীক্ষিত ‘মওলানা ভাসানী’ সেতুর স্বপ্নযাত্রা অবশেষে শুরু হলো। গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ ও কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার মধ্যে সংযোগ স্থাপন করা সেতুটি বুধবার গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের হরিপুরে উদ্বোধন করেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া।

এরপর হরিপুর অংশের প্রবেশমুখে ফিতা কেটে সেতুর দ্বার খুলে দেওয়া হয়। সঙ্গে সঙ্গে হাজারও মানুষ দলে দলে সেতুতে ওঠে পড়েন। তারা সেতুর ওপর দলবেঁধে ছবি ওঠাতে থাকেন এবং আনন্দ-উচ্ছ্বাস করতে থাকেন। এ সময় উৎসুক জনতার ভিড় সামাল দিতে বেগ পেতে হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে।

পরে গাড়িতে ওঠে গাইবান্ধাবাসীর সঙ্গে হাস্যোজ্জ্বল মুখে করমর্দন করেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। এ সময় গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, এলজিইডি কর্মকর্তা, সেতু নির্মাণ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং উপদেষ্টার সফর সঙ্গীরা উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধনের আগে থেকেই সেতু এলাকায় তৈরি হয় উৎসবমুখর পরিবেশ। ভোর থেকে তিস্তার পাড়ে ভিড় জমাতে থাকেন দুই জেলার হাজারও মানুষ। কেউ পরিবারের সঙ্গে, কেউবা দলবেঁধে আসেন ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হতে। দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষিত স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নিচ্ছে- এই আনন্দে তাদের চোখে-মুখে ফুটে ওঠে উচ্ছ্বাস।

২০১৪ সালের ২৫ জানুয়ারি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করেন। নানা জটিলতা ও একাধিকবার তারিখ পরিবর্তনের পর অবশেষে ১১ বছর পর চালু হলো এই সেতু।

এলজিইডি সূত্র জানায়, সৌদি সরকারের অর্থায়নে ও চায়না স্টেট কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের তত্ত্বাবধানে সেতুটি নির্মিত হয়েছে। প্রকল্পে ব্যয় হয়েছে ৮৮৫ কোটি টাকা।

১ হাজার ৪৯০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৯.৬ মিটার প্রস্থের পিসি গার্ডার সেতুটি দেশের ইতিহাসে এলজিইডির সবচেয়ে বড় প্রকল্প। সেতুকে ঘিরে তৈরি হয়েছে প্রায় ৮০ কিলোমিটার এক্সেস সড়ক। নির্মিত হয়েছে ৫৮টি বক্স কালভার্ট ও ৯টি আরসিসি সেতু। ফলে বেলকা বাজার, পাঁচপীর, ধর্মপুর, হাট লক্ষ্মীপুর, সাদুল্যাপুর ও ধাপেরহাটসহ দুই জেলার অন্তত ১০টি বাজার সরাসরি সংযুক্ত হবে।

সেতুটি চালু হওয়ায় গাইবান্ধা-কুড়িগ্রামসহ উত্তরাঞ্চলের অর্থনীতি ও জীবনযাত্রায় বড় পরিবর্তন আসবে। স্বল্পখরচে কৃষি ও শিল্পপণ্যের পরিবহন সম্ভব হবে। গড়ে ওঠবে ছোট ও মাঝারি শিল্প কারখানা। ঢাকাসহ দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগ সহজ হওয়ার পাশাপাশি ভুরুঙ্গামারী স্থলবন্দরের দূরত্ব কমবে ৪০-১০০ কিলোমিটার। পর্যটনেও নতুন সম্ভাবনা তৈরি হবে।

তবে সেতুর নামকরণ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে কিছুটা ক্ষোভ রয়েছে। স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও সেতুর স্বপ্নদ্রষ্টা শরিতুল্যাহ মাস্টারের নামে নামকরণের দাবি জানিয়ে স্থানীয়রা একাধিকবার মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দিয়েছেন। তাদের দাবি, ১৯৯৫ সাল থেকে শরিতুল্যাহ মাস্টার আন্দোলন চালিয়ে আসছিলেন সেতুর জন্য। তিনি ‘তিস্তা সেতু বাস্তবায়ন কমিটি’ গঠন করেছিলেন। তার নিরলস প্রচেষ্টাতেই সেতুটি বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে। তাই তার স্মৃতি অম্লান রাখতে ‘শরিতুল্যাহ মাস্টার তিস্তা সেতু’ করার দাবি তুলেছিলেন এলাকাবাসী। তবে সরকার গত ১০ আগস্ট প্রজ্ঞাপন জারি করে সেতুর নামকরণ করেছে ‘মওলানা ভাসানী সেতু, গাইবান্ধা’।

সব বিতর্ক ছাপিয়ে তিস্তার দুই পারের মানুষ এখন উচ্ছ্বসিত। দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন পূরণের পর এখন থেকে শুরু হলো তাদের নতুন যাত্রা।

মন্তব্য

কৃষি
National Fisheries Week

জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে পাংশায় চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা

জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে পাংশায় চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা

রাজবাড়ীর পাংশায় জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে হাইস্কুল পর্যায়ে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) সকাল ১১টায় পাংশা জর্জ সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

“অভয়াশ্রম গড়ে তুলি, দেশি মাছে দেশ ভরি”-এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত প্রতিযোগিতায় ক ও খ এই দুই গ্রুপে মোট ২০ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। ক গ্রুপে ৬ষ্ঠ থেকে ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা এবং খ গ্রুপে ৯ম থেকে ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।

পাংশা উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এ আয়োজনে অংশ নেয়। এর মধ্যে রয়েছে- পাংশা জর্জ সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, এয়াকুব আলী চৌধুরী বিদ্যাপীঠ, কাজী আব্দুল মাজেদ একাডেমি, পাংশা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এবং পাংশা সিদ্দিকীয়া কামিল মাদ্রাসা।

প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেশি মাছ সংরক্ষণ, অভয়াশ্রম তৈরি এবং পরিবেশবান্ধব মৎস্যচাষে সচেতনতা সৃষ্টির প্রয়াস চালানো হয়।

চিত্রাঙ্কণ প্রতিযোগিতাটি বাস্তবায়ন করে পাংশা উপজেলা জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২৫ উদযাপন কমিটি।

মন্তব্য

কৃষি
The proposed Brahmanbaria Government Medical College is demanding the establishment of Rasulpur

প্রস্তাবিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মেডিকেল কলেজ রসুলপুরে স্থাপনের দাবিতে মানববন্ধন

প্রস্তাবিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মেডিকেল কলেজ রসুলপুরে স্থাপনের দাবিতে মানববন্ধন

প্রস্তাবিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল নবীনগরের তিতাসপাড় ‘রসুলপুর’ এলাকায় স্থাপনের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১২টায় নবীনগর প্রেসক্লাব চত্বরে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে সামাজিক সংগঠন ‘ঐক্যবদ্ধ নবীনগর’।

মানববন্ধন শেষে একটি প্রতিনিধি দল নবীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রাজিব চৌধুরীর কাছে কলেজ স্থাপন সংক্রান্ত দাবিসংবলিত স্মারকলিপি প্রদান করে।

‘ঐক্যবদ্ধ নবীনগর’ সংগঠনের আহ্বায়ক মাসুদুল ইসলাম মাসুদ মানববন্ধনে বলেন, “সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে সঙ্গে নিয়ে আমরা রসুলপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মেডিকেল কলেজ স্থাপনের দাবিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যাচ্ছি। এটি বাস্তবায়িত হলে শুধু নবীনগর নয়, আশপাশের পুরো অঞ্চলের স্বাস্থ্যসেবা ও চিকিৎসা শিক্ষায় উন্নয়ন ঘটবে।”

তিনি আরও জানান, মাননীয় অর্থ উপদেষ্টা নবীনগরের কৃতি সন্তান সালাউদ্দিন আহমেদ ইতোমধ্যেই স্বাস্থ্য উপদেষ্টার নিকট একটি ডিও লেটার (ডেমি অফিসিয়াল লেটার) পাঠিয়েছেন, যাতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মেডিকেল কলেজ স্থাপনের প্রক্রিয়া শুরু করা যায়।

মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন: ঐক্যবদ্ধ নবীনগর সংগঠন সদস্য সচিব মোহাম্মদ হোসেন শান্তি, উপজেলা , জামায়াতে ইসলাম আমির,মুখলেসুর রহমান, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফ হোসেন রাজু, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান মকুল, আলহাজ্ব শাহ জালাল আহমেদ, পরিচালক, টেননো ড্রাগ,আবু কামাল খন্দকার, সাবেক সভাপতি, নবীনগর প্রেসক্লাব শ্যামা প্রসাদ চক্রবর্তী,জালাল উদ্দিন মনির, কান্তি কুমার ভট্টাচার্য, সাবেক সাধারণ সম্পাদক,আসাদুজ্জামান কল্লোল, সাবেক সাধারণ সম্পাদকমুফতি বেলায়েতুল্লাহহাফেজ ছানাউল্লাহ সাইফুল ইসলাম, এনসিপি বক্তারা বলেন, রসুলপুর এলাকায় মেডিকেল কলেজ স্থাপন হলে উন্নয়ন ও জনসেবার নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। এটি বাস্তবায়নে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তাঁরা।

মন্তব্য

p
উপরে