× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

কৃষি
খাবার টেবিলে ফিরবে সুস্বাদু পিয়ালি
google_news print-icon

এবার খাবার টেবিলে আসছে চাষের পিয়ালি

এবার-খাবার-টেবিলে-আসছে-চাষের-পিয়ালি
পরিবেশ বিপর্যয় ও অতি আহরণের ফলে পিয়ালি সংকটাপন্ন মাছের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। তবে বিজ্ঞানীদের সাফল্যে চাষের মাধ্যমে খাবার টেবিলে ফিরবে মাছটি।

দীর্ঘ তিন বছর গবেষণার পর কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে বিলুপ্তির ঝুঁকিতে থাকা পিয়ালি মাছের রেণু উৎপাদনে সফল হয়েছেন বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএফআরআই) বিজ্ঞানীরা।

পরিবেশ বিপর্যয় ও অতি আহরণের ফলে এটি এখন সংকটাপন্ন মাছের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। তবে বিজ্ঞানীদের এই সাফল্যে চাষের মাধ্যমে খাবার টেবিলে ফিরবে পিয়ালি।

বিএফআরআই সূত্রে জানা যায়, বগুড়া জেলার সান্তাহার প্লাবনভূমি উপকেন্দ্রের বিজ্ঞানীরা দীর্ঘ গবেষণার পর পিয়ালি মাছের রেণু উৎপাদনে সফল হয়েছেন।

এই মাছ দ্রুত বর্ধনশীল ও খুবই সুস্বাদু। মাছটি আমিষ, চর্বি, ক্যালসিয়াম ও লৌহসমৃদ্ধ। প্রতি ১০০ গ্রাম পিয়ালি মাছে ৭৫০ মিলিগ্রাম মেথিয়োনিন, ৪২০ মিলিগ্রাম সিস্টিন, ৪৩০ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম, ৬৭০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ১৫০ মিলিগ্রাম ম্যাগনেশিয়াম, ১২ দশমিক ৮ মিলিগ্রাম জিংক, ২৫ মিলিগ্রাম আয়রন, ৮ দশমিক ২১ মিলিগ্রাম ম্যাঙ্গানিজ ও ১ দশমিক ৪০ মিলিগ্রাম কপার রয়েছে। অন্য অনেক দেশীয় ছোট মাছের তুলনায় এর পুষ্টিগুণ অনেক বেশি। ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণে এই মাছ অত্যন্ত কার্যকরী।
এবার খাবার টেবিলে আসছে চাষের পিয়ালি

গবেষক দলে ছিলেন প্লাবনভূমি উপকেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডেভিড রিন্টু দাস, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান ও মালিহা খানম।

ডেভিড রিন্টু দাস নিউজবাংলাকে বলেন, ‘তিন বছর গবেষণার পর পাঁচজোড়া পিয়ালি মাছে এ বছর জুনের প্রথম সপ্তাহে ১:১ দশমিক ৫ অনুপাতে হরমোন প্রয়োগ করা হয়। হরমোন প্রয়োগের ছয় থেকে আট ঘণ্টা পর মাছগুলো ডিম ছাড়ে এবং ২০ থেকে ২২ ঘণ্টা পর নিষিক্ত ডিম থেকে রেণু উৎপাদিত হয়।

‘ডিম নিষেকের হার ছিল প্রায় ৭৬ শতাংশ। বর্তমানে ইনস্টিটিউটের প্লাবনভূমি উপকেন্দ্রের হ্যাচারিতে রেণুগুলো পালন করা হচ্ছে। আশা করছি চলতি বছরের মধ্যেই পিয়ালি মাছকে চাষাবাদের আওতায় আনা সম্ভব হবে।’
এবার খাবার টেবিলে আসছে চাষের পিয়ালি

তিনি আরও বলেন, ‘গবেষণায় দেখা গেছে, মে থেকে আগস্ট এবং ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারিতে নদীতে প্রজননক্ষম স্ত্রী পিয়ালি মাছ পাওয়া যায়। এ ছাড়া জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাসে জলাশয়ে পিয়ালির পোনার উপস্থিতি লক্ষ করা যায়। এই মাছের ডিম ধারণ ক্ষমতা আকারভেদে দেড় হাজার থেকে সাড়ে তিন হাজার।’

উপকেন্দ্রে আরও ২৫ প্রজাতির বিলুপ্তপ্রায় দেশীয় মাছ নিয়ে গবেষণা চলছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

ইনস্টিটিউট সূত্রে জানা যায়, গবেষণায় এ পর্যন্ত পাবদা, গুলশা, টেংরা, বাটা, ফলি, মহাশোল, খলিশা, বৈরালী, জাতপুঁটি, গজার, আঙ্গুস, খলিসা, মেনি, বালাচাটা, দাতিনা, গুতুম, ঢেলা, বাতাসি ও পিয়ালিসহ বিলুপ্তপ্রায় ২৯টি প্রজাতির মাছের পোনা উৎপাদন সম্ভব হয়েছে।

বিএফআরআইয়ের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. শাহা আলী জানান, পিয়ালি মাছ এলাকাভেদে জয়া, পিয়ালি বা পিয়াসী নামে পরিচিত। এর বৈজ্ঞানিক নাম অ্যাসপিডোপারিয়া জায়া (Aspidoparia jaya)। এ মাছটি সিপ্রিনিডি (Cyprinidae) পরিবারভুক্ত মিঠা পানির একটি মাছ।

বাংলাদেশ (পদ্মা ও যমুনা এবং তাদের শাখা নদীতে), ভারত (আসাম, উত্তরাঞ্চল, উত্তরপ্রদেশ), নেপাল, ইরান, মিয়ানমার, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড ও আফগানিস্তানে এই মাছের বিস্তৃতি রয়েছে। এ ছাড়া পদ্মা, যমুনার শাখা নদীর এলাকার মানুষের কাছে মাছটি পরিচিত।

একসময় পদ্মা, যমুনা ও শাখা নদী এবং বাঙ্গালী ও আত্রাই নদীতে প্রচুর পাওয়া যেত এই মাছ।

শাহা আলী বলেন, ‘এই মাছ দৈর্ঘ্যে পাঁচ থেকে ১৭ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। এর দেহ লম্বা ও পার্শ্বীয়ভাবে চাপা। পরিণত পুরুষ মাছের পেট হলুদাভ থাকে এবং স্ত্রী মাছের চেয়ে আকারে অপেক্ষাকৃত বড় হয়। স্ত্রী মাছের পেট ধবধবে সাদা ও হালকা স্ফীতাকার হয়।’
এবার খাবার টেবিলে আসছে চাষের পিয়ালি

বিএফআরআইয়ের মহাপরিচালক ইয়াহিয়া মাহমুদ জানান, বাঙ্গালী ও আত্রাই নদীসহ বিভিন্ন উৎস থেকে পিয়ালি মাছের পোনা সংগ্রহ করে উপকেন্দ্রের পুকুরে নিবিড়ভাবে প্রতিপালন করা হয়েছে। গবেষকরা পিয়ালি মাছের খাদ্য ও খাদ্যাভ্যাস পর্যবেক্ষণ করে খাবার সরবরাহ করেন।

তিনি জানান, প্রাকৃতিক জলাশয়ের পিয়ালি মূলত প্লাংকটন (শ্যাওলা) খেয়ে থাকে। তা ছাড়া বছরব্যাপী জেনেরিক সিস্টেম ইমেজ (জিএসআই) ও হিস্টোলজি পরীক্ষার মাধ্যমে পিয়ালি মাছের সর্বোচ্চ প্রজনন মৌসুম নির্ধারণ করা হয়। এ প্রজাতির মাছ সাধারণত বর্ষাকালে অগভীর জলাশয়ে প্রজননে অংশগ্রহণ করে থাকে।

ইয়াহিয়া আরও জানান, শিগগিরই আরও দুটি দেশীয় মাছের পোনা উৎপাদনের সাফল্যের খবর আসছে। গত ১২ বছরে চাষের মাধ্যমে দেশীয় ছোট মাছের উৎপাদন বেড়েছে প্রায় চার গুণ।

দেশীয় মাছ সংরক্ষণ ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিএফআরআইয়ের ময়মনসিংহে অবস্থিত স্বাদুপানি কেন্দ্রে ২০২০ সালে একটি ‘লাইভ জিন ব্যাংক’ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

দেশীয় মাছ সংরক্ষণ এবং পোনা উৎপাদনে গবেষণায় অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট ২০২০ সালে ‘একুশে পদক’ পায়।

আরও পড়ুন:
পদ্মার ২০ কেজির বাগাড়
পুকুরে নেমে দেখেন পাঙ্গাশ মরা
বিদেশে যেতে না পারাই শাপে বর নরেনের
গোপন সংবাদে জব্দ ডিমওয়ালা মা-মাছ
মাছসহ জব্দ দুই ফিশিং বো‌ট, জ‌রিমানা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

কৃষি
Earthquake risk is being built with numerous buildings without Rupganj design

ভূমিকম্প ঝুঁকিতে রূপগঞ্জ, নকশা ছাড়াই তৈরি হচ্ছে অসংখ্য ভবন

ভূমিকম্প ঝুঁকিতে রূপগঞ্জ, নকশা ছাড়াই তৈরি হচ্ছে অসংখ্য ভবন

রূপগঞ্জে প্রায় ২০ হাজার ভবন আছে। নতুন ভবন ছাড়াও বহু পুরানো ভবন রয়েছে, যার অধিকাংশই ভূমিকম্প সহনীয় নয়। ভূমিকম্পবিদরা বলছেন, নতুন আবাসিক এলাকার মাটি নরম ও দুর্বল। এ ধরনের মাটিতে ইমারত নির্মাণ বিধিমালা না মেনে বহুতল ভবন হলে তা মাঝারি মাত্রার কম্পনেই ভেঙে পড়ার আশঙ্কা থাকে।
মুড়াপাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের প্রদর্শক জাকিয়া সুলতানা বলেন, রূপগঞ্জে বিল্ডিং কোড না মেনে যেভাবে অপরিকল্পিত উপায়ে ঘরবাড়ি তৈরি করা হয়েছে, তাতে মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্পে ঘটে যেতে পারে প্রলয়ঙ্করী ধ্বংসলীলা।
ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে আছে রূপগঞ্জ। গত ২০২৩ সালের ২৫ এপ্রিল একটি ভূমিকম্প হয় যার উৎপত্তিস্থল ছিল রূপগঞ্জের তারাব। রিখটার স্কেলে এটি ছিল ৪ মাত্রার। একই বছরের ১৭ এপ্রিল ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল রূপগঞ্জের ডহরগাঁও। সেই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৩ মাত্রা।
বুয়েটের বিভিন্ন সময়ে করা জরিপে দেখা যায়, রূপগঞ্জে ৪ হাজার বহুতল ভবন রয়েছে। ৬ মাত্রার ভূমিকম্প হলে এই ভবনগুলো এবং এর বাসিন্দারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পূর্বাচল এলাকার এক অথরাইজড অফিসার বলেন, ২০১৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত মাত্র ৩৬টি নকশা অনুমোদন দেয়া হয়েছে। বাকি যেসব ভবন হয়েছে তার সবই অবৈধ। নানা বাঁধার কারণে উচ্ছেদ অভিযানে বাধাগ্রস্ত হয়। তিনি আরো বলেন, ভবনগুলোতে মোট পাঁচ ধরনের ত্রুটি পাওয়া গেছে। এগুলো হলো নকশা ছাড়া নির্মাণ, নকশায় ব্যত্যয়, অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা না থাকা, জরুরি সিঁড়ির অপ্রতুলতা।
রাজউক সূত্রে জানা গেছে, গত ২১ এপ্রিল রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মনির হোসেন হাওলাদারের নেতৃত্বে নকশা বহির্ভূত নির্মাণ কাজের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় রূপসী এলাকার ৩ ভবন মালিককে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। আরো ২ ভবনের নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। ২৩ এপ্রিল গোলাকান্দাইল এলাকায় ম্যাজিস্ট্রেট লিটন সরকারের নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়। গত ২০২৩ সালের ২০ আগস্ট রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আমিনুল ইসলামের নেতৃত্ব পূর্বাচল উপশহরের এক নাম্বার সেক্টরে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। এছাড়া ২০২৩ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে মুড়াপাড়া এলাকায় অননুমোদিত ভবনে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
তারাব পৌরসভার নগর পরিকল্পনাবিদ নিগার সুলতানা বলেন, আমাদের ক্ষমতা সীমিত। ম্যাজিষ্ট্রেসি পাওয়ার নেই। অবৈধ ভবন কতো আছে এমন পরিসংখ্যান নেই। তবে অবৈধ ভবন চোখে পড়লে নোটিশ করি। ব্যবস্থা নেই। আমাদের লোকবল কম। রূপগঞ্জ বড় ভূমিকম্প হলে বড় ধরণের ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটতে পারে।
উপজেলা দুর্যোগ ও ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা আইমিন সুলতানা বলেন, আসলে উপজেলা পর্যায়ে কোন প্রশিক্ষণ নেই। তবে দুর্যোগ প্রশমন দিবসে ভূমিকম্পসংক্রান্ত মহড়া অনুষ্ঠিত হয়।
রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুল ইসলাম জয় বলেন, বিষয়টি আসলেই গুরুত্বপূর্ণ। এটা গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে। ইতোমধ্যে রাজউক অভিযান চালাচ্ছে।
রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লিটন সরকার বলেন, নকশা ও অনুমোদন ছাড়া ভবন নির্মাণের পাশাপাশি নির্দিষ্ট পরিমাণ জায়গা না রেখে অনেকেই রাস্তার জায়গায় ভবন নির্মাণ করেছেন। ইমারত নির্মাণ আইন লঙ্ঘনসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে নির্মাণাধীন ভবনগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এই অভিযান চলমান থাকবে।

মন্তব্য

কৃষি
4 workers burnt in Chittagong with a gas cylinder warehouse 

চট্টগ্রামে গ্যাস সিলিন্ডারের গুদামে বিস্ফোরণ, মালিকসহ দগ্ধ ১০ শ্রমিক 

চট্টগ্রামে গ্যাস সিলিন্ডারের গুদামে বিস্ফোরণ, মালিকসহ দগ্ধ ১০ শ্রমিক 

চট্টগ্রামের চন্দনাইশ ও সাতকানিয়া উপজেলার সীমান্তবর্তী চরপাড়া এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ১০ জন দগ্ধ হয়েছেন। আজ বুধবার সকালে চরপাড়ার ইউনুস মার্কেটে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

আহতদের উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের কারো শরীরের ৪০ শতাংশ, কারও আবার ৭০ শতাংশের মতো পুড়ে গেছে।

দগ্ধরা হলেন- মাহবুবুর রহমান (৪৫), মো. সৌরভ রহমান (২৫), মোহাম্মদ কফিল (২২), মোহাম্মদ রিয়াজ (১৭), মোহাম্মদ ইউনুস (২৬), মোহাম্মদ আকিব (১৭), মো. হারুন (২৯), মোহাম্মদ ইদ্রিস (৩০), মোহাম্মদ লিটন (২৮) ও মোহাম্মদ ছালেহ (৩৩)।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকালে ইউনুস মার্কেটের একটি দোকানে গ্যাস সিলিন্ডার আনলোড করা হচ্ছিল। এসময় এক শ্রমিক সিগারেটে আগুন ধরালে হঠাৎ সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়। এতে ১০ জন শ্রমিক আগুনে দগ্ধ হন।

চমেক হাসপাতালে বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক ডা. মোহাম্মদ খালেদ জানান, দগ্ধ ১০ জনকে এখানে আনা হয়েছে। এদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা বেশি খারাপ। তাদের বেশিরভাগের শ্বাসনালী পুড়ে গেছে। পাশাপাশি দগ্ধদের কারো শরীরের ৪০ শতাংশ, কারও আবার ৭০ শতাংশের মতো পুড়ে গেছে।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আলাউদ্দিন বলেন, আহত ব্যক্তিদের মধ্যে তিন থেকে চারজনের অবস্থা গুরুতর।

তিনি বলেন, আহত শ্রমিকদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এক শ্রমিকের জ্বালানো সিগারেট থেকে আগুনের সূত্রপাত। এ সময় গুদামে সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

চন্দনাইশ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার সাবের আহমেদ জানান, বিস্ফোরণের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।

মন্তব্য

কৃষি
Satarasta twist blockade technical students stop traffic

সাতরাস্তা মোড় অবরোধ কারিগরি শিক্ষার্থীদের, যান চলাচল বন্ধ

সাতরাস্তা মোড় অবরোধ কারিগরি শিক্ষার্থীদের, যান চলাচল বন্ধ

কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস ও প্রকৌশল কর্মক্ষেত্র কুক্ষিগত করার প্রতিবাদ ও ছয় দফা দাবি বাস্তাবায়নের দাবিতে ফুঁসে ওঠেছে কারিগরি শিক্ষার্থীরা। পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বেলা সোয়া ১১টার দিকে রাজধানীর সাতরাস্তা মোড় অবরোধ করেন তারা। এতে ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীর ও বাসচালকরা।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অভিযোগ— প্রভাবশালী গোষ্ঠী কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থাকে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংসের পথে ঠেলে দিচ্ছে। তারা পলিটেকনিক শিক্ষা ব্যবস্থাকে দুর্বল করে প্রকৌশল পেশায় প্রবেশের পথ সংকুচিত করছে। এ ছাড়া চাকরি ও উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের প্রতি বৈষম্য করা হচ্ছে।

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো—
জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের অবৈধ পদোন্নতির রায় হাইকোর্ট কর্তৃক বাতিল, তাদের পদবি পরিবর্তন ও সংশ্লিষ্টদের চাকরিচ্যুত করা।

২০২১ সালে রাতের আঁধারে নিয়োগপ্রাপ্ত ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের নিয়োগ সম্পূর্ণ বাতিল ও বিতর্কিত নিয়োগবিধি সংশোধন।

ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে যেকোনো বয়সে ভর্তি বাতিল, উন্নত বিশ্বের আদলে চার বছর মেয়াদি মানসম্পন্ন কারিকুলাম চালু এবং ধাপে ধাপে ইংরেজি মাধ্যমে একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনা।

উপসহকারী প্রকৌশলী ও সমমান (১০ম গ্রেড) থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের জন্য সংরক্ষিত পদে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের বাদ দিয়ে নিম্নপদে নিয়োগের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ।

কারিগরি শিক্ষাবহির্ভূত জনবলকে কারিগরি সেক্টরের গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ নিষিদ্ধ ও আইনানুগভাবে নিশ্চিত করা।

এসব পদে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত জনবল নিয়োগ এবং সব শূন্য পদে দক্ষ শিক্ষক ও ল্যাব সহকারী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ।

স্বতন্ত্র ‘কারিগরি ও উচ্চশিক্ষা মন্ত্রণালয়’ প্রতিষ্ঠা এবং ‘কারিগরি শিক্ষা সংস্কার কমিশন’ গঠন।

উন্নতমানের টেকনিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা এবং নড়াইল, নাটোর, খাগড়াছড়ি ও ঠাকুরগাঁওয়ের নির্মাণাধীন ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলোতে অস্থায়ী ক্যাম্পাস ও ডুয়েটের আওতায় একাডেমিক কার্যক্রম চালুর মাধ্যমে শতভাগ আসনে ভর্তির সুযোগ নিশ্চিত করা।

মন্তব্য

কৃষি
Kulauras child is no more DIG Jalal Chowdhury anymore

কুলাউড়ার কৃতি সন্তান অতিরিক্ত ডিআইজি জালাল চৌধুরী আর নেই

কুলাউড়ার কৃতি সন্তান অতিরিক্ত ডিআইজি জালাল চৌধুরী আর নেই

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার কৃতি সন্তান, বাংলাদেশ পুলিশ হেডকোয়ার্টারে কর্মরত অতিরিক্ত ডিআইজি জালাল চৌধুরী (মাসুম) ইন্তেকাল করেছেন। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকাল পৌনে ৬টার দিকে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

মরহুমের ভাই রোমান চৌধুরী জানান, দীর্ঘদিন ক্যান্সারে ভুগলেও হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার ছোট ভাই জালালের মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৫২ বছর। মৃত্যুকালে তিনি রেখে গেছেন স্ত্রী (২২তম বিসিএসের সচিব), দুই ছেলে, অসংখ্য আত্মীয়স্বজন ও শুভাকাঙ্ক্ষী।

তিনি আরও জানান, সকাল ৯টায় রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর মরদেহ গ্রামের বাড়ি কুলাউড়ার কাদিপুর ইউনিয়নের মনসুর গ্রামে নেওয়া হবে। বাদ এশা মনসুর আশরাফিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে দ্বিতীয় জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন হবে।

জানা গেছে, পেশাজীবনে জালাল চৌধুরী ছিলেন দক্ষ, সৎ ও মানবিক একজন পুলিশ কর্মকর্তা। দায়িত্বশীলতার পাশাপাশি তিনি ছিলেন লেখক, চিন্তাশীল মেধাবী ও সত্যিকারের মানবিক মানুষ। সম্প্রতি তিনি পুলিশ সংস্কার কমিশনের সচিবালয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন। নিজ এলাকার উন্নয়ন কর্মকাণ্ডেও তার অবদান ছিলো স্মরণীয়।

আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও রেখেছেন অবদান। জাতিসংঘ শান্তি মিশনে প্ল্যানিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ জাতিসংঘ পুলিশ তার ওপর একটি ডকুমেন্টারি তৈরি করে যা প্রকাশিত হয় জাতিসংঘ পুলিশের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে।

পেশাগত জীবনের পাশাপাশি তিনি ছিলেন সাহিত্যপ্রেমী। বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনের তালিকাভুক্ত গীতিকার ছিলেন তিনি। তার প্রকাশিত উল্লেখযোগ্য উপন্যাসের মধ্যে রয়েছে কোথায় পাবো তাকে, নির্বাসিত হৃদয়ে এসো, ইরোটা ম্যানিয়া এবং ছোটগল্প সংকলন।

মন্তব্য

কৃষি
Human bonds and road blockade demanding the fair prices of the victims to construct a lane road in Jhenaidah

ঝিনাইদহে ৬ লেন রাস্তা তৈরীতে ক্ষতিগ্রস্থদের জমির ন্যায্য মুল্যের দাবিতে মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ

ঝিনাইদহে ৬ লেন রাস্তা তৈরীতে ক্ষতিগ্রস্থদের জমির ন্যায্য মুল্যের দাবিতে মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ

ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়ক ৬ লেনে উন্নীতকরণে ক্ষতিগ্রস্থ জমির মালিক ও ব্যবসায়ীদের ন্যায্যমুল্যে দেওয়ার দাবীতে মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ করা হয়েছে।
বুধবার সকালে কালীগঞ্জ উপজেলা শহরের মেইন বাসস্ট্যান্ডে এ কর্মসূচীর আয়োজন করে ক্ষতিগ্রস্থ জমির মালিক ও ব্যবসায়ীরা। এতে ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে ব্যবসায়ী, স্থানীয়সহ নানা শ্রেণী পেশার মানুষ অংশ নেয়।
সেসময় ক্ষতিগ্রস্থ জমির মালিক আলহাজ শহিদুল ইসলাম, বদরুজ্জামান, ডা: জহুরুল ইসলাম, কমিশনার আনোয়ারসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।
মানববন্ধন থেকে বক্তারা অভিযোগ করেন, জমির মালিকদের ২০২২ সালের মৌজা মুল্য দেওয়া হচ্ছে। যেসব জমির দাম ১০ লাখ টাকা সেই জমির দাম দেওয়া হচ্ছে ২ লাখ টাকা করে। এছাড়াও একটি বাড়ি বা প্রতিষ্ঠানের সম্পুর্ণ ক্ষতিপুরণ না দিয়ে আংশিক দিচ্ছে কর্র্তৃপক্ষ। তাই মালিক ও ব্যবসায়ীদের ন্যায্য মুল্যে নিশ্চিতের দাবী জানানো হয়।
পরে ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়ক অবরোধ করা হয়। এতে বন্ধ হয়ে যায় ঝিনাইদহ থেকে যশোর, কুষ্টিয়া ও চুয়াডাঙ্গাগামী সকল রুটের যানচলাচল। প্রায় ১ ঘন্টাপর আবারো কর্মসূচীর হুশিয়ারি দিয়ে অবরোধ তুলে নেয় আন্দোলনকারীরা।

মন্তব্য

কৃষি
Pottery

নবীনগরে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত মৃৎশিল্পীরা

নবীনগরে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত মৃৎশিল্পীরা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে শুরু হতে যাচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। দেবী দুর্গার আগমন উপলক্ষে ইতোমধ্যেই ঘরে ঘরে উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে। এবছর উপজেলায় ১২৭টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে।

আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর মহাষষ্ঠীর মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে দুর্গাপূজা, যা চলবে ২ অক্টোবর বিজয়া দশমী পর্যন্ত। ২৯ সেপ্টেম্বর মহাসপ্তমী, ৩০ সেপ্টেম্বর মহাঅষ্টমী, ১ অক্টোবর মহানবমী এবং ২ অক্টোবর প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের দুর্গোৎসব।

উপজেলার বিভিন্ন পূজামণ্ডপ ঘুরে দেখা গেছে—খড়, বাঁশ ও কাদা-মাটি দিয়ে শিল্পীরা শৈল্পিক ছোঁয়ায় প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। প্রতিমা কারিগর মনেন্দ্র পাল (৫৭) বলেন, “প্রতি বছর প্রায় ৫০-৫৫টি মণ্ডপে কাজ করি। কিন্তু এবার মাত্র ৩২টি মণ্ডপের প্রতিমা বানানোর কাজ করছি। প্রতিটি প্রতিমার দাম প্রায় অর্ধ লক্ষ টাকা ধরা হচ্ছে।” একই কথা জানিয়েছেন কারিগর বিজয় পালসহ অন্যান্য শিল্পীরাও।

নবীনগর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব সাংবাদিক সঞ্জয় সাহা বলেন, “এবার উপজেলায় ১২৭টি পূজামণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। নিরাপত্তা ও সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন।”

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজীব চৌধুরী জানান, “আসন্ন দুর্গাপূজা নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী মিটিং করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

মন্তব্য

কৃষি
Matchapa boy arrested after killing his father in Coxs Bazar

কক্সবাজারে ‘বাবাকে পিটিয়ে হত্যার’ পর মাটিচাপা, ছেলে গ্রেফতার

কক্সবাজারে ‘বাবাকে পিটিয়ে হত্যার’ পর মাটিচাপা, ছেলে গ্রেফতার

কক্সবাজার সদরের খুরুশকুলে পারিবারিক কলহের জেরে বাবাকে পিটিয়ে হত্যার পর লাশ বস্তা ভর্তি করে বসতভিটার পাশে মাটি চাপা দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনাইয় অভিযুক্ত ছেলেকে গ্রেপ্তা্ার করেছে পুলিশ।

জানা যায়, ঘটনাটি হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হওয়ার অন্তত ৩৬ ঘন্টার পর প্রকাশ পায়।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল কক্সবাজার সদর উপজেলার খুরুশকুল ইউনিয়নের দক্ষিণ ডেইলপাড়া কুরিমারিয়ারছড়া এলাকায় পৌঁছায়। পরে রাত ৯ টার দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় মাটি খুড়ে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

জানা গেছে, নিহত মোহাম্মদ ছৈয়দ (৫০) একই এলাকার বাসিন্দা। গ্রেপ্তারকৃৎ মোহাম্মদ রফিক নিহত মোহাম্মদ ছৈয়দের ছেলে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, নিহত ও গ্রেপ্তার ব্যক্তি সম্পর্কে বাবা-ছেলে। মোহাম্মদ ছৈয়দের সঙ্গে স্ত্রী ও সন্তানদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক কলহ চলে আসছিল। তিনি কয়েক বছর আগে উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে খুরুশকুলের কুমারিয়ারছড়া এলাকায় এসে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন। পুরো পরিবারটি রোহিঙ্গা নাগরিক।

নিহতের প্রতিবেশিসহ স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে মোহাম্মদ সৈয়দের বাড়ির আশেপাশের উৎকট দুর্গন্ধ ছড়ালে এলাকাবাসীর সন্দেহ জাগে। এক পর্যায়ে কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা দুর্গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে তার বাড়ির ধানক্ষেতের পাশে সদ্য মাটি চাপা দেওয়া একটি শার্ট দেখতে পান। সেখান থেকে গন্ধ ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টি ৯৯৯ নম্বরে কল দিয়ে পুলিশকে অবহিত করা হয়। পরে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলের পৌঁছার পর মাটি সরিয়ে বস্তাবন্দী অবস্থায় লাশ উদ্ধার করে।

গ্রেপ্তারকৃত রফিকের স্ত্রী শারমিন আক্তার বলেন, ‘সোমবার ভোরে তার শ্বশুর মোহাম্মদ ছৈয়দ স্থানীয় মসজিদে নামাজ আদায় করতে যান। সকালে বাড়ী ফিরলে শ্বাশুরির সঙ্গে তর্কাতর্কিতে লিপ্ত হন। এক পর্যায়ে তার স্বামীও কলহে জড়িয়ে পড়েন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তার স্বামী রফিক বাবাকে লাঠি দিয়ে সজোরে আঘাত করেন। আঘাতে তার শ্বশুর মাটিতে লুটিয়ে পড়ে আহত হন। পরে তার মৃত্যু হলে লাশটি বস্তাবন্দী করে ঘরে ফেলে রাখা হয়।

ঘটনার ব্যাপারে কারও কাছে প্রকাশ করলে বাবার মত পরিণতি ভোগ করারও হুমকি দেন তার স্বামী, জানান অভিযুক্তের স্ত্রী।

এদিকে সোমবার মধ্যরাতে ঘটনা ধামাচাপা দিতে সৈয়দের স্ত্রী, দুই সন্তান রফিক ও সাহাবউদ্দিন জিয়া মিলে গত সোমবার রাত ১০টার দিকে বাড়ির পাশে ধানক্ষেতে মাটি চাপা দিয়ে লাশ পুঁতে রাখেন। মঙ্গলবার সকাল থেকে ছৈয়দের স্ত্রী ও সন্তানরা পালিয়ে আত্মগোপন করেন।

পারিবারিক কলহের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশের প্রাথমিক ধারণার কথা বলেন কক্সবাজার সদর থানার ওসি ইলিয়াছ খান।

তিনি বলেন, ‘ঘটনাটি শোনার পর পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় মাটি সরিয়ে বস্তাবন্দী লাশটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনায় জড়িত অভিযোগে নিহতের ছেলে মোহাম্মদ রফিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মামলা নথিভূক্ত হওয়ার পর জড়িত অন্যদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হবে বলে তিনি জানান।

তিনি আরও জানান, নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।

মন্তব্য

p
উপরে