× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

কৃষি
বরেন্দ্র অঞ্চলে চাষ উপযোগী বেগুনের জাত নির্ধারণে কৃষকদের গবেষণা
google_news print-icon

বেগুনের জাতবৈচিত্র্য গবেষণায় সাফল্য

বেগুনের-জাতবৈচিত্র্য-গবেষণায়-সাফল্য
চাঁপাইনবাবগঞ্জে বরেন্দ্র অঞ্চলে খরাসহিষ্ণু বেগুনের জাত খুঁজতে উদ্যোগ নিয়েছেন কৃষকরা। ছবি: নিউজবাংলা
কৃষক ঐক্যের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দেশের বিভিন্ন এলাকার বিলুপ্তপ্রায় ও প্রচলিত বেগুনের জাত সংগ্রহ করা হয়। জাতগুলোর মধ্যে রয়েছে শিংনাথ সাদা, শিংনাথ কালো, মুক্তকেশী, বারোমাসি, বোতল বেগুন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে বরেন্দ্র অঞ্চলে চাষ উপযোগী, খরাসহিষ্ণু বেগুনের জাত খুঁজে বের করার উদ্যোগ নিয়েছেন কৃষকরা। জেলার নাচোল উপজেলার খড়িবোনা গ্রামের ২০ জন কৃষক ঐক্যবদ্ধ হয়ে এ কাজ করছেন। তাদের সংগঠনের নাম দিয়েছেন ‘কৃষক ঐক্য’।

কৃষক ঐক্যের সম্মিলিত চেষ্টায় দেশের বিভিন্ন এলাকার বিলুপ্তপ্রায় ও প্রচলিত বেগুনের জাত সংগ্রহ করা হয়। তারা এখন পর্যন্ত ১৯টি জাতের বেগুন সংগ্রহ করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে শিংনাথ সাদা, শিংনাথ কালো, মুক্তকেশী, বারোমাসি, বোতল বেগুন, নাসিমা বেগুন, ঝুরি বেগুন, চালতে বেগুন, টব বেগুন, ডিম বেগুন ও তাল বেগুন।

‘কৃষক নেতৃত্বে বেগুনের জাতবৈচিত্র্য গবেষণা’র অংশ হিসেবে এমন তৎপরতা শুরু করেছেন কৃষকরা। এ কাজে তাদের সহায়তা করছে বাংলাদেশ রিসোর্স সেন্টার ফর ইনডিজেনাস নলেজ (বারসিক) নামে একটি পরিবেশবাদী উন্নয়ন সংস্থা।

পরীক্ষামূলকভাবে চাষ করা বেগুনের ভালো ফলন দেখে অনেক কৃষকই সবজিটির চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।

বেগুনের জাতবৈচিত্র্য গবেষণায় সাফল্য
পরীক্ষামূলক চাষ করা এসব বেগুনের ভালো ফলন দেখে খুশি অনেক কৃষক। ছবি: নিউজবাংলা

খড়িবনা গ্রামের কৃষক আজিজুল হকের ৮ শতক জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে ১৯টি জাতই চাষ করা হয়েছিল। এর মধ্যে বেশ কিছু জাত ভালো ফলন দিয়েছে। জাতগুলো এ এলাকার জন্য উপযোগী বলে মনে করছেন কৃষকরা।

এ নিয়ে আজিজুল বলেন, ‘বরেন্দ্র এলাকার জন্যি বেগুনের কোন জাইত ভালো হবি, সেটা বের করবার লাগি আমরা মেলা জাগাত্থি (জায়গা থেকে) বেগুনের ১৯টি জাত সংগ্রহ করে লাগায়েলাম।

‘এর মধ্যে বরগুনার টব ও তাল বেগুন, নেত্রকোনার নাসিমা বেগুন, মানিকগঞ্জের মুক্তকেশী ও বারোমাসি চিকন কালো বেগুন, সাতক্ষীরার ঝুরি বেগুন বেশ ভালো ফলন দিছে।’

বেগুনের জাতবৈচিত্র্য গবেষণায় সাফল্য
বিভিন্ন এলাকার বিলুপ্তপ্রায় ও প্রচলিত বেগুনের জাত সংগ্রহ করে সেগুলো চাষ করা হচ্ছে। ছবি: নিউজবাংলা

আরেক কৃষক মোহাম্মদ আলী জানান, রাসায়নিক সার, কীটনাশক ছাড়াই বেগুনের ভালো ফলন পেয়েছেন। এতে করে তাদের খরচ কমেছে।

তিনি জানান, ধান চাষে অনেক বেশি সেচের প্রয়োজন পড়ে। তবে বেগুনে এক থেকে দুটি সেচ দিলেই হয়ে যায়।

ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে বেগুন চাষের পরিকল্পনার কথা জানান এই কৃষক।

কৃষক ঐক্যের সংগঠক রঞ্জু আকন্দ জানান, সংগঠনের ২০ কৃষক ছাড়াও গ্রামের অন্য কৃষকদের মধ্যে তাল বেগুনের ৪০০ চারা বিতরণ করা হয়। এসব চারা রোপণ করে ভালো ফলন পাচ্ছেন তারা।

এ বেগুনের একেকটির ওজন ৪০০ থেকে ৪৫০ গ্রাম। এ বেগুন স্বাদেও ভালো। জৈবপ্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় বলে বিষমুক্ত এসব বেগুনের দামও বাজারে বেশি পাচ্ছেন তারা।

বেগুনের জাতবৈচিত্র্য গবেষণায় সাফল্য

বারসিকের কর্মসূচি কর্মকর্তা অমৃত সরকার বলেন, ‘বারসিক এ জেলার উচ্চ বরেন্দ্র এলাকায় পরিবেশ-প্রকৃতি, জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন, কৃষি ও প্রাণবৈচিত্র্য সংরক্ষণ, লোকায়ত জ্ঞান ও প্রাকৃতিক সম্পদে প্রান্তিক মানুষের প্রবেশাধিকার নিয়ে কাজ করছে। বেগুনের এ জাতগুলো খরাসহিষ্ণু; সেচ কম লাগে। বরেন্দ্র অঞ্চলের জন্য এ বেগুনগুলো চাষ উপযোগী।

‘পরীক্ষামূলক চাষাবাদের ফলাফলের ভিত্তিতে বেগুনের চাষ সম্প্রসারণে কৃষকরা আগ্রহ দেখিয়েছেন। তাই বীজ তৈরির উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। বীজ তৈরি ও কৃষকদের মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার কাজটিও গবেষণা কাজে অংশ নেয়া কৃষকরা করবেন। আমরা শুধু তাদের একটু সহায়তা করব।’

তিনি জানান, মাঠপর্যায়ে এ গবেষণার মাধ্যমে বেগুনের উপযুক্ত স্থানীয় জাত বাছাই করা হবে। গবেষণাধীন এলাকায় কৃষকরা যাতে বেগুনের লুপ্তপ্রায় জাতগুলো সহজে পায়, তা নিশ্চিত করাই মূল উদ্দেশ্য।

আরও পড়ুন:
দুই মাসে ৪০০ গরু হারাল কৃষক
তেতো উচ্ছে মিষ্টি হাসি
কৃত্রিম ফুলের ব্যবহার বন্ধের আহ্বান কৃষিমন্ত্রীর
করোনার পর ‘সব কিছুতেই ভয় পেতেন’ জিএম পারভিন
আট তলা থেকে লাফিয়ে পড়েছিলেন ব্যাংক কর্মকর্তা?

মন্তব্য

আরও পড়ুন

কৃষি
The newly appointed judge of the High Court took oath

শপথ নিলেন হাইকোর্টের নবনিযুক্ত ২৫ বিচারপতি

শপথ নিলেন হাইকোর্টের নবনিযুক্ত ২৫ বিচারপতি

সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নতুন নিয়োগ পাওয়া ২৫ জন শপথ নিয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ তাদের শপথবাক্য পাঠ করান। এই অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার (বিচার) মোয়াজ্জেম হোসাইন।

শপথ নেওয়া ২৫ বিচারপতি হলেন— সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আনোয়ারুল ইসলাম (শাহীন), আইন ও বিচার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. সাইফুল ইসলাম, চট্টগ্রামের জেলা ও দায়রা জজ মো. নুরুল ইসলাম, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব শেখ আবু তাহের, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমদ ভূঞা, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রাজিউদ্দিন আহমেদ ও ফয়সাল হাসান আরিফ, আইন ও বিচার বিভাগের যুগ্ম সচিব এস এম সাইফুল ইসলাম, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আসিফ হাসান ও মো. জিয়াউল হক, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল দিহিদার মাসুম কবীর, হবিগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ জেসমিন আরা বেগম, বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের সচিব মুরাদ–এ–মাওলা সোহেল, ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন, সলিসিটর (জেষ্ঠ জেলা জজ) মো. রাফিজুল ইসলাম, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মনজুর আলম, মো. লুৎফর রহমান ও রেজাউল করিম, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ফাতেমা আনোয়ার, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মাহমুদ হাসান, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আবদুর রহমান, সৈয়দ হাসান যুবাইর, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ এফ এম সাইফুল করিম, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী উর্মি রহমান এবং ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম ইফতেখার উদ্দিন মাহমুদ।

এর আগে, সোমবার (২৫ আগস্ট) রাতে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে ২৫ জনকে নিয়োগ দেয় সরকার। আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব শেখ আবু তাহেরের সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি সংবিধানের ৯৫(১) অনুচ্ছেদ অনুসারে প্রধান বিচারপতির সহিত পরামর্শক্রমে সংবিধানের ৯৮ অনুচ্ছেদ মোতাবেক উল্লিখিত ২৫ জন ব্যক্তিকে শপথ গ্রহণের তারিখ থেকে অনধিক ২ বছরের জন্য সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক নিয়োগদান করিয়াছেন। এই নিয়োগ শপথ গ্রহণের তারিখ হইতে কার্যকর হইবে।

মন্তব্য

কৃষি
Arrested in police operations across the country

সারাদেশে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ১,৭১১

সারাদেশে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ১,৭১১

পুলিশের চলমান বিশেষ অভিযানে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ১ হাজার ৭১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এর মধ্যে বিভিন্ন মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ১ হাজার ১৭০ জন এবং অন্যান্য অপরাধে জড়িত ৫৪১ জন রয়েছে।

পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) এ এইচ এম শাহাদাত হোসাইন আজ এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে পুলিশ একযোগে অভিযান পরিচালনা করে ১ হাজার ৭১১ জন আসামিকে গ্রেফতার করেছে। এ সময় একটি বিদেশি পিস্তল ও চার রাউন্ড গুলি জব্দ করা হয়েছে।

মন্তব্য

কৃষি
The victims did not get the compensation money in Naogaon in three years

নওগাঁয় তিন বছরেও ক্ষতিপূরনের টাকা পাননি ক্ষতিগ্রস্থরা, থমকে আছে কাজ

নওগাঁয় তিন বছরেও ক্ষতিপূরনের টাকা পাননি ক্ষতিগ্রস্থরা, থমকে আছে কাজ

তিন বছরেও শেষ হয়নি নওগাঁ-বদলগাছি আঞ্চলিক সড়কের প্রশস্থকরনের কাজ। জমি থেকে স্থাপনা সরানো বাবদ ১০শতাংশ টাকা কেটে নেওয়া নিয়ে জটিলতা তৈরি হলে কিছু কিছু জয়াগায় কাজ শেষ না হওযায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে চলাচলকারীদের। এছাড়াও তিন বছরেও ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরনের টাকা বুঝে পাননি ক্ষতিগ্রস্তরা।

জানা যায়, শহরের বরুনকান্দি ঠেংভাঙার মোড় থেকে কীর্ত্তিপুর পর্যন্ত প্রায় ৬৮০জন জমি অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরনের ৬২ কোটি টাকা পাবে সংশ্লিষ্টদের কাছে। কিন্তু ১০ শতাংশ টাকা কেটে নেওয়া নিয়ে জটিলতার কারণে আর কাউকেই দেওয়া হয়নি ভূমি অধিগ্রহণের টাকা। সড়ক বিভাগের অবহেলা ও উদাসীনতা কারনে তৈরি হয়েছে এমন জটিলত। নিয়ম না থাকলেও সড়ক বিভাগ থেকে স্থাপনা সরানো বাবদ ১০শতাংশ টাকা কেটে নিতে জেলা প্রশাসনকে চিঠি দেয়। আবার ক্ষতিগ্রস্তরাও এই টাকা দিতে রাজি নন। ফলে শুরু হয় এমন জটিলতা। এদিকে জায়গা বুঝে না পেয়ে কাজ রেখে চলে গেছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান।

নওগাঁ সড়ক বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সড়ক বিভাগ ১৯টি প্যাকেজে জেলার বিভিন্ন রাস্তা প্রশস্তকরণের কাজ করছে। এর মধ্যে এক নাম্বার প্যাকেজে শহরের বালুডাঙ্গা বরুকান্দি মোড় থেকে কীর্ত্তিপুর পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার সড়ক ১৮ ফিট থেকে ২৪ ফিট (চওড়া) প্রশস্তকরণ কাজের প্রকল্প নেওয়া হয়। যার ব্যয় ধরা হয় প্রায় ৫৪ কোটি টাকা। ২০২২ সালের মাঝামাঝি সময়ে সড়ক নির্মাণের দায়িত্ব পান মেসার্স জামিল ইকবাল লিমিটেড নামের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। প্রশস্তকরণের এই কাজ করতে গিয়ে বেশ কিছু জায়গায় সড়কের পাশে থাকা ব্যক্তিমালিকানাধীন জমি ও স্থাপনা পড়ে। এসব জমি ও স্থাপনার একটা নির্দিষ্ট মূল্য ধার্য করে অধিগ্রহণ করা হয়।

সড়ক বিভাগ বলছে, ক্ষতিপূরণের ৬২ কোটি টাকা জেলা প্রশাসনের কাছে অনেক আগেই হস্তান্তর করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অধিগ্রহণের জমি হস্তান্তর না করার সড়কের কাজ শেষ করতে পারছেন না।

ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকরা জানান, ‘তিন বছর পার হলেও জমি অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণের টাকা এখনো তারা বুঝে পাননি। এছাড়াও জমি থেকে স্থাপনা সরানো বাবদ ১০শতাংশ টাকা কেটে নিতে নওগাঁ সড়ক বিভাগ থেকে জেলা প্রশাসন বরাবর একটি চিঠি দেওয়া হলে জটিলতা তৈরি হয়। ফলে ক্ষতিপূরনের টাকার জন্য প্রশাসন ও সড়ক বিভাগের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কোন সমাধান পাচ্ছেন না তারা। প্রায় দেড় মাস আগে মানুষ দেখানোর জন্য নাম মাত্র একজনের কাছে চেক হস্তান্তর করা হলেও এরপর আর কোন অগ্রগতি নেই।’

আল মামুন নামে ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিক বলেন, ‘১০ শতাংশ টাকা কেটে নেওয়া নিয়ে এই জটিলতা দেড় বছর ধরে চলে আসতেছি। আমরা হয়রানির শিকার হচ্ছি। এইভাবে টাকা কেটে নেওয়ার কোন নিয়ম কোন জেলাতে নেই। আমরা দুই বছর থেকে ঘুরতেছি এখনো কোন টাকা পায়নি। আমরা চাই যত দ্রুত সম্ভব জটিলতা নিরসন করে আমাদের পাওনা টাকা দিয়ে দেওয়া হোক।’

জাহাঙ্গীর আলম, জিল্লুর রহমানসহ আরো কয়েকজন ক্ষতিগ্রস্থ জমির মালিক বলেন, ১জমির সকল শুনানি শেষ হয়ে গেছে। আমাদে কাগজপত্র সব সঠিক আছে। টাকার জন্য আমরা শুধু ধরনা দিচ্ছি সড়ক বিভাগে ও ডিসি অফিসে। আজ দিবে কাল দিবে বলে শুধু ঘুরানো হচ্ছে। কিন্তু আমরা কোন টাকা পাচ্ছি না।’

আব্দুর রহমান নামে ক্ষতিগ্রস্থ এক জমির মালিক বলেন, ‘ঠেংভাঙা মোড় এলাকায় ৬ শতাংশ জমি ও স্থাপনার ক্ষতিপূরণের টাকা পাবো। শুধুমাত্র জমির মূল্য বাবদ একটা চেক দেওয়া হয়েছে। স্থাপনার মূল্য এখনও দেওয়া হয়নি। ১০ শতাংশ টাকা কেটে নেওয়া নিয়ে জটিলতায় আটকে আছে। এর জন্য সড়ক বিভাগ দায়ী।’

এদিকে সরেজমিনে দেখা যায়, দীর্ঘ তিন বছরেও যেসব এলাকায় কাজ শেষনি সেসব এলাকায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে চলাচলকারী ও এলাকাবাসীকে। বিশেষ করে পাহাড়পুর ও কীর্ত্তিপুর বাজার এলাকায় সড়কের পিচ, ইট, পাথর উঠে খানাখন্দ ও বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই গর্তগুলোতে পানি আটকে বড় ধরনের জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে চলছে বাস, ট্রাক ও বিভিন্ন যানবাহন। সংস্কার না হওয়ায় হেঁটে চলাচলও কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে এলাকাবাসীর। এর ফলে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ।

এই সড়কে চলাচলকারী বাস চালক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘অনেক দিন ধরেই রাস্তার এ অবস্থা। কিন্তু সমস্যার কোনো সুরাহা হচ্ছে না। রাস্তা যখন খারাপ ছিল, তখন কিন্তু কষ্ট ছিল না যতটা না রাস্তার কাজ শুরুর পর কষ্ট হয়েছে। বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। একটু বৃষ্টি হলেই এসব গর্তে পানি জমে থাকে।’

এবিষয়ে নওগাঁ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রাশেদুল হক বলেন, ‘ক্ষতিপূরণের ৬২ কোটি টাকা জেলা প্রশাসন বরাবর অনেক আগেই হস্তান্তর করা হয়েছে। ডিসি অফিসের পক্ষ থেকে অধিগ্রহণের জমি হস্তান্তর না করার কারণে সড়কের কিছু কিছু জায়গায় কাজ শেষ করা সম্ভব হয়নি। জমি হস্তান্তর করা হলে খুব দ্রুত অসমাপ্ত সড়কের কাজ শেষ করা যাবে।’

এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সোহেল রানা বলেন, ‘সড়ক বিভাগ থেকে দেওয়া একটা চিঠির বিষয়ে একটু জটিলতা সৃষ্টি হয়েছিল। এছাড়া ভূমি অধিগ্রহণের মালিকদের মধ্যে কিছু ঝামেলা আছে। কেউ কেউ অভিযোগ দিয়েছে, এমনকি আদালতে মামলা করেছে। তারপরও জনগণের ভোগান্তি লাঘবের জন্য একটা সিদ্ধান্ত হয়েছে। ১০ শতাংশ জটিলতার অবসান করা হয়েছে। জটিলতা থাকলেও আংশিক ক্ষতিপূরণ দিয়ে কাজ শুরু করা হবে। আশা করছি দ্রুত সমাধান হয়ে যাবে।’

এ পর্যন্ত কতজনকে জমি ও স্থাপনার মূল্য বাবদ চেক দেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে সংখ্যাটা সরাসরি না বলে বিভিন্ন প্যাকেজে দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।

মন্তব্য

কৃষি
In Rajshahi a truck collided with army patrol cars in the car

রাজশাহীতে ট্রাকের ধাক্কায় সেনাবাহিনীর টহল গাড়ি খাদে, আহত ১০

রাজশাহীতে ট্রাকের ধাক্কায় সেনাবাহিনীর টহল গাড়ি খাদে, আহত ১০

রাজশাহীর মোহনপুরে সেনাবাহিনীর একটি টহল গাড়িকে পেছন থেকে একটি ট্রাক ধাক্কা দিলে দুইটি যানবাহন রাস্তা থেকে ছিটকে খাদে পড়ে যায়। এতে আটজন সেনাসদস্যসহ মোট ১০ জন আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়কের মোহনপুর মডেল টাউনের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

আহতদের মধ্যে ট্রাকের চালক ও তার সহকারীও রয়েছেন।

মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান জানান, দুর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে একজনকে রাজশাহী সিএমএইচ এবং দুজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

ওসি বলেন, ‘মোহনপুর মডেল টাউনের সামনে সেনাবাহিনীর একটি টহল গাড়িকে একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে সেনাবাহিনীর টহলরত গাড়ি ও ট্রাক রাস্তার পাশের খাদে পড়ে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান। দুর্ঘটনার পর ট্রাক চালককে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি।’

মন্তব্য

কৃষি
Two and a half years later started importing onions through the port of Benapole

আড়াই বছর পর বেনাপোল বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু

আড়াই বছর পর বেনাপোল বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু

আড়াই বছর পর বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। প্রথম চালানে ভারতীয় একটি ট্রাকে ১৫ টন পেঁয়াজ বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করেছে।

মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বেনাপোল বন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-সহকারী শ্যামল কুমার নাথ।

তিনি জানান, গতকাল (সোমবার) রাত ৮টার দিকে প্রথম চালানে ১৫ মেট্রিক টন ভারতীয় পেঁয়াজবোঝাই একটি ট্রাক বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করেছে। আমদানি করা পেঁয়াজের মান পরীক্ষা শেষে বন্দর থেকে খালাসের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

পেঁয়াজ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান বাগেরহাটের এসএম ওয়েল ট্রেডার্স এবং রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ভারতের ন্যাশনাল ট্রেডিং করপোরেশন।

এর আগে, ২০২৩ সালের মার্চ মাস থেকে বেনাপোল দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ ছিল।

বেনাপোল বন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সহ-সভাপতি আমিনুল হক আনু বলেন, এর আগে দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ করেছিল সরকার। পরে ভারতও রপ্তানি বন্ধ করে দেয়।

তিনি জানান, বর্তমানে দেশে চাহিদার বিপরীতে আমদানি ও পর্যাপ্ত মজুত থাকলেও অতিরিক্ত মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে দাম বাড়াচ্ছিলেন। এতে পেঁয়াজ কিনতে নিম্ন আয়ের মানুষের গুনতে হচ্ছিল অতিরিক্ত টাকা। অবশেষে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে বাজার নিয়ন্ত্রণে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয় সরকার।

কাস্টমস সূত্র জানিয়েছে, প্রতি টন ৩০৫ ডলারে আমদানি মূল্য দেখানো হয়েছে যা বাংলাদেশি টাকায় ৩৭ হাজার ৪২৯ টাকা। আমদানি করা পেঁয়াজ বাজারে মানভেদে ৫৮ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে বিক্রি হতে পারে।

বেনাপোল কাস্টমস হাউসের সহকারী কমিশনার রাজন হোসেন জানান, কাস্টমসের আনুষ্ঠানিকতা শেষে পেঁয়াজের চালানটি দ্রুত খালাসের জন্য মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মন্তব্য

কৃষি
Narail honors the best four grams of police

নড়াইলে সেরা চার গ্রাম পুলিশকে সম্মাননা প্রদান

নড়াইলে সেরা চার গ্রাম পুলিশকে সম্মাননা প্রদান

দিন নেই,রাত নেই নড়াইলের গ্রাম প্রতিরক্ষার কাজে নিয়োজিত(গ্রাম পুলিশ)এমন

চারজন(ভিডিপির)গুণী মানুষকে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মাননা দেওয়া হয়েছে । সম্মাননা স্বরুপ তাদের হাতে ক্রেষ্ট তুলে দেন প্রধান অতিথি নড়াইলের জেলা প্রশাসক শারমিন আক্তার জাহান । অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন,সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সঞ্চিতা বিশ্বাস ।

সম্মাননাপ্রাপ্তরা হলেন,ড্রিল অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন,মাহির মোল্যা,অলরাউন্ডার হিসেবে তানভীর শিকদার,অ্যাকসিলেন্স হিসেবে ইয়ামিন হাসান ও মাহামুদুল হাসান ।

সোমবার (২৫ আগষ্ট)রাত ৭টার দিকে জেলা আনসার ও ভিডিপি মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় । অনুষ্ঠান ছিল গ্রাম প্রতিরক্ষাবাহিনীর অগ্রীম প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠান । কর্মশালায় গ্রাম প্রতিরক্ষাবাহিনীর সদস্যদের কর্মতৎপরতা আরো গতিশীল এবং সময়োপযোগি করতে কি কি করণীয় তার ওপর দিক নির্ধেশনা দেওয়া হয় । ২৮ দিন ব্যাপী এই কর্মশালায় জেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের বাছাইকৃত ৫০ জন পুরুষ সদস্যকে সুযোগ দেওয়া হয় । প্রশিক্ষণ শেষে কর্মদক্ষতায় সেরা এমন ৪ জন সদস্যকে সম্মাননা স্মারক দেওয়া হয় ।

সমাপনী দিনের অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন,জেলা আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষাবাহিনীর জেলা কমাড্যান্ট মো.নুরুল আবছার । অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন,জেলা আনসার ভিডিপি কার্যালয়ের সার্কেল অ্যাডজুটেন্ট মমতাজ খানম,সদর উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা ঈদুল তালুকদার,উপজেলা আনসার ও ভিডিপি প্রশিক্ষক নারায়ণ চন্দ্র পাল,উপচেজেলা আনসার ও ভিডিপি প্রশিক্ষক শুভ মালাকারসহ অন্যরা ।

মন্তব্য

কৃষি
Two arrested in the murder of women in Daulatpur

দৌলতপুরে মানসিক ভারসাম্যহীন নারী খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার দুই

দৌলতপুরে মানসিক ভারসাম্যহীন নারী খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার দুই

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে মানসিক ভারসাম্যহীন নারী জাইমা খাতুনকে (৫৫) হত্যার ঘটনায় তাঁর ভাই আসানুল খাঁ বাদি হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন তিনজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের পর মঙ্গলবার দুজনকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়নের চরশাদিপুর এলাকার একটি মাঠে ঘাসের জমি থেকে মুখ বাঁধা ও পায়ে আঘাতের চিহ্নসহ জাইমা খাতুনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

জাইমা চরশাদিপুর গ্রামের মৃত আফাজ খাঁর মেয়ে। তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন ও স্বামী পরিত্যক্তা ছিলেন বলে পরিবার ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

গ্রেপ্তার দুজন হলেন চরশাদিপুর গ্রামের মৃত আইজউদ্দিনের ছেলে সেন্টু আলী (৫৫) ও আনারুল ইসলাম (৪৬)। তাঁরা ওই এলাকার ধঞ্চে জমির মালিক।

পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জাইমা নিয়মিত মাঠ থেকে ধঞ্চের পাতা কাটতেন তাঁর ছাগলের জন্য। এ নিয়ে ধঞ্চেচাষিরা তাঁর ওপর ক্ষিপ্ত ছিলেন। নিষেধ করার পরও পাতা কাটতে থাকায় ক্ষোভ থেকে কেউ তাঁকে হত্যা করেছেন বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোলাইমান শেখ বলেন, সোমবার রাতেই নিহতের ভাই অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। আটক তিনজনের মধ্যে দুজনকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মন্তব্য

p
উপরে