চাঁপাইনবাবগঞ্জে বারোমাসি আম। ছবি: নিউজবাংলা
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, চাঁপাইনবাবগঞ্জে বারি-১১ জাতের আম বাগান আছে প্রায় ১৫ হেক্টর জমিতে। চাষ বাড়ছে কাটিমনসহ নাবী জাতের আরও কিছু আমের। সব মিলিয়ে বারোমাসি জাতের আম বাগান আছে ১০০ বিঘা জমিতে।
আমের জন্য জ্যৈষ্ঠ পর্যন্ত প্রতীক্ষার দিন শেষ। বছরের যেকোনো সময় চাইলেই মিলবে গাছ থেকে পেড়ে আনা টাটকা এ ফল। বারি-১১সহ কয়েক জাতের এই বারোমাসি আম এখন চাষ হচ্ছে বাণিজ্যিকভাবে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের সিরাজুল ইসলাম। বছর তিনেক আগে গড়ে তোলেন বারোমাসি আমের বাগান। এই শীতেও তার বাগানের পাকা আম যাচ্ছে রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলায়।
শিবগঞ্জ উপজেলার আমচাষি ইসমাইল হোসেন শামিম বাগানে লাগিয়েছেন বারি-১১, কাটিমনসহ কয়েকটি জাতের বারোমাসি আম গাছ।
সাড়ে ১২ বিঘায় আছে প্রচলিত জাতের আম। সেই সঙ্গে আরও দুই বিঘায় বারোমাসি আমের বাগান করছেন শিবগঞ্জের আরেক চাষি রেজাউল করিম।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, চাঁপাইনবাবগঞ্জে বারি-১১ জাতের আম বাগান আছে প্রায় ১৫ হেক্টর জমিতে। চাষ বাড়ছে কাটিমনসহ নাবী জাতের আরও কিছু আমের। সব মিলিয়ে বারোমাসি জাতের আম বাগান আছে ১০০ বিঘা জমিতে।
বারোমাসি আমের দিকে ঝোঁক কেন বাড়ছে, তার কারণ জানান বাগান মালিক মমিনুল ইসলাম।
‘বারোমাসি জাতের আম গাছ খুব বড় হয় না। প্রতি বছরই ডাল ছেঁটে দেয়া হয়। এ কারণে গাছের পরিচর্যা ও ফল সংগ্রহ সহজ। শীতকালে কম করে হলেও ৫০০ টাকা কেজিতে এই আম বিক্রি করা যায়।’
অনেকদিন ধরে আমের জাত উন্নয়নে কাজ করছেন জেলার আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. জমির উদ্দিন। তিনি বলেন, সঠিক পরিকল্পনায় অগ্রিম ও নাবি জাতের পাশাপাশি বারোমাসি আমের বাগান করা হলে বছরজুড়ে বাজারে আমের জোগান সম্ভব।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘সাধারণ সময়ে যখন অন্য জাতের আম হয়, তখন বাগানে বারোমাসি আমের মুকুল ভেঙে ফেলেন চাষিরা। অন্য সময়ে বারোমাসির ফুল এলে সেগুলোর যত্ন নেয়া হয়। ফলে শীতের সময়েও আম পাওয়া যায়।’
বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় চাষিদের আগ্রহ বাড়ছে জানিয়ে নজরুল ইসলাম বলেন, দুই-তিন বছরের মধ্যে এ ধরনের আমের বাগান অন্তত ১০ গুণ বাড়বে।
মন্তব্য